স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ অর্ধেক জনবল দিয়ে চলছে খুলনার প্রাণিসম্পদ দফতরের কার্যক্রম। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১১৪ পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ৫৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী। ৫৮ পদ শূন্য থাকায় কর্মরতদের প্রশাসনিক ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গবাদি পশু, হাঁস-মুরগির চিকিৎসা ও সম্প্রসারণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রাণিসম্পদ দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। এই খাত থেকে মাংস, ডিম ও দুধের চাহিদা পূরণ হয়। জাতীয় অর্থনীতিতেও এ খাতের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরের খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের আওতায় ৫৮টি পদ শূন্য রয়েছে। ডেপুটেশনে একাধিক পদে জনবল দিয়ে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। সূত্র জানায়, জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ফুলতলা ও তেরখাদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারের পদ শূন্য। ভেটিরিনারারি সার্জনের ১০টি পদের মধ্যে ফুলতলা, তেরখাদা, দাকোপ, কয়রা ও দিঘলিয়ার পদ ফাঁকা রয়েছে। উপজেলা লাইভস্টক এ্যাসিসট্যান্টের ৯টি পদের মধ্যে সব কয়টি শূন্য। উপসহকারী প্রাণিসম্পদ অফিসার (সম্প্রঃ) ২৮টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১৬ জন। উপসহকারী প্রাণিসম্পদ অফিসার (কৃত্রিম প্রজনন) ১০টি পদের মধ্যে ৭টি শূন্য। উপসহকারী প্রাণিসম্পদ অফিসার (প্রাণি স্বাস্থ্য) ৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ জন। স্টোরকীপারের একটি পদ থাকলেও সেটি শূন্য রয়েছে। ক্যাশিয়ারের পদটিও ফাঁকা রয়েছে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের ৯টি পদের মধ্যে ৩টি শূন্য। ড্রেসারের ৯টি পদের মধ্যে ৭টি, অফিস সহায়কের ১০টি পদের মধ্যে ২টি শূন্য রয়েছে।
ফুলতলা উপজেলার পোল্ট্রি মালিক সরদার হাফিজুর রহমান মিন্টু বলেন, করোনাকালীন ক্ষতি কাটিয়ে খামারিদের এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। বাজারে মাংস, ডিম ও দুধের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে পারলে অধিকাংশ খামারিরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। একই উপজেলার বসুরাবাদের গরু খামারি বাবলু বিশ^াস জানান, কয়েকবার গাভীর স্বাস্থ্যসেবা পেতে পশু হাসপাতালে যান। কিন্তু হাসপাতালে লোকবল সঙ্কটের জন্য সময়মতো চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অরুণ কান্তি ম-ল বলেন, জেলায় অনুমোদিত মোট পদের সংখ্যা ১১৪টি। এর মধ্যে ৫৮টি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য পদ পূরণের জন্য মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। অতি শীঘ্রই শূন্য পদগুলো পূরণ হবে বলে তিনি আশা করছেন।