ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

টিকা নেয়ার বয়স শীঘ্রই ১৮ হবে

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ২৪ জুলাই ২০২১

টিকা নেয়ার বয়স শীঘ্রই ১৮ হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান টিকাকরণ কর্মসূচীকে আরও গতিশীল করতে চাচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে আগামীতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী বাংলাদেশীরা এখন করোনার টিকা নিতে পারবেন। টিকার সর্বনি¤œ বয়সসীমা ১৮ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই এটি বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সকালে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই এর বাস্তবায়ন শুরু করব। আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, প্রান্তিক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে গ্রাম পর্যায়ে টিকা প্রয়োগ নিয়ে ভাবা হচ্ছে। গ্রামের মানুষদের অন্যান্য রোগের টিকা যেভাবে দেয়া হয় সেভাবেই করোনা টিকা দেয়া যায় কি না এ বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা করছে। যদি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিকা কার্ড দেখেই টিকা নিতে সম্ভব হবে, নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, স্বাভাবিক সময়ে অক্সিজেনের চাহিদা ৭০ থেকে ৯০ টনের মতো থাকে, কিন্তু এখন তা ২০০ টনে চলে গেছে। তবে এখনও দেশে অক্সিজেনের জোগান আছে এবং ভারত থেকেও আমদানি হচ্ছে। টিকা নেয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, মুগদা হাসপাতালে কয়েকজন বয়স্ক রোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন, যাদের অবস্থা খারাপ। তারা কেউ টিকা নেননি। তাদের টিকা নেয়া উচিত। টিকা নেয়ার পরে আক্রান্ত হলেও উপসর্গ কম থাকে। ঝুঁকি কম থাকে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এক প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ আলম বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব কি না তা এখন বুঝতে পারছি না। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে সরকারের ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট ভাল আছে। মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে। বিধিনিষেধের প্রভাব প্রসঙ্গে খুরশীদ আলম বলেন, আগের দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধে তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। তবে সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ কমেছে। তবে আরও কিছুদিন পরে বিধিনিষেধের প্রভাব বোঝা যাবে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, ঢাকার বাইরের হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও লোকজন ঢাকায় চলে এসেছে।
×