ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও কৃষি সমবায়ের সাফল্য

প্রকাশিত: ২১:২৯, ৭ নভেম্বর ২০২১

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও কৃষি সমবায়ের সাফল্য

সমবায় হচ্ছে অংশগ্রহণকারী জনগণের স্বতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসিত সংগঠন। এর সদস্যগণ যৌথভাবে পরিচালিত সম্পদ ও শ্রমের ভিত্তিতে নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য মিলিত স্বার্থে কাজ করে থাকে। সমবায় মালিকানায় সদস্যদের অর্থনৈতিক দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হয়। এটি পরিচালিত হয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। কর্মসম্পাদনে স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহি সমবায়ের গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। সমবায়ের সদস্যগণ নিজেরা উৎপাদন করে, ভোগ করে ও বিপণনে অংশগ্রহণ করে। সমবায়ের মাধ্যমে ছোট উদ্যোগগুলো লাভজনক হয়ে ওঠে এবং বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। এর অংশীজন বেশি হলে প্রতি ইউনিট উৎপাদন খরচ হ্রাস পায়। বাজারে দর কষাকষির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তাতে ভাল মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়। উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থা যখন মানসম্পন্ন পণ্য ন্যায্যমূল্যে প্রদানে ব্যর্থ হয়, তখন সমবায় এর প্রতিকার হিসেবে আবির্ভূত হয়। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, সদস্যদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আর্থিক কর্মকাÐের পরিধি বিস্তৃত করা। এছাড়া সামাজিক উন্নয়ন, কর্মসৃজন ও দারিদ্র্য মোচনে সমবায় হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। বাংলাদেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ধরনের সমবায় সংগঠন গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে রয়েছে উপযোগমূলক সেবা, ভোগ্যপণ্য, শ্রম, পরিবহন, বিদ্যুত, চিকিৎসা সেবা, শিল্প, গৃহায়ন, সঞ্চয় ও ঋণ প্রদান, বীমা এবং কৃষি উৎপাদন ও বিপণন সম্পর্কিত সমবায়। তন্মধ্যে কৃষি উৎপাদন ও বিপণন বিষয়ক সমবায়ের পরিধি অনেক বিস্তৃত। অংশীজনের সাফল্য খুব দৃশ্যমান। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৩ ধরনের সমবায় ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়। এক. সমাজতান্ত্রিক সমবায়; দুই. ধনতান্ত্রিক বা বিশেষ ধরনের ব্যবসায়িক সমবায় এবং তিন. অর্থনৈতিক তৃতীয় খাত হিসেবে পরিচালিত সমবায়। সমাজতান্ত্রিক সমবায় মূলত রাষ্ট্রের নীতিগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কার্যসম্পাদনের হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত। এক্ষেত্রে সম্পদের ব্যক্তি মালিকানাকে যৌথ মালিকানায় রূপান্তর করা হয়। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে সদস্যদের অবহিত ও উদ্বুদ্ধকরণ এবং উৎপাদনে ও বন্টনে বিধিবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের নিমিত্তে পরিচালিত হয় এই সমবায়। তবে নব্বইয়ের দশকের পর থেকে বিশে^র সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে এ সমবায় ব্যবস্থা ক্রমেই শিথিল হয়ে আসে। এখনও তার কিয়দংশ অবশিষ্ট আছে। বিশেষ ধরনের ব্যবসায়িক সমবায় সংগঠনের প্রকৃতি হলো ধনতান্ত্রিক। বাজারে প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করার জন্য এরূপ সংগঠনের উদ্ভব। এর মূল উদ্দেশ্য হলো সদস্যদের সেবা প্রদান, উৎপাদন ও বিপণনের ব্যয় সঙ্কোচন এবং ব্যবসায়িক মুনাফা বৃদ্ধি করা। তৃতীয় খাত হিসেবে বিবেচিত সমবায় সংগঠনগুলো মিশ্র অর্থনীতি অনুসরণ করে থাকে। এগুলো ব্যক্তি বা সরকারী উদ্যোগ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির। এগুলো পরিচালিত হয় সমবায়ের নীতি ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রæতিবদ্ধ ছিলেন। সংবিধানের চারটি স্তম্ভের অন্যতম ছিল সমাজতন্ত্র। ওই দলিলের ১৩ অনুচ্ছেদে দেশের সম্পত্তির তিন ধরনের মালিকানা উল্লেখ করা হয়। তার একটি রাষ্ট্রীয়, একটি ব্যক্তিগত এবং অপরটি সমবায়ী মালিকানা। সমবায়ের পথ ধরে তিনি ধনী-নির্ধনে বৈষম্য পরিহার করে অর্থনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছেন। উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের কথা বলেছেন। বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায়সঙ্গত মূল্য প্রদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন গ্রামভিত্তিক বহুমুখী সমবায়। তাতে জমি একত্রিকরণের মাধ্যমে আধুনিক চাষাবাদ ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণের প্রত্যশা ছিল। তবে তিনি জমি জাতীয়করণের কথা বলেননি। দেশের কৃষকদের প্রতি তিনি ছিলেন অত্যন্ত সংবেদনশীল। তিনি ছিলেন একজন কৃষকদরদী নেতা। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রয়োগবাদী। তিনি বলেছেন, ‘গ্রামে গ্রামে বহুমুখী কো-অপারেটিভ হবে। ভুল করবেন না, আমি আপনাদের জমি নেব না। ভয় পাবেন না যে জমি নিয়ে যাব, তা নয়। এ জমির মালিকের জমি থাকবে। আপনার জমির ফসল আপনি নেবেন, অংশ যাবে কো-অপারেটিভের হাতে। অংশ যাবে গবর্নমেটের হাতে।’ গ্রাম সমবায়ের রূপরেখা বর্ণনা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু আরও বলেছেন, ‘রাষ্ট্র তোমাকে ঋণ দেবে, টাকা দেবে, ইনপুটস দেবে, তোমাকে সেচের ব্যবস্থা করে দেবে। সেটা করে দেবে তুমি যদি এই ধরনের সমবায় কর। সমবায়ের ফল দিয়ে যে উৎপাদনশীলতা বাড়বে তার সুফলটা যেমন পাবে জমির মালিক, তেমনি এটার অংশ পাবে যারা ভূমিহীন কৃষক, যারা ওখানে শ্রম দেবে তারা। যারা এখানে বিনিয়োগ করবে, তারাও এখানকার একটা অংশ পাবে।’ এভাবে তিনি নিজস্ব পন্থায় একটি আধুনিক কৃষি সমবায়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গ্রামভিত্তিক বহুমুখী সমবায়ের পরিকল্পনা আর বাস্তবে রূপ পায়নি। তা সত্তে¡ও বাংলাদেশে সমবায় আন্দোলন থেমে থাকেনি। আপন গতিতে এগিয়ে গেছে কৃষি সমবায়। বাংলাদেশে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও রয়েছে এর অনেক সাফল্যগাথা। কৃষি মানুষের সবচেয়ে পুরনো পেশা। সমবায়েরও আদি রূপ কৃষি সমবায়। এর মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে কৃষক ফসলহানির সঙ্কট কাটিয়েছে, কৃষিতে অর্থায়ন নিশ্চিত করেছে, উপকরণ সহায়তা নিয়েছে, উৎপাদনে দ্রæত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং পণ্য বিপণনে সফলতা পেয়েছে। তাতে কৃষকদের জন্য লাভজনক হয়েছে কৃষির উৎপাদন। কৃষি সমবায়গুলোর মূল উদ্দেশ্য নিম্নরূপ- উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ হ্রাস; ঝুঁকি উপশমিত করা; প্রতিযোগিতামূলক পণ্যবাজারে প্রবেশের সক্ষমতা অর্জন; বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে অভিগম্যতা প্রাপ্তি; মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস; কৃষি ব্যবসায় লাভজনকতা বৃদ্ধি করা এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। কৃষিকাজ বলতে বাংলাদেশে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ফসল ফলানো, খাদ্যশস্য উৎপাদন, পশু-পাখি পালন, মাংস, দুগ্ধ ও ডিম উৎপাদন, মৎস্য চাষ, কৃষি বনায়ন ইত্যাদির সমষ্টিকে বোঝায়। এ বিশাল কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগী ভূমিকা পালন করেছে সমবায়। এদের মধ্যে শস্য উৎপাদন ও বিপণন সমবায়, দুগ্ধ সমবায়, মৎস্য চাষি সমবায়, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সমবায়, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় ইত্যাদি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের সমবায়ের ক্ষেত্রে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, ভারত ও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ সকল দেশে সমবায়ের বার্ষিক আয় পর্যাপ্ত। অংশীজনের সংখ্যাও অনেক বেশি। জাতীয় উৎপাদনে ও কর্ম সৃজনে দীর্ঘকাল ধরে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলছে কৃষি সমবায়। ডেনমার্কে অবস্থিত আরলা ফুডস একটি বহুল পরিচিত খাদ্য সমবায়। এটি মূলত দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত। এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৮০ সাল। ডেনমার্ক ও সুইডেনে ছড়িয়ে থাকা মোট ১১ হাজার ২০০ সদস্য নিয়ে এর অভিযাত্রা। মোট দুগ্ধ উৎপাদনের পরিমাণ বছরে ১৩.৭ বিলিয়ন কিলোগ্রাম। বার্ষিক আয় ১৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশে^র ১৫১টি দেশে সংগঠনটি দুধ, পনির, মাখন, ক্রিম ও মার্জারিন রফতানি করে থাকে। এ সকল পণ্য উৎপাদনের জন্য সংগঠনটিতে ৬০টি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা রয়েছে। ডেনমার্কের শতকরা ৯৫ ভাগ দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। ভারতে বহুল পরিচিত দুগ্ধ সমবায় সংগঠন আমুল ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। গুজরাট সমবায় দুগ্ধ বিপণন ফেডারেশন লিমিটেড এই সংগঠনটির পরিচালনা কাজে নিয়োজিত। এতে দুগ্ধ উৎপাদনকারী সদস্য সংখ্যা ৩.৬ মিলিয়ন। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ১৩টি জেলার দুগ্ধ সমবায় ইউনিয়ন, যা ১৩,০০০ গ্রামে বিস্তৃত রয়েছে। ভারতের জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধানে আমুল শে^ত বিপ্লব ত্বরান্বিত করে দেশটিকে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ দুগ্ধ উৎপাদনকারী দেশে পরিণত করেছে। এ সংগঠনটি প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ প্রক্রিয়াজাত দুগ্ধ ও অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বাজারজাত করছে। এর বার্ষিক আয় ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিডেট গ্রামীণ সমবায়ভিত্তিক দুগ্ধ সংগ্রহ, দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকদের আর্থিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে এর আওতাধীন প্রাথমিক দুগ্ধ সমবায় সমিতির সংখ্যা ২,৫১৭টি এবং ব্যক্তি সদস্য সংখ্যা ১,১৭,৭৫৮ জন। এই সমিতির উৎপাদিত পণ্যের ব্র্যান্ড নাম মিল্ক র্ভিটা। তরল দুধের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি ঘি, মাখন, মিষ্টি ও টক দই, আইসক্রিম, ক্রিম, চকোলেট, লাবাং, রসগোল্লা, সন্দেশ, রসমালাই ইত্যাদি উৎপাদন ও বিপণন করে থাকে। এর বার্ষিক দুগ্ধ সংগ্রহের পরিমাণ ৪.৩২ কোটি লিটার। শেয়ার মূলধনের পরিমাণ ৪৪ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। বার্ষিক নিট লাভের পরিমাণ ১৮৫.৬৯ লাখ টাকা। ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশে বর্তমানে একটি পথিকৃৎ সমবায় সংগঠন হিসেবে কাজ করছে মিল্ক ভিটা। বাংলাদেশ সমবায়ের এক উর্বর ভূমি। বর্তমানে এ দেশে ২৯ প্রকারের সমবায় সমিতি রয়েছে। মোট সমিতির সংখ্যা ১,৯০,৫৩৪টি। তাতে অংশগ্রহণকারী সদস্য সংখ্যা ১,১৪,৮৩,৭৪৭ জন। তাদের একটি বড় অংশ কৃষি সমবায়ের সঙ্গে জড়িত। তারা কৃষি পণ্য উৎপাদন করছে, মধ্যস্বত্বভোগীদের নাগপাশ এড়িয়ে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করছে। সমবায়ের মাধ্যমে তারা উন্নত বীজ, সার, সেচ ও কৃষি যন্ত্রায়নের ব্যবস্থা করছে। এক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য। তিনিই দেশের কৃষকদের সমবায়ের মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে অধিক উৎপাদন ও লাভজনক বিপণনে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সমবায়ের পথ-সমাজতন্ত্রের পথ, গণতন্ত্রের পথ। সমবায়ের মাধ্যমে গরিব কৃষকরা যৌথভাবে উৎপাদনযন্ত্রের মালিকানা লাভ করবে। অন্যদিকে অধিকতর উৎপাদন বৃদ্ধি ও সম্পদের সুষম বণ্টন ব্যবস্থায় প্রতিটি ক্ষুদ্র চাষী গণতান্ত্রিক অংশ ও অধিকার পাবে। জোতদার, ধনী-চাষির শোষণ থেকে তারা মুক্তি লাভ করবে। সমবায়ের সংহত শক্তির দ্বারা।’ বর্তমানে বাংলাদেশে যে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদিত হচ্ছে, তাতে সমবায়ী কৃষকদের বড় অবদান রয়েছে। এসডিজির লক্ষমাত্রা অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের সবার জন্য খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। তার জন্য দেশের খাদ্য ও কৃষি পণ্যের উৎপাদন বছরে গড়ে সাড়ে ৪ থেকে পাঁচ শতাংশ হারে বাড়িয়ে যেতে হবে। দেশের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ ক্ষুদ্র চাষির পক্ষে এত দ্রæত উৎপাদন বাড়িয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য। এর জন্য দরকার তাদের সংগঠিত করা। আর্থিক ও সামাজিকভাবে তাদের ক্ষমতায়ন করা। কেবল সমবায়ের মাধ্যমেই তা সম্ভব হতে পারে। এ লক্ষ্যে সমবায় আন্দোলনকে আরও জোরদার করা আবশ্যক। রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা বাড়ানো দরকার দেশের সমবায়ী কৃষকদের জন্য। তাতে কৃষি সমবায়ের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হবে। সমৃদ্ধশালী হবে দেশের অর্থনীতি। লেখক : কৃষি অর্থনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা, উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব গেøাবাল ভিলেজ, সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, গবেষণায় একুশে পদকপ্রাপ্ত
×