ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ধারণা

প্রকাশিত: ২২:২১, ৮ জানুয়ারি ২০২২

নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ধারণা

আমরা আমাদের হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের সব থেকে বেশি বিড়ম্বনায় পড়ি নেটওয়ার্ক নিয়ে। তাই এবারের বিষয় নেটওয়ার্ক। আপনার ফোনের ডাটা সংযোগ বুঝে সেট করে নিতে হবে নিজস্ব নেটওয়ার্ক। তাহলেই আমরা পেতে পারি কাক্সিক্ষত গতি ১জি নেটওয়ার্ক ১জি নেটওয়ার্ক বলতে বুঝায় প্রথম জেনারেশনের নেটওয়ার্ক। এইটা অবশ্য সবাই জানেন। বৈশিষ্ট্যগুলো- ১জি নেটওয়ার্কের প্রথম বৈশিষ্ট্য বা ডিজএডভান্টেজও বলা যেতে পারে, সেটা হলো এর একটা এরিয়া লিমিট ছিল। নির্দিষ্ট এরিয়ার মধ্যে কল বা মেসেজ পাঠানো যেত শুধু। আর অবশ্যই প্রতিটা জেনারেশনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলো স্পীড। ১জি নেটওয়ার্কের স্পীড ছিল ২৮-৫৬ কেবিপিএস। ২জি নেটওয়ার্ক ২জি নেটওয়ার্ক হলো দ্বিতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সিস্টেম। ২জি নেটওয়ার্ক মূলত ন্যারো ব্যান্ড বেসড নেটওয়ার্কিং সিস্টেম। ২জি নেটওয়ার্কেই সিগন্যালগুলো প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ফরম্যাটে ট্রান্সফার হয় এবং এর গুণগত মানও ১জি এর চেয়ে অনেকটা উন্নত হয়। ২জি নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে জিপিআরএস (gprs=general packet radio service) সহ নেটওয়ার্কের স্পীড ৫০ কেবিপিএস (kilo bit per second) (অবশ্য প্র্যাক্টিক্যালি ৪০ কেবিপিএস) পাওয়া যায়। আর এজ (edge=enhanced data rates for) সহ ২জিতে স্পীড ২৫০ কেবিপিএস (প্র্যাক্টিক্যালি ১৫০ কেবিপিএস) পাওয়া যায়। ৩জি নেটওয়ার্ক অনলাইন টিভি, হাই ডেফিনেশন ভিডিও, ভিডিও কলিং, ভিডিও গেমসগুলো মূলত যার জন্য সম্ভব হয়েছে তা হলো তৃতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বা ৩জি নেটওয়ার্ক। ২জি এর চেয়ে ৩জি নেটওয়ার্কের কোয়ালিটি ও স্পীড দুইটারই অনেক উন্নতি হওয়ায় ভিডিও কলিংসহ অন্যান্য সুবিধাগুলো সম্ভব হয়েছে ৩জিতে। ৩জিরই উন্নত ভার্সন যে ৩.৫ জি, ৩.৭৫জি ও এইচএসপিএস। ৩জির ডাউনলোড স্পীড ৩৮৪ কেবিপিএস- ২এমবিপিএস, ৩.৫জি এর ডাউনলোড স্পীড ১.৮ এমবিপিএস- ৩.৫ এমবিপিএস, আর ৩.৫ জি এর ডাউনলোড স্পীড সর্বোচ্চ ১৪.৪ এমবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে। ৪জি নেটওয়ার্ক ৩জি এর তুলনায় বলতে গেলে ৪জি নেটওয়ার্কের স্পীড হলো সিডর। থিওরিটিক্যালি এর ডাউনলোড স্পীড ১০০ এমবিপিএস থেকে ১জিবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে। ৫জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ৪জি প্রযুক্তির চেয়ে ২০ গুণ বেশি গতিতে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫জি সেবার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত গাড়ি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, স্মার্ট শহর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো আধুনিক প্রযুক্তি ও ধ্যান-ধারণাকে বাস্তবে রূপান্তর করা সম্ভব। আইটি ডট কম ডেস্ক
×