স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের দক্ষিন সোনাখুলী গ্রামে ৫০ হাজার যৌতুকের জন্য স্ত্রী সুমী আক্তারকে মারপিট,আগুনের ছ্যাকা ও শ্বাস রোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী আলমগীর হোসেনকে (২৮) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া দন্ডিত আসামির ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে দিকে নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২এর বিচারক মোঃ মাহবুবুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীর পরিবারের অপর ৬ সদস্য যথাক্রমে বাবা সিরাজুল ইসলাম, মা আনোয়ারা বেগম, বোন শিল্পি বেগম, চাচা ওবায়দুর রহমান, জিয়াউর রহমান জিয়া ও ফুফু রোকসানা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় সকল আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উক্ত আদালতের সরকারী কৌশলী এ্যাডঃ রমেন্দ্র বর্ধন বাপী।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর সরকারি কৌঁসুলি এ্যাডঃ রমেন্দ্র বর্ধন বাপী বলেন, হত্যাকান্ডের প্রায় ৫ বছরের মাথায় এই রায় ঘোষণা করা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আল-বরকত হোসেন বলেন আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।