ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বছর

প্রকাশিত: ২০:১৩, ৪ এপ্রিল ২০২১

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বছর

বিশের শুরুটা মধুরতা দিয়ে শুরু হলেও করোনা মহামারীর থাবায় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সারাবিশ্ব। চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা নামক ভাইরাস গ্রাস করেছে সারাবিশ্ব। কেড়ে নিয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রাণ প্রফুল্লতা। বিছিন্ন করে দিয়েছে স্বাভাবিক জীবন। এত অপ্রাপ্তির মাঝেও আছে কিছু প্রাপ্তি। তেমনি বিভিন্ন ক্যাম্পাসের কয়েকজন শিক্ষার্থীর প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির গল্প শুনেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী- এবিএসফরহাদ আমাদের অভ্যাসে এসেছে পরিবর্তন কাশেফ হোসাইন, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ করোনা মহামারীতে সকলে সতর্ক নাহলেও বেশিরভাগ মানুষই হয়েছে সতর্ক। আমাদের অভ্যাসে এসেছে আমূল পরিবর্তন। যেমন বলতে পারি, আমাদের মাঝে মাস্ক পরার অভ্যাস ছিল না, এ অভ্যাসটা গড়ে উঠেছে করোনা আসার পর। আমাদের আশপাশে শুধু করোনা নয় রয়েছে আরও অসংখ্য ধুলাবালি, জীবাণু। এ মাস্ক পরার ফলে করোনা ছাড়াও আরও বহু রোগ বালাই থেকেও মুক্তি মিলছে। হাত ধোয়ার অভ্যাসটা এখন চোখে পড়ার মতো। রাস্তার ধারে, অফিসে কিংবা বাসায় ঢুকার আগে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে আমাদেও স্বাস্থ্য সচেতনতা কে বাড়িয়েছে। এসব সচেতন তা শুধু করোনা নয় অন্যান্য রোগব্যাধি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে। ই-কমার্স আশার আলো দেখিয়েছে তানজিনা আক্তার, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় করোনা মহামারী বিশ্বেও জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। উন্নত দেশ থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে নাজেহাল করে তুলেছে করোনা পরিস্থিতি। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেরও অর্থনীতির চাকা আটকে গেছে লকডাইন নামক অজানা শব্দের কাছে। জনবহুল এই দেশের বেশির ভাগ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন চক্র থেমে যায়। এ ছাড়াও চরম বিপাকে পড়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যাংক ঋণে জটিলতা, আর্থিক প্রণোদনা না পাওয়া, পণ্যে বিক্রি না হওয়াসহ নানা কারণে বন্ধ একাধিক প্রতিষ্ঠান। যদিও এত হতাশার মাঝে ই-কমার্স আশার আলো নিয়ে এসেছে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা ব্যবসায়িক ধারার কাঠামো ভেঙ্গে এখন আধুনিক ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো চেষ্টা করছে অনেকে। প্রত্যাশা স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নুরুল ইসলাম রুদ্র, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাস। করোনাকালীন বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়, ক্লাসরুম, বন্ধু-বান্ধবসহ সবকিছু যেমন মিস করেছি মিস করেছি ক্যাম্পাস সাংবাদিকতাকে। কারণ ক্লাস-পরীক্ষার বাইরে অনেকটা সময় সংবাদের জন্য ছুটে চলা। কখনো ক্লাসে বসে, কখনো বা বন্ধুদের সাথে আড্ডার স্থলে বসে নিউজ করতে হতো। যেসবের ব্যস্ততার মাঝেও সুখে ছিল, সেসবকে মিস করছি। কিন্তু ক্যাম্পাসবন্ধ থাকায় এসব ব্যস্ততা আর নেই। তবে করোনার প্রথম দিকে সাংবাদিকতায় একটু ভাটা পড়লেও বর্তমানে ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে। প্রত্যাশা করি, সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আবারও ফিরে পাব কর্মময় সেসব ব্যস্ততাগুলো। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে খায়রুন নাহার মুন্নী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করোনাকালীন সময়ে পুরো এক বছর সব বিশ্ববিদ্যালয়বন্ধ থাকলেও এই অবসর সময় কাজে লাগাতে পেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বিভিন্ন সাসাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষ করে তুলছে। যেমন বিতর্ক চর্চার ক্ষেত্রেই যদি বলি বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক সংগঠনগুলোর জন্য এই সময়টাতে অনলাইন মাধ্যমগুলো আশীর্বাদ স্বরুপ ছিল। অনলাইনে প্ল্যাটফর্ম নিজের পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতা তৈরিতেও ভূমিকা রেখেছে।
×