ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ালিউর রহমান

আমাদের গর্ব মুজিবনগর সরকার

প্রকাশিত: ২০:২০, ৩ মে ২০২১

আমাদের গর্ব মুজিবনগর সরকার

১৭ এপ্রিল ১৯৭১- ঐ দিনটি আমি এবং আমার স্ত্রী শাহরুখের জন্য অনেক আনন্দের একটা দিন ছিল। আমি তখন পাকিস্তানে চাকরিরত ছিলাম। আমরা ১০ জন ছিলাম বাঙালী । ইউসুফ খান মজলিস ও তার স্ত্রীই যেন সেখানের পুরো নেতৃত্ব নিয়ে নিল। পুরো সন্ধ্যাটাকে আনন্দমুখর করে তুলল। বাঙালীর গান, ছড়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ইতিহাস সব কিছু মিলে যেন এক অন্যরকম পরিবেশ ছিল। বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে তিনি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। গ্রেফতার হওয়ার একটু আগে ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর (২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ই.পি.আর-এর ট্রান্সমিটারে থেকে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়। ঘোষণাটি নিম্নরূপ- ‘এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানী সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।’ এই ঘোষণাটি ছিল বাঙালী জাতির প্রেরণার উৎস। যাকে সম্বল করে বাঙালী জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। মুজিবনগর সরকার গঠিত হবার পর তাজউদ্দীন আহমেদের নির্দেশে একটি আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণা প্রস্তুত করা হয়। সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন সে ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি এবং এর দ্বারা পূর্বাহ্ণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি; এবং এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; এবং রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী থাকবেন; এবং তার কর ধার্য ও অর্থ ব্যয়ের ক্ষমতা থাকবে; এবং বাংলাদেশের জনসাধারণের জন্য আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন। বাংলাদেশের জনগণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, কোন কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা যদি রাষ্ট্রপ্রধান কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধান প্রদত্ত সকল দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন। আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসাবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের ওপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তেছে তা যথাযথভাবে আমরা পালন করব। আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে। এই ঘোষণার পরপরই আমরা যারা বিদেশে চাকরিরত ছিলাম তারা এই দলিলের ভিত্তিতেই অর্থাৎ দেশের কাছে আমাদের এই সরকারের বৈধতা তুলে ধরলাম এবং চাইলাম স্বাধীন বাংলার স্বীকৃতি। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিনিধি এই ঐতিহাসিক শপথ গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন। আমি মুজিবনগর সরকারের নির্দেশনায় পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসের চাকরি ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তান দূতাবাস ত্যাগ করি। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ও ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণা এই দুটি দলিল ছিল আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে নিয়ে আমি আমার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ি। অনেক বন্ধু আমাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল। আমার সঙ্গে বিদেশে দায়িত্বরত অনেক বাঙালী ছিলেন। আরও ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত এয়ার চিফ মার্শাল অর্জুন সিংহ। তিনি বার্নে দায়িত্বরত ছিলেন। আরেকজন হলেন এ্যাম্বাসেডর পূর্ণেন্দু কুমার ব্যানার্জী। তিনি জেনেভায় দায়িত্বরত ছিলেন। আমরা তাকে পিকে বলে ডাকতাম। তিনি বঙ্গবন্ধুকে চিনতেন। তিনি পঞ্চাশ দশকে ভারতের অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানে কনস্যুলার জেনারেল ছিলেন। কিছু সুইস নেতৃবৃন্দ ছাড়া জোন জিগলার (ঔবধহ তরবমষবৎ) যিনি স্বাধীন বাংলাদেশের যে কমিটি করেছিলেন তারা সবাই মিলে আমাকে সাধুবাদ জানালেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যা যা করা দরকার তা সবই আমরা করতে থাকলাম। যুদ্ধ চলাকালীন জেনেভায় ৯ মাস রিফিউজি হিসেবে ছিলাম। আমরা বহির্বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্বাধীনতার সপক্ষে বিশ্ব জনমত তৈরির প্রচেষ্টায় ছিলাম। মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হতো। সে সময় মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছি এবং বাংলাদেশের জন্য সাহায্য চেয়েছি। তখন সকল দেশে যেতে ভিসা লাগত। কিন্তু আমার কাছে কোন ভিসা ছিল না, রিফিউজি ডকুমেন্ট ছিল। কিন্তু যখন তারা শুনেছে আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রিপ্রেজেন্টেটিভ তখনই তারা বলত আপনি যান, যেহেতু আপনি শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের এবং তাঁর প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন তাই আপনার কোন ভিসা লাগবে না। তিনি শুধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। মুক্তিযুদ্ধের সময়টায় সুইস রেডক্রস, ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রসসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের এক কোটি শরণার্থীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল। এর নেপথ্যে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলাম। আমার বাড়ির কাছে একজন সুইস কর্তা ছিলেন। তার স্বামী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেছেন। ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি কেউ তার সঙ্গে থাকে না। তিনি খুব ভোরে কিছু ফুলের তোড়া নিয়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন। আমি তখন একজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। তিনি ফুলের তোড়াগুলো আমার হাতে দিয়ে সাধুবাদ জানালেন এবং বললেন, তোমাদের স্বাধীনতা হয়ত কিছুটা সময়ের ব্যাপার, কিন্তু আমার বিশ্বাস তোমাদের বিজয় আসবে। এগুলো যদিও এখন সব ইতিহাস, কিন্তু আমার কাছে এগুলো এখনও সব সত্য ও বাস্তব বলে মনে হয়। তখন দেশের জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করে অনেকে যুদ্ধ করেছেন, অনেকে আহত হয়েছিল। বিভিন্ন ক্যাম্পে তাদের সেবাযত্ন করে সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে অনেক ডাক্তার, নার্স অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আমার বড় ভাই ডক্টর রেজাউল করিম, তিনিও ভারতের দুটি ক্যাম্পে এ দায়িত্বে ছিলেন। এ সবই তারা করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। এরপর আমার ছোট ভাই আহসান হাবীব, সে ঢাকা কলেজের ছাত্র ছিল। সে মুজিবনগর ক্যাম্পে গিয়ে মুজিব বাহিনীর সঙ্গে ট্রেনিং নিয়েছিল। তাদের দলনেতা ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তাদের কাছে যুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। এরপর এলো সেই কাক্সিক্ষত বিজয়ের দিন, ১৬ ডিসেম্বর সকাল থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে মিটিং চলছিল। আমাদের সঙ্গে মুজিবনগর সরকারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। জেনেভা থেকে আমি, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া এবং নিউইয়র্ক থেকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী প্রতিনিধি এস এ করিম সেখানে সর্বক্ষণ তথ্য আদান-প্রদান করছিলাম। জেনেভা থেকে পূর্ণেন্দু কুমার ব্যানার্জী, আমাকে দিল্লী ও মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের খবরাখবর দিয়ে যাচ্ছিলেন। মুজিবনগর সরকার আমাদের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি কিছুক্ষণ পরপর বিবৃত করছিল। আমাদের দায়িত্ব ছিল পাকিস্তানী সৈন্য আত্মসমর্পণ করা ও বাংলাদেশে বিজয় নিশ্চিত হবার আগ পর্যন্ত মিটিং চলমান রাখতে সহায়তা করা, যাতে নিরাপত্তা পরিষদ কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারে। তৎকালীন ভারতীয় প্রতিনিধি সরদার শরণ সিং বক্তৃতা দিলেন। রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে গ্রোমিকোও বক্তব্য রাখলেন। এরপর স্থায়ী কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে টানা ৬ ঘণ্টা বক্তব্য রাখলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জ্যাকব মালিক। ফলে নিরাপত্তা পরিষদ কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছার আগেই পাকিস্তান সৈন্যবাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ও বিজয় নিশ্চিত হয়। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ৩০ লাখ শহীদের বুকের তাজা রক্তের ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ- বাংলাদেশ, যা বাঙালী জাতিকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে বিশ্বপরিমন্ডলে। আর এই বিজয়ের পিছনে ছিল মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্ব। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন ও স্বাধীনতার ঘোষণা, আর ১৭ এপ্রিল বাঙালী জাতির চরম দুঃসময় এবং এক ক্রান্তিলগ্নে সেদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নিয়ে দেশবাসীকে আশার আলো দেখিয়েছিল। মুজিবনগর সরকার গঠনই ছিল স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম পদক্ষেপ। এর ফলে একটা সরকারী স্ট্রাকচার আমরা পেলাম এবং সে স্ট্রাকচারের মাধ্যমে মুজিবনগর সরকার একটা ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিল, যাদের নির্দেশনায় আমরা সারা ইউরোপে কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই গঠিত হয়েছিল মুজিবনগর সরকার। মুজিবনগর শুধু ঐতিহাসিক স্থানই নয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তিও বলা যায়। এখান থেকেই শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধের সব কার্যকলাপ। এই দিনটি এবং স্থানটি আমাদের আবেগের সঙ্গে জড়িত। আমরা যারা বিদেশে দায়িত্বরত ছিলাম এই দিনটি আমাদের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পুরো পৃথিবীতে বিভিন্ন রাষ্ট্রে যত বাঙালী আছে তাদের কাছেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই অন্যান্য বিশেষ দিনের মতো এই দিনটিও বিশেষভাবে স্মরণ করা উচিত। আমাদের ইতিহাসকে যদি আমরা সঠিকভাবে স্মরণ না করি বা সামনে না নিয়ে আসি তাহলে নতুন প্রজন্ম জানবে কি করে যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের কি ভূমিকা ছিল। তাই শুধু বাঙালীদেরকেই নয়, বরং পুরো বিশ্ববাসীর জানা উচিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস সম্পর্কে। লেখক : সাবেক সচিব
×