ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হেফাজতের ২৩ মামলার তদন্ত করবে সিআইডি

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ২১ এপ্রিল ২০২১

হেফাজতের ২৩ মামলার তদন্ত করবে সিআইডি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেছেন, হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে ২৩ মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। এছাড়া হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের আইনের আওতায় আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নাশকতার ঘটনার মামলায় মামুনুল হককে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হতে পারে। সিআইডির প্রধান জানান, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গত পাঁচ বছরে দেশের পাঁচটি জেলায় দায়ের করা ২৩টি মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। এগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০১৬ সালের পাঁচটি নাশকতার মামলাসহ এই জেলার বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মোট ১৫টি মামলা তদন্ত করা হবে। এছাড়া সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং মুন্সীগঞ্জের দুটি করে মামলা রয়েছে। হত্যা, বিস্ফোরক, নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা প্রচলিত আইন অনুযায়ী এসব মামলার তা তদন্ত করব। আমাদের ফরেনসিক, ডিএনএ, অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তা রয়েছে, সাইবার এক্সপার্ট রয়েছে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তদন্ত শেষ করব এবং যারা এখনও আইনের আওতায় আসেনি তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করব। হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় যারা উপস্থিত ছিল, মদত দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ফুটেজ ফরেনসিক করা হবে। ফরেনসিক করে যাদের পাওয়া যাবে তাদের সবাইকেই আমরা আইনের আওতায় আনব। এরই মধ্যে যেসব হেফাজত নেতা পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়েছেন প্রয়োজনে তাদেরও সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, হেফাজতে ইসলাম মার্চ মাসের শেষ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, আগুন নিয়েছে, অবরোধ করেছে, হরতালের ডাক দিয়েছে। যা প্রচলিত আইন অনুযায়ী অন্যায়। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গত ২৯ মার্চ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোতে মামুনুল হককে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। বাবুনগরীসহ হেফাজতের অন্য উর্ধতন নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, আমরা এসব মামলায় প্রাথমিক তদন্তে তিন ধরনের লোকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। সেগুলো হলো যারা উপস্থিত থেকেছে, অনুপস্থিত থাকলেও ইন্ধন দিয়েছে, দুষ্কর্মে যারা সহযোগিতা করেছে। বাবুনগরীসহ অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে বলছি না। তবে যদি কারও ইনভলমেন্ট পাই তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনের চোখে সবাই সমান। আমরা দ্রুত মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব। তিনি বলেন, তবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের প্রাথমিকভাবে সম্পৃক্ততা পেয়েছে সিআইডি। তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে আনতে চায় এসব মামলায় মামুনুল হকের কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কিনা, গেলে তাকে রিমান্ডে আনা হবে কি না জানতে চাইলে সিআইডির প্রধান বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। ওই মামলায় তাকে রিমান্ডের আবেদনও করা হবে। আমরা নারায়ণগঞ্জে দায়ের করা সব মামলা স্টাডি করছি। আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।
×