ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খোকা রাজাকারের ফাঁসির রায়ে আদমদীঘিতে আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ২৪ নভেম্বর ২০২১

খোকা রাজাকারের ফাঁসির রায়ে আদমদীঘিতে আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার ॥ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলায় এক সাথে ৪ মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৯ স্বাধীনতাকামি মানুষকে হত্যা ও গণহত্যা এবং ১৯ বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস এবং সম্পদ লুটের অপরাধ করা সংক্রান্ত মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আদালতে ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত হলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বগুড়ার আদমদীঘি থানার ১নং রাজাকার আব্দুল মুমিন তালুকদার খোকা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে রায় ঘোষনা হবার পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেন মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা সুবিদ আলী, শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্থদের বর্তমান প্রজন্ম, সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানিকারি আওয়ামীলীগের নেতা ও কর্মী-সমর্থকসহ স্বাধীনতা সপক্ষের মানুষ। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে এবং বেলা ১২টায় উপজেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগ ও স্বাধীনতা সপক্ষের বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশ গ্রহনে আনন্দ মিছিল করা হয়েছে। মিছিল শেষে সান্তাহার পৌর এবং উপজেলা সদরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা করা হয়। আদমদীঘি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু। বক্তব্য রাখেন যুবলীগ নেতা জিল্লুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা নাজিমুল হুদা খন্দকার, আবু রেজা খান, রফিকুল ইসলাম, সুমিনুল ইসলাম সুমন,মিহির কুমার সরকার, মিজানুর রহমান বাবু, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী মনজুআরা বেগম, সালমা বেগম চাঁপা প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিপুল পরিমান মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সভায় বক্তারা দৈনিক জনকন্ঠ এবং জনকন্ঠের আদমদীঘি উপজেলার নিজস্ব সংবাদদাতা মোঃ হারেজুজ্জামান হারেজকে অভিনন্দন জানান। তারা বলেন দৈনিক জনকন্ঠের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ”সেই রাজাকার” শিরোনামে ধারাবাহিক রিপোর্ট প্রকাশ করার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধীদের বিচার করার উদ্যোগ নিতে শেখ হাসিনার সরকারকে ব্যাপক সহযোগীতা করেছে। তাঁরা জনকন্ঠের ভুয়সি প্রশংসা করে বলেন, জনপ্রিয় এই পত্রিকার আদমদীঘি নিজস্ব সংবাদদাতা হারেজুজ্জামান হারেজ ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি সেই রাজাকার কলামে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আব্দুল মজিদ তালুকদার ও তার পরিবারের যুদ্ধাপরাধের অজানা কাহিনী তুলে ধরেছিলেন। একারনে হামলা, হুমকি-ধামকি ও মামলার শিকার হয়েছিলেন। সে মামলার পৌনে ৬ বছর পর ২০০৭ সালে জনকন্ঠ এবং জনকন্ঠের আদমদীঘি প্রতিনিধি মোঃ হারেজুজ্জামান হারেজ জয়লাভ করেন। বক্তারা আরো বলেন, রাজাকার এবং তাদের সমর্থক গোষ্টি এখনো ষড়যন্ত্র লিপ্ত। সে কারনে দন্ডিত রাজাকার আব্দুল মুমিন তালুকদার ওরফে খোকা রাজাকার দেশ-বিদেশ যেখানেই পালিয়ে থাকুক না কেন, রাস্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে ফাঁসির রায় কার্যকর করলে তবেই শহীদ ৪ মুক্তিযোদ্ধাসহ সব শহীদ এবং ক্ষতিগ্রস্থদের আত্মা এবং তাদের বর্তমান প্রজন্ম মানষিক ভাবে শান্তি পাবে।
×