
বাঙালী জাতির ইতিহাসে ৭ জুন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি আমরা দীর্ঘদিন যাবত ছয় দফা দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছি। এ বছর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর আক্রমণ ভয়াবহ মহামারীরূপে আঘাত করেছে। যার জন্য আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষে এ দিনটি আমাদের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী সাড়ম্বরে উদযাপন করতে পারিনি। এই দিনটিতে আনুষ্ঠনিকভাবে নতুন করে লাখ লাখ রাজনৈতিক কর্মীরা শপথ নিতে পারত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের।
৭ জুনের ব্যাপ্তি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত এবং এর সঙ্গে পূর্বাপর এত ঘটনাপঞ্জি জড়িত যে একটি ছোট নিবন্ধের পরিসরে তা তুলে ধরা কঠিন। আমি মনে করি বাঙালীর হাজার বছরের ইতিহাসে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এক মহাকাব্য। এই মহাকাব্যের রূপকার ও মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ মহাকাব্যে রয়েছে বিভিন্ন ঘটনাবহুল অধ্যায়। যার মধ্যে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের ২১ দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসনসহ বিভিন্ন বৈষম্য দূরের দাবিতে সাধারণ নির্বাচন, ’৬২-এর সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের আন্দোলন, শিক্ষা, অসাম্প্রদায়িক সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা এবং ঊনসত্তরে আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফাভিত্তিক গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি ’৭১ সালের নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা পাড়ের এই জনপদ নিয়ে পৃথিবীর বুকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, সব অধ্যায়রই অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে নবরূপে বাঙালী জাতীয়তাবাদের উন্মেষ হয়েছিল, আমরা বপন করেছিলাম জাতি রাষ্ট্র গঠনের বীজ। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। আমরা যদি ইতিহাসের পেছনের দিকে যাই ১৯৪৭ সালে অবৈজ্ঞানিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দুই হাজার কিলোমিটার ব্যবধানে দুটি ভূখন্ড নিয়ে একটি কৃত্রিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। দুই ভূখন্ডের মানুষের ভাষা ছিল আলাদা, সংস্কৃতি আলাদা, আচার আচরণ, জীবনপ্রবাহ ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। ধর্মের বন্ধন ছাড়া দুই ভূখন্ডের মধ্যে কোন দৃঢ় মূল বন্ধন ছিল না। এই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পরই সামন্ত ভূস্বামীরা, ভারত থেকে প্রত্যাগত অভিজাত উর্দু ভাষীরা, শিল্পপতি, ধনিক-বণিক শ্রেণী, সামরিক-বেসামরিক আমলারা সুপরিকল্পিতভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে। তারা প্রথমে আঘাত হানে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ভাষার ওপর। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের মেধা-মনন ও উচ্চ চেতনা যাতে বিকশিত না হতে পারে, বাংলার মানুষকে একটা পঙ্গু জাতিতে রূপান্তর করে চিরদিনের জন্য তাদের শোষণ-নির্যাতন করা যায়।
স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু যখন প্রধানমন্ত্রী তখন প্রখ্যাত সাহিত্যিক অন্নদা শঙ্কর রায় ও সৈয়দ মুজতবা আলী ভারত থেকে সাহিত্য সম্মেলনে এসে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে তাঁরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন- ‘বঙ্গবন্ধু আপনি কখন স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেন, স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেন?’ উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ’৪৭-এর আগেই কলকাতার পার্ক সার্কাসে আমরা একটা সভা করেছিলাম, সেই সভায় আমরা অনেক তরুণরা ছিলাম, সেদিনই আমরা বুঝেছিলাম যে, লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান হচ্ছে না। স্টেটসের ‘এস’ শব্দটাকে দিল্লীর মুসলিম লীগ সম্মেলনে কেটে বাদ দেয়া হয়েছে। এ থেকে আমরা বুঝে ফেলি কায়েদা আজম ও তার সহযোগীরা ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। যেভাবে লাহোর প্রস্তাবে সার্বভৌমত্ব ও স্বায়ত্তশাসনসহ আলাদা একটা স্টেট ইউনিট গঠনের কথা ছিল সেটা আর থাকছে না। সেদিনই আমি বুঝেছিলাম যে পাকিস্তান হয়েছে- এই পাকিস্তানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার থাকবে না।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দীর্ঘদিন দেখেছেন পাকিস্তান কিভাবে পূর্ব বাংলাকে শোষণ করছে, শাসন নির্যাতন করছে। আপন অভিজ্ঞতা ও বেদনা থেকে শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যেও চিত্র সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দিয়ে বিভিন্ন সময়ে তিনি জাতির সামনে শোষণ ও বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে বেসরকারী চাকরিতে, সরকারি চাকরিতে বাঙালীর প্রতিনিধিত্ব ছিল খুবই কম। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে, শিল্প-কারখানা স্থাপনে, বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব বাংলা ছিল বঞ্চিত। সে সময় পূর্ব পাকিস্তান শতকরা ’৬০-৭০ ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করত, যার মাত্র ২৫ ভাগ খরচ হতো পূর্ব বাংলায়। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীতে মাত্র ৬ ভাগ, নৌবাহিনীতে মাত্র ৮ ভাগ এবং বিমান বাহিনীতে মাত্র ১৬ ভাগ ছিল বাঙালী। উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা ১০-১২ জনের বেশি ছিল না। আর পাকিস্তানের ১২৩ জন জয়েন্ট সেক্রেটারির মধ্যে মাত্র ০৮ জন ছিল বাঙালী, কোন সচিব ছিল না। উন্নয়ন খাতে ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৫-৬৬ সাল পর্যন্ত যেখানে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানে সেখানে পূর্ব বাংলার জন্য খরচ করা হয়েছিল মাত্র ৯০০ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বক্তৃতায় উঠে আশা এসব পরিসংখ্যান ছিল আমাদের জন্য, বাঙালীদের জন্য তীব্র বঞ্চনার ও ক্ষোভের। বঙ্গবন্ধু সেটা উপলব্ধি করে ছিলেন। তাই তো তাঁর চেতনায় মূর্ত হয়েছিল বিদ্রোহ ও স্বাধীনতার চিন্তা। তাই তো তিনি শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে ৬৪ সালে এনডিএফ থেকে বের করে আওয়ামী লীগকে পুনর্জীবিত করেন। তিনি ’৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের সময় বিশেষভাবে উপলব্ধি করেন পূর্ব বাংলার নিরাপত্তাহীনতা বিষয়টি। ওই যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করার কোন ব্যবস্থা বা সুরক্ষা পরিকল্পনা পাকিস্তানীদের ছিল না। এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা প্রণয়ন করেন। ১৯৬৬ সালে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারিতে লাহোরে বিরোধী দলের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটি সম্মেলন হয়, তিনি সেখানে ছয় দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে তাকে এ প্রস্তাবনা তুলতে দেয়া হয়নি। তবু বঙ্গবন্ধু থামার পাত্র নন, তিনি দেশে ফিরে এসে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে ছয় দফা তুলে ধরেন। যে ছয় দফার মূল দাবি ছিল বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসন। তিনি লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে শুধু পররাষ্ট্র ও দেশ রক্ষা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রেখে আর বাকি সব কিছু যেমন- মুদ্রাব্যবস্থা, কর ধার্যকরণ, প্যারামিলিশিয়া, বৈদেশিক বাণিজ্য এবং বাণিজ্য প্রাদেশিক সরকার তথা পূর্ব পাকিস্তানের হাতে ন্যস্ত করার দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরেন। তিনি ছয় দফা দাবিকে বাঙালীর মুক্তির সনদ হিসেবে ঘোষণা করেন।
৭ জুন হয়ে ওঠে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের এক উজ্জ্বল টার্নিং পয়েন্ট। ছয় দফার এ আন্দলনে বাঙালীর স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতার চেতনা আরও সুদৃঢ় হয়। সূর্যের আলোর মতো বাঙালী জাতির হৃদয়ে প্রজ¦লিত হয়ে ওঠে শোষণ- নির্যাতন মুক্তির তীব্র আকাক্সক্ষা তথা স্বাধীনতা অর্জনের অভিমুখে যাত্রার প্রেরণা। বঙ্গবন্ধু জেলের ভেতরে থেকেও মানুষকে এমনভাবে সংগঠিত করেন, যোগাযোগ রাখেন যে ছয় দফার অন্দোলন, ৭ জুনের ত্যাগ ও সাহসিকতা, মানুষের অংশগ্রহণ, সারাদেশে বিদ্রোহের অগ্নি স্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি করে।
এই অবকাশে আমি ইতিহাসের একটি প্রামাণ্য তথ্য তুলে ধরতে চাই। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ৯৭ ভাগ মানুষ যুক্তফ্রন্টের পক্ষে, বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। এ রায় ছিল মূলত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পক্ষে বাঙালীর সুস্পষ্ট সুদৃঢ় অবস্থান। কিন্তু সেই নির্বাচিত সরকারকে দেশ চালাতে দেয়া হয়নি। ৯২ (ক) ধারা জারি করে সরকারকে বাতিল করে দেয়া হয়। সেই ৯২ (ক) ধারার সময় পূর্ব পাকিস্তানের গবর্নর ছিলেন মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা। তিনি একটা গোপন রিপোর্ট পাকিস্তানের গবর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদকে পাঠান। সেখানে তিনি লিখছেন ‘(Sheikh Mujibur Rahman has been in prison in Several Times’ (অনেক সময় শেখ মুজিব জেলে ছিলেন)। ‘He is remarkably a good Organige (তিনি একজন অসাধারণ সংগঠক). ‘Hasguts’(তার রয়েছে শক্তিশালী মেরুদন্ড )।
Holds extreme views in politics (তিনি কোন দিন তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি, লক্ষ্যের বিষয়ে তিনি আপোসহীন। ‘He is an experienced agitator’ (যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি মানুষকে উত্তেজিত করতে পারেন। তিনি সম্মোহনী ক্ষমতার অধিকারী। ‘Man described as a stormy Petrels of Awamileague’ (প্রেট্রল হলো সমুদ্রের এমন একটা পাখি যে অনেকদূর উড়ে যেতে পারে শক্ত তার পাখা। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের প্রেট্রেল বঙ্গবন্ধু যে কোন ঝড়ঝঞ্ঝা, বাধা-বিপত্তির মুখে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি রাখে।) ‘A Dangerous Gentlemen who is Best in Jail’ পাকিস্তানের জন্য অতিশয় বিপজ্জনক এ ভদ্রলোককে জেলে রাখায় উত্তম)
আইয়ুব খান যখন দেখলেন, শেখ মুজিবকে জেলে রেখেও তাঁর আন্দোলনকে দমন করা যাচ্ছে না, তখন তাঁর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ফাঁদা হলো। পাকিস্তানী স্বৈরশাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সফল হয়নি। ১৯৬৯ এর অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আইয়ুব খানের পতন হয়। বঙ্গবন্ধু মহাবীরের বেশে জেলখানা থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর জনগণের মধ্যে ফিরে আসেন। ছাত্র জনতা আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় বাঙালীর নয়নের মনি, মুক্তিদূত জননেতা শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ছাত্রনেতা জনাব তোফায়েল আহমেদ এই ঘোষণা বাণী উচ্চারণ করলে লাখো ছাত্র-জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ে। এই ঘটনার পর বাংলার মানুষ আরও ঐক্যবদ্ধ হয়, ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়।
বঙ্গবন্ধু সব সময় স্বপ্ন দেখেছেন- ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু তাঁর এই স্বপ্নকে সাদামাটা ভাষায় বলতেন ‘আমি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।’ প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশ। নদী-নালা খাল-বিল, অবারিত মাঠ, ধানক্ষেত, পালতোলা নৌকার স্বপ্নযাত্রা এসবে মুগ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর দেশপ্রেমকে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি মধুমতির তীরে জন্মগ্রহণ করে, বিচরণ করে প্রাণভরে প্রতিনিয়ত বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য দেখেছেন। দেখেছেন-শোষিত-বঞ্চিত, নির্যাতিত-নিপিড়িত মানুষের নিষ্ঠুর দারিদ্র্যপীড়িত কষ্টের জীবন। তাই তিনি সবসময় বাঙালীর মুক্তির কথা চিন্তা করেছেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হন গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে। তিনি তাঁর স্বপ্ন- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে যেতে পারেননি। ছয় দফা দাবির যে অন্তর্নিহিত প্রত্যাশা ছিল স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র গঠন এবং বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি সাধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আমাদের বিশ্ব নন্দিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনা। যে দেশে পাকিস্তান আমলে মাত্র সাত কোটি মানুষের জীবন ছিল নিদারুণ দারিদ্র্যপীড়িত- সেই দেশের সতের কোটি মানুষ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্য জয়ের লড়াই এ দারুণভাবে অগ্রসরমান।
আমাদের প্রতিটি দিনই বিজয়ের দিন। বিশ্ব কাঁপানো করোনা মহামারী জয়ের স্বপ্ন দেখছি আমরা। সকলে মিলে এ স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করব, মুক্তিযুদ্ধের অর্ধশতবর্ষ পালনের প্রাক্কালে এবং মুজিববর্ষে এই হোক ছয় দফা দিবসের প্রতিজ্ঞা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।
লেখক : এমপি, কৃষিমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার