ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশে ভারতীয় কোভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ৪ আগস্ট ২০২১

দেশে ভারতীয় কোভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার দেশে ট্রায়ালের অনুমোদন পেল ভারতের নিজস্ব উদ্ভাবিত টিকা ‘কোভ্যাকসিন’। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এ অনুমোদন দেয়। ট্রায়াল পর্ব সফলভাবে সম্পন্ন হলে প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আরেকটি কার্যকর টিকা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে, সেই বিষয় এখনও নিশ্চিত করেনি কাউন্সিল। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বেশকিছু দিন আগেই কোভ্যাকসিন টিকা দেশে ট্রায়ালের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং যুক্তির ওপর ভিত্তি করে আমরা এ অনুমোদন দিয়েছি। এই টিকার ট্রায়ালে আর কোন বাধা নেই। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কোভ্যাকসিনের কোন ডোজ আসেনি। চলতি বছর জানুয়ারিতে বাংলাদেশে কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালানোর অনুমতি চেয়েছিল ভারত বায়োটেক। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে সে সময় এ আবেদনের পক্ষে ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোন উত্তর দেয়া হয়নি। জানা যায়, করোনা মোকাবেলায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি ও উদ্যোগে তৈরি প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র টিকা কোভ্যাকসিন। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যভিত্তিক ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক এ টিকার উদ্ভাবক। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) কয়েক মাস আগে এই টিকা ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসির কাছে অনুমতি চেয়েছিল। আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী কে জামান এ ট্রায়ালের প্রধান গবেষক। ২৪ বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক কোভ্যাকসিন ছাড়াও এ পর্যন্ত ১৬টি টিকা প্রস্তুত করেছে এবং ১২৩টি দেশে সেসব টিকা রফতানি হয়। চলতি বছর ৩ জানুয়ারি জরুরী প্রয়োজনে এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচী শুরু করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ কর্মসূচীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে করোনা টিকা অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন। জানা যায়, অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় কোভিশিল্ডের প্রস্তুতকারী কোম্পানি হলো ভারতীয় টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট, যা বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন টিকার মূল উপাদান মৃত বা নিষ্ক্রিয় করোনাভাইরাস, যা নিরাপদে মানবদেহে প্রবেশ করানো যায়। ভারত বায়োটেককে মৃত করোনাভাইরাসের নমুনা সরবরাহ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি।
×