ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সম্প্রীতি ও শান্তি সমাবেশ

স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে আঘাত হানতেই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস

প্রকাশিত: ২৩:৪৩, ২০ অক্টোবর ২০২১

স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে আঘাত হানতেই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাঙালী জাতিসত্তার শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আঘাত করতেই বারবার সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টি করে সম্প্রীতির পরিবেশ ক্ষুণœ করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। যারা এই অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে সংগঠনের তৃণমূল স্তরকে সুসংহত ও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে। মঙ্গলবার সকালে নগরের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল স্তরের প্রতিনিধিত্বমূলক বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা ও ভরসার প্রতীক। এই অহঙ্কার কোনদিন চূর্ণ হবে না। যে কোন মূল্যে তা ধরে রাখতে হবে। কারণ অশুভ শক্তি অশনি সংকেত বার্তা ছড়াচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে বিভাজন ও বিভক্তির কারণেই ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতাসীন হয়। ফলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির রাজনৈতিক উত্থান ঘটেছিল। এটাই ছিল বাঙালী জাতিসত্তার বিরুদ্ধে বড় অপঘাত। এই অপঘাতের শিকড় আরও গভীরে যাবার আগে উপড়ে না ফেলতে পারলে জাতীয় অস্তিত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না। তাই এখন থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে জাতীয় অস্তিত্ব সুরক্ষায় অগ্রবর্তী বাহিনী গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাদের গৌরব, অহঙ্কার ও বিশ্বাসের জায়গা। এই জায়গাটির সুরক্ষা হলেই আমাদের মান-সম্মান ও প্রাণের সুরক্ষা হবে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, প্রত্যেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর অনেক অনেক ত্যাগের ফলে দল টানা তিনবার ক্ষমতায় এবং বড় বড় অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে এতে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। নেতাকর্মীদের সামান্য ভুলে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি বলেন, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ধারা, উপধারা অনুসরণ করেই তৃণমূল স্তরের কমিটিগুলো গঠিত হবে। ১৬ নবেম্বর থেকে মহানগর আওয়ামী লীগ নির্ধারিত তারিখ ও স্থান অনুযায়ী প্রথমে ইউনিট সম্মেলন হবে এবং তিনটি করে ইউনিট সম্মেলন শেষ হলে ওয়ার্ড সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বর্ধিত সভার বিরতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সম্প্রীতি ও শান্তি র‌্যালি আইসিসি কনভেনশন সেন্টার থেকে বেরিয়ে কাজীর দেউড়ি, আসকার দীঘিরপাড়, জামালখান প্রেসক্লাব হয়ে আবার বর্ধিত সভাস্থলে ফিরে আসে। সভায় ইতোমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগ হতে সরবরাহ করা তথ্য সংগ্রহ ফরম পূরণ করে তা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া আগামী ৩ নবেম্বর জেলহত্যা দিবস, ৪ নবেম্বর আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকী পালন এবং ৫ নবেম্বর আন্দরকিল্লা চত্বরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত তৃণমূলের বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা শফর আলী, শেখ মোঃ ইসহাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ সমশের, এ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সায়মুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। মহানগরীর ১৫টি থানা, ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কসহ ১২৯টি ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ এ তৃণমূল বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ১০ দিন পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে শান্তি ও সম্প্রীতি কর্মসূচী পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়। বর্ধিত সভায় অংশ গ্রহণকারীদের দলীয় সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচী পালনে শপথবাক্য পাঠ করান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
×