ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাবমেরিন ক্যাবলে আলোকিত হবে দুর্গম চরাঞ্চল

প্রকাশিত: ২০:৫১, ৪ মে ২০২১

সাবমেরিন ক্যাবলে আলোকিত হবে দুর্গম চরাঞ্চল

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুত পেতে যাচ্ছে নদীবেষ্টিত ও নদীতে খ-িত বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দুর্গম জাঙ্গালিয়া, চরগোপালপুর ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এতদিন এ তিনটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিদ্যুত সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। সূত্রমতে, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা থেকে মাসকাটা নদীর তলদেশ হয়ে ওই তিন ইউনিয়নের দক্ষিণ তীরে ১৭শত মিটার সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন কাজের গত ২ মে উদ্বোধন করা হয়েছে। আর এ সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন শেষে বিদ্যুতায়নের মধ্যদিয়ে ওইসব এলাকার প্রায় ১০ হাজার পরিবার বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবেন। সূত্রে আরও জানা গেছে, জেলা সদরের সঙ্গে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় ওই উপজেলার মানুষ আধুনিক উন্নয়ন থেকে অনেকটা বঞ্চিত। বিশেষ করে এ উপজেলার বেশিরভাগ মানুষকে নদী ভাঙনের সঙ্গে যুদ্ধ করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ওই উপজেলার দুর্গম তিনটি ইউনিয়নের মানুষ সাবমেরিন ক্যাবলের সহায়তায় বিদ্যুত সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। মাসকাটা নদীর তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ বলেন, উন্নয়নের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন, তা করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার। সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষপর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাসকাটা নদীর তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন শেষে বিদ্যুতায়নের মধ্যদিয়ে দুর্গম চরের তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার পরিবার কুপি বাতির আলো থেকে মুক্ত হয়ে চরাঞ্চলের মানুষগুলো বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবেন। মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ভুলু জনকণ্ঠকে বলেন, উপজেলা সদর থেকে জাঙ্গালিয়া, চরগোপালপুর ও শ্রীপুর ইউনিয়ন দুর্গম চর। মাসকাটা নদী পাড়ি দিয়ে এখানে বিদ্যুত যাবে তা কখনও ভাবিনি। অবশেষে দুর্গম চরের ওই তিনটি ইউনিয়নে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু হওয়ায় তিনটি ইউনিয়নের দশ হাজার পরিবারের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পল্লী বিদ্যুতের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জনকণ্ঠকে বলেন, দুর্গম তিনটি ইউনিয়নকে বিদ্যুত সংযোগের আওতায় আনতে মাসকাটা নদীর তলদেশ দিয়ে ১৭শ’ মিটার সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই পুরো কাজ শেষে বিদ্যুতায়নের মধ্যদিয়ে দুর্গম চরের তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করা হবে। বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, চরাঞ্চলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বিদ্যুত সংযোগের। আমি তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, বিদ্যুতের আলো পৌঁছানোর। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় ও তার নির্দেশে আমি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যদিয়ে কুপি বাতির আলো থেকে মুক্ত হয়ে খুব শীঘ্রই দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষগুলো বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবেন।
×