ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

শাওন ভূঞা তপু

মানুষ মানুষের জন্য

প্রকাশিত: ২৩:৪৩, ২৫ জুন ২০২০

মানুষ মানুষের জন্য

করোনার ভয়াবহতা দেশ, শহর ছাড়িয়ে বাংলার গ্রামীণ জনপদের মানুষের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে বেশ আগে। গ্রামীণ জনপদের প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা এসব মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সহজ সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। সারাদিন কাজ করবে, সন্ধ্যায় গ্রামের বাজারে চায়ের কাপে আড্ডা জমাবে, রাতে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরবে, এমন ধারাবাহিকতায় সময় কাটত সেই আগেই থেকেই। করোনার থাবা তাদের জীবনের এই ধারাবাহিকতায় নিয়ে এসেছে পরিবর্তন। প্রশাসনের কঠোরতায় তাদের অনেকেরই মুখে দেখা যায় মাস্ক। অবসর সময়ের চায়ের কাপে নয় বরং শৌখিন কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন। কেউ বা আবার মাছ ধরছেন এবং ব্যতিক্রমী কিছুতে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে অনেকেরই বন্ধ হয়ে গেছে উপার্জনের পথ। কৃষিপণ্যের দাম কমে যাওয়ায় এবং শহরগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় অনেকেই পড়েছে ক্ষতির মুখে। করোনা নিয়ে গ্রামের এসব সাধারণ মানুষের চিন্তা ভাবনাও একেক রকম। তারা খোদাভীরু, কুসংস্কারেও বিশ্বাস অনেকের। কারও কারও ধারণা আল্লাহ্তাআলার ওপর যাদের বিশ্বাস অটল, করোনা তাদের কিছুই করতে পারবে না। কারও বা ধারণা করোনা বলে কিছু নেই, এসব নিছক মানুষের মিথ্যাচার, মৃত্যু আসলে তো মরতেই হবে করোনা উসিলা মাত্র। গ্রামের এই সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা বলতে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার কিংবা গ্রামের বাজারের ওষুধ বিক্রেতা। করোনা নিয়ে এদের মাঝে সচেতনতার বড্ড অভাব। তাদের কাছে মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে বার বার হাত ধোয়ার ব্যাপারটা নিছক বড়লোকদের কারবার। গরিবের জন্য এসব নয়। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে করোনা ধনী-গরিব মানে না, মানে না কোন ধর্ম। তাই গ্রামের এই সহজ সরল মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্রামের শিক্ষিত জনগণ, জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা উচিত। তাদের ভ্রান্ত ধারণার পরিবর্তনে মাইকিং কিংবা ছবি সংবলিত পোস্টারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এও নিশ্চয়ই এক ধরনের মানবধর্ম যা মানুষকে রক্ষায় নিবেদিত। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে
×