
জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী রাজনীতির কবি, বাংলাদেশ মহাকাব্যের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমিত আত্মবিশ্বাস, সাধারণ মানুষের প্রতি অবিচল আস্থা, অকুতোভয়, দৃঢ়চেতা, আপোসহীন, আত্মপ্রত্যয়ী রাজনৈতিক ক্রিয়াকর্ম, সরব ও স্বতঃস্ফূর্ত সাহসী জীবন প্রবাহ নজরুলের তমসাচ্ছন্ন, কর্মবিমুখ, চেতনাশক্তিহীন বাঙালীর চেতনাকে সমৃদ্ধ ও শাণিত করে ‘বাঙালির বাঙলা’ বলতে শিখায় এবং স্বাধীনতার সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে যা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিস্তৃত হয়। আদর্শ ও নীতিতে অটল ও অবিচল থেকে, মানুষের হৃদয়কে উজ্জীবিত করে তিনি সামাজিক শক্তির বিকাশ ঘটান। বাঙালীর স্বপ্ন, ভাবনা, চেতনা ও লক্ষ্য ধারণ করে হয়ে ওঠেন জনগণের মুখপাত্র, বাঙালীর জাতীয় চেতনার উন্মেষ, বিকাশ, ব্যাপ্তি, সফলতার মূল স্থপতি এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালীর অখন্ডিত সত্তা ও শক্তির প্রতীক। বাঙালীর সহস্র বছরের সুপ্ত আকাক্সক্ষা জাগরিত করেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কৃষি ও শিল্পোন্নয়নকে প্রাধান্য দেন। তিনি জানতেন দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হলে গ্রামীণ উন্নয়ন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। তিনি বিশ্বাস করতেন আগামী বহু বছর কৃষি শুধুমাত্র খাদ্য জোগান দেবে না অধিকাংশ মানুষের আয়েরও প্রধান উৎস হয়ে থাকবে এবং শিল্পোৎপাদনের জন্য উপকরণ যোগান দিবে। বঙ্গবন্ধু ’সবুজ বিপ্লবের’ ডাক দেন, কৃষি উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেন, কৃষির সঙ্গে জড়তি মানুষকে কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ ব্যবস্থা এবং কৃষির প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত কৃষি অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ, জরুরী ভিত্তিতে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজ, সার বিতরণ, কৃষিঋণ এবং খাজনা মওকুফ, কৃষি পণ্যের যৌক্তিক ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ, গরিব ও প্রান্তিক চাষীদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা চালু করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কৃষির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি বন্ধ সার কারখানা পুনরায় চালু করার এবং নতুন সারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেন। পাকিস্তান আমলে লাখ লাখ কৃষকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করেন। কৃষক ও গ্রামীণ পরিবারের সন্তানদের ব্যয়মুক্ত শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করেন এবং নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলোকে আলোকিত করে উদীয়মান অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করাকে প্রাধান্য দেন। সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার জন্য কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন। ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বিতরণ, উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণ ও নানা ধরনের নলকূপ স্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেন, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির পূর্বশর্ত হলো কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন। তিনি এ লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক নানাবিধ পদক্ষেপ নেন। তিনি কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পুনঃ সংস্করণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, উদ্যান উন্নয়ন বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, ইক্ষু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ অনেক নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানসমূহের আমূল সংস্কার করেন। কৃষির সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে তিনি কৃষি গবেষণার তাগিদ দেন। কৃষি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে আধুনিক কৃষিব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদা প্রদান করেন। যা আজও ‘বঙ্গবন্ধুর অবদান, কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান’ স্লোগানে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। এসব পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেন কৃষির উন্নয়ন এবং দেশের টেকসই ও অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নের লক্ষ্যে। বঙ্গবন্ধুর কৃষিনীতির অনুসরণ করায় বাংলাদেশের কৃষি খাত এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং বিশে^ কৃষিপণ্য উৎপাদনের রোল মডেল।
বিশে^ বাংলাদেশ এখন শস্যবৈচিত্র্য উন্নয়নে এবং প্রতি হেক্টর জমিতে ফল উৎপাদনে প্রথম, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, ধান, চা ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ, আম উৎপাদনে সপ্তম এবং আলু ও পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম দেশ। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন দক্ষ মানব সম্পদ ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান ছাড়া মানবসম্পদ বিকশিত হয় না। কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন করে তিনি বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতি গ্রহণ করেন। এমন কি সংবিধানে শিক্ষাকে প্রাধান্য দেন। উচ্চ শিক্ষাকে স্বাধীন সত্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি প্রধান চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯৭৩ এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেন। তিনি বিশ্বাস করতেন স্বাধীন ও প্রাকৃতিক পরিবেশে শিক্ষকগণ শিক্ষাদান ও গবেষণা করে প্রগতিশীল, আলোকিত এবং বিকশিত মানুষ সৃষ্টির মাধ্যমে মানব সম্পদ গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে। এই লক্ষ্য অর্জনকে গতিশীল ও উৎসাহিত করার জন্য এবং উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রমকে সঠিক পথে এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে ইউজিসি এখনও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তৃতীয় শিল্প বিপ্লব থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর বঙ্গবন্ধু গুরুত্ব প্রদান করেন এবং তাঁর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্যপদ লাভ করে। টেলিফোন ডাটা যোগাযোগ, টেলেক্স ইত্যাদি বিনিমিয়ের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোযোগ স্থাপনের জন্য তিনি রাঙ্গামাটিতে বেতবুনিয়া ভূ-উপকেন্দ্র স্থাপন করেন। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং প্রতিষ্ঠাতা। ডেল্টা প্ল্যান বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও পরিকল্পনারই প্রতিফলন।
দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি নিশ্চিত, অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিস্তার, নারীর ক্ষমতায়ন, তৃণমূল জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (এনজিও) সেক্টর স্থাপনের অনুমতি দেন। এনজিও নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও উপরিউক্ত লক্ষ্য অর্জনে এনজিও সেক্টর অনেকটাই সফল হয়েছে এবং বিশ্বে তৃণমূল জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির কারণে তেল, খাদ্যদ্রব্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্নীতি ও কালো বাজারের দাপট বৃদ্ধি পায়। এই প্রতিকূলতা বিদ্যমান থাকলেও বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে খাদ্য আমদানি ব্যয় হ্রাস পায়, খাদ্য উৎপাদন বাড়ে, বন্দরগুলো পুনরায় চালু হয়, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসন আমলে বেশ কিছু পরিকল্পনা গৃহীত হয়। এই পরিখল্পনাগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক নিম্ন গতি রুদ্ধ এবং অর্থনীতি নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। ব্যাংকিং সেক্টর বহির্বিশ্বে সম্প্রসারিত হয়।
বাঙালীর শক্তি, উদ্যম, কর্মস্পৃহাকে উৎসাহিত ও কাজে লাগিয়ে, মানুষকে বস্তুগত সম্পদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পদ সমাবেশের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও বাঙালীর ভাগ্য ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে দ্বিতীয় বিপ্লবের ঘোষণা দেন। ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’-এর ঘোষণায় গ্রামীণ উন্নয়নের অন্যতম প্রধান কর্মসূচী ছিল বাধ্যতামূলক সমবায় প্রতিষ্ঠা, যৌথ চাষ ও গ্রাম তহবিল গঠন, নারী শিক্ষা এবং সমবায়ে ও দেশ গঠনে নারীদের অন্তর্ভুক্তি। দ্বিতীয় বিপ্লবের লক্ষ্য স্থির করেন : (১) দারিদ্র্য দূরীকরণ (২) জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির বাস্তবায়ন ও বিকাশ সাধন (৩) দুর্নীতি, মজুদদারি ও কালোবাজারি বন্ধকরণ (৪) স্বাধীনতাবিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের কর্মকা- ও ষড়যন্ত্র প্রতিহতকরণ (৫) প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়ে জনগণের সেবায় নিয়োজিতকরণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা (৬) কৃষি উৎপাদন দ্বিগুণ করে সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিতকরণ (৭) জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সঠিক ও আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ ও কার্যকরকরণ (৮) শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি (৯) সকল গ্রামে বহুমুখী সমবায় সমিতি গঠন (১০) নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে মানসম্পন্ন আধুনিক শিক্ষাদান নিশ্চিতকরণ (১১) আইন ব্যবস্থা পুনর্গঠন। দ্বিতীয় বিপ্লবের ঘোষণায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় ঐক্য, প্রশাসন বিকন্দ্রেীকরণ, রাজস্ব ও জাতীয় আয় বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
দ্বিতীয় বিপ্লব সফল করার জন্য বঙ্গবন্ধু বেঁচে ছিলেন না। স্বাধীনতাবিরোধী, ক্ষমতালিপ্সু, বিপথগামী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুর প্রাণ কেড়ে নেয়। খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধুর দৈহিক সত্তা কেড়ে নিয়েছে, মারতে পারিনি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের অবিচ্ছিন্ন ধমনী-স্পন্দন। আমাদের হৃদয়ে, সত্তায়, চেতনায় চিরভাস্বর । তিনি অম্লান ও সূর্যের মতো দেদীপ্যমান। বঙ্গবন্ধু এক চেতনা ও আদর্শের নাম। আদর্শের মৃত্যু নেই। তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন, চলার পথ ও স্বপ্নই হবে বাংলাদেশের চালিকা শক্তি। আমরা তাঁর জীবনাদর্শ থেকে খুঁজে পাব আত্মশক্তি।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, দর্শন ও আদর্শ ধারণ করেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সফলতার সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন এবং গড়ে তুলছেন। মাথাপিছু আয়, জীবনযাত্রার মান, শিক্ষার হার, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, শিল্পায়ন, রফতানি বাণিজ্য, জিডিপি, জাতীয় আয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পদ্মা সেতুসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ও দেশের সার্র্বিক উন্নয়ন ক্রমাগত বৃদ্ধি করছেন। দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে আনছেন। দুর্নীতি রোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে লিপ্ত আছেন। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলদেশে রূপান্তর করেছেন। মহাকাশে পাঠিয়েছেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। প্রতিষ্ঠা করেছেন ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক ও শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ ও অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রহণ করছেন বৈচিত্র্যপূর্ণ পদক্ষেপ। বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপরেখা স্থির করেছেন ডেল্টা প্ল্যান এবং ভিশন ২০২১, ২০৩০ ও ২০৪১-এর মাধ্যমে। বাংলাদেশকে বানিয়েছেন উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও আদর্শের বিকল্প নেই। এই আদর্শ ধারণ করেই বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।
লেখক : প্রাক্তন প্রো-ভিসি (প্রশাসন), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়