ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিতর্কিত অডিও সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত: ১২:৪০, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিতর্কিত অডিও সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক ॥ সম্প্রতি মাহিয়া মাহির সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদের ফোনালাপ ফাঁস হয়। মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের ফোনে কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে তার এ ধরনের বক্তব্য ও মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আজ ছড়িয়ে পড়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের অসৌজন্যমূলক ও বিতর্কিত অডিও সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে আদালতে আইনজীবী সুমন বলেন, জরুরিভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিওগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন। অপসারণ না করলে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা এই ধরনের গালাগালি এবং অশ্লীল কথা বার্তা শুনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিও দ্রুত সরাতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা প্রার্থনা করছি। এরপর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারকে বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ওই অডিও-ভিডিওগুলো সরানোর পদক্ষেপ নিতে বলেন। এ বিষয়ে বুধবার অগ্রগতি আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেন। ডা. মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের (৭ ডিসেম্বর) মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তার বাসভবনে ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এবিষয়ে কথা হয়েছে। আমি রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছি। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের এক সদস্য সম্পর্কে বক্তব্য দেন। তার ওই বক্তব্যে নারী বিদ্বেষের অভিযোগ ওঠে। এরপর নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার ফোনালাপ ফাঁস হয়। মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের ফোনে কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনালাপে তিনি অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন। অশ্লীল ভাষায় মাহিকে তার সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পাঠিয়ে তুলে আনার হুমকি দেন মুরাদ হাসান। এসব ঘটনায় বিভিন্ন দিক থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে তার এ ধরনের বক্তব্য ও মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান আলোচনা-সমালোচনায় এসেছেন। একে একে তার বিষয়গুলো বর্তমান পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে তথ্য প্রতিমন্ত্রী নারী বিদ্বেষী বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছিলেন বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো। আর রাতেই গেল তার পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
×