ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি ॥ ১৪ স্টাফসহ ঘাতক জাহাজটি আটক

প্রকাশিত: ২২:২৬, ৯ এপ্রিল ২০২১

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি ॥ ১৪ স্টাফসহ ঘাতক জাহাজটি আটক

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় লঞ্চডুবির ঘটনায় দায়ী ‘এসকেএল-৩’ নামের ঘাতক কার্গো জাহাজটি আটক করেছে কোস্টগার্ড। ঘটনার চারদিন পর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে নোঙ্গর করে জাহাজের নাম ও রং পরিবর্তন করার সময় গজারিয়া কোস্টগার্ডের সদস্যরা জাহাজটি আটক করে। এ সময় জাহাজে কর্মরত ১৪ স্টাফকেও আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণশুনানিতে ২৬ জন অংশ নিয়েছেন বলে তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান। গত রবিবার বিকেল পাঁচটা ৫৬ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ‘এমএল সাবিত আল হাসান’ লঞ্চটি প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাওয়ার পথে সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে পৌঁছলে পেছন থেকে আসা এসকেএল-৩ নামে একটি কার্গো জাহাজ ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে লঞ্চটি ডুবে গিয়ে ৩৪ যাত্রী নিহত হয়। বেঁচে ফেরেন ২০ যাত্রী। এ ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জের (নৌযান যান্ত্রিক ও ট্রাফিক) উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, লঞ্চ দুর্ঘটনার ঘটনায় বন্দর থানায় বিআইডব্লিউটিএ একটি মামলা করেছে। কিন্তু মামলাটি তদন্ত করবে নৌপুলিশ। নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক শহীদুল আলম জানান, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া কোস্টগার্ডের সদস্যরা ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩ আটক করে নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। নৌপুলিশ জাহাজটি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এসে মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করেছে। আটককৃত জাহাজের স্টাফদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিলাহ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় দায়ী ঘাতক কার্গো জাহাজটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে কোস্টগার্ডের সদস্যরা আটক করেছে। তবে ওই কার্গো জাহাজাটির মালিক কে তা এখনও জানা যায়নি। তবে এ বিষয়টি কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ বলতে পারবে।
×