নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ে প্রায় এক লাখ ৩৬ হাজার ডিজিটাল জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরণ করা হয়েছে। ৫ দিনের এই বিতরণ কর্মসূচী ১৩ মে রাত ১১ টায় উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে শেষ হয়েছে। উৎসবমুখোর পরিবেশে বিভিন্ন্ বয়সের নারী পুরুষদের আগ্রহের সাথে এই র্স্মাট কার্ড নিতে দেখা গেছে। প্রতিজন ভোটার কে চোখের আইরিশ দিয়ে (চোখের ছাপ) স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া, বড়খাতা, গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিংগীমারী, টংভাঙ্গা, সিন্দুর্ণা, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, নওদাবাস, গোতামারী ও ভেলাগুড়ি এই ১২ টি ইউনিয়নের এক লাখ ৫৬ হাজার ৪০৬ জন কে জাতীয় নির্বাচন কমিশন হতে সার্বধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল জাতীয় পরিচয় পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণ করতে বলা হয়।
গত ৮ মে হতে ১৩ মে পর্যন্ত ১২টি ইউনিয়নে ডিজিটাল জাতীয় পরিচয় পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণ করা হয়। শুষ্ঠু সুন্দর ভাবে স্মার্ট কার্ড বিতরণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। উৎসবমুখোর পরিবেশে ডিজিটাল জাতীয় পরিচয় পত্র ( স্মার্ট কার্ড) নিতে আগ্রহের কমতি ছিল না। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করেছে। কার্ড নিতে পুরোন দিনের ছবিসহ লেমিনেটিং কার্ডটি সাথে আনতে হয়েছে। সকলকে আইরশ( চোখের ছাপ) দিতে হয়েছে।
পুরোন লিমেনেটিং জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে ৩৪৫ টাকা সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে জমা করে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। এ জন্য আগামী ১৫ মে হতে ১৭ মে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন অফিসে ডিজিটাল জাতীয় পরিচয় পত্র ( স্মার্ট কার্ড) দেয়া হবে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম জানান, ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে ডিজিটাল জাতীয় পরিচয় পত্র ( স্মার্ট কার্ড) সাধারণ নাগরিক গণ সংগ্রহ করেছে। ইতোমধ্যে এক লাখ ৫৬ হাজার ৪০৬ টি স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্রের মধ্যে প্রায় এক লাখ ৩৬ হাজার বিতরণ করা হয়েছে। স্মার্ট কার্ড এখন শুধু ভোটের দিন ভোটদিয়ে প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় তা নয়। সকল প্রয়োজনে ডিজিটাল জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হয়। বে সরকারী ও সরকারী সকল ধরণের সেবা নিতে ডিজিটাল জাতীয় পরিচয় পত্র অতীব জরুরী ।