ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইমাম ইমু

উদ্যোক্তার খোঁজে প্রগ্রেসিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত: ০০:২৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

উদ্যোক্তার খোঁজে প্রগ্রেসিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন

বর্তমান দেশে মৌলিক সমস্যাগুলোর অন্যতম হলো বেকারত্ব। শিক্ষার হার বাড়ছে। বাড়ছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। কিন্তু শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। আবার কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার মান বাড়লেও তৈরি হচ্ছে শিক্ষিত বেকার। শিক্ষিত বেকার দেশের জন্য যেমন বোঝা, একইভাবে সমাজের জন্য এটি অভিশাপ। শিক্ষিতরা যদি একটু সচেতন হয় আর স্বশিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা করে তা হলে এ সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করে প্রগ্রেসিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। শিক্ষিত তরুণদের শুধু চাকরির পেছনে না দৌড়ে নিজের পছন্দের কাজে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে কাজ করছে সংগঠনটি। ‘আমরাও পারি, আমরাই পারব’ প্রতিপাদ্যে সংগঠনটি শুরু করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নূর ইসলাম বিপ্লব। বর্তমানে চবির বিভিন্ন বিভাগের ৭টি ব্যাচ এ সংগঠনে কাজ করছে। যাদের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের নিজের কাজে উৎসাহিত করা। ফলে স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষক, লেখক, গায়ক, পাবলিক স্পিকার, ডিজাইনার, আর্টিস্ট কিংবা নাচ-গানে, যে কাজেই দক্ষ হোক শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য একটি স্বাচ্ছন্দ্যের প্ল্যাটফর্ম হতে পারে প্রগ্রেসিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। সরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের গবেষণা মতে, দেশে মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ পুরোপুরি বেকার। গবেষণায় দেখা যায়, শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে সম্পূর্ণ বেকার ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। যা প্রায় ২৬ লাখেরও বেশি। এদের অনেকেই আবার নিজেদের আগ্রহের পেশা ছেড়ে দিয়ে শুধু সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে নির্দিষ্ট কিছু চাকরির পেছনে দৌড়াচ্ছে। ফলে সৃষ্টিশীল অনেক সেক্টরেই দেখা দিচ্ছে যোগ্যদের অভাব। এসব কাজে আগ্রহ জোগাতে এবং নিজ নিজ দক্ষতা কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হতে কাজ করছে এ সংগঠনটি। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা নূর ইসলাম বিপ্লব বলেন, সম্প্রতি আমি কিছু সামাজিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো বেকার সমস্যা। বর্তমানে শিক্ষিত তরণদের বেকারত্বের হার অনেক বেশি। অথচ আমাদের অনেকেই কোন না কোন কাজে দক্ষ। কিন্তু সামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সবাই চাকরির পেছনে ছুটছে। আবার নিজের পছন্দের পেশা ছেড়ে যখন কেউ অন্য কোন পেশায় যাচ্ছে, এটা যেমন ব্যক্তিকে মানসিক স্বস্তি দিচ্ছে না তেমনি বাংলাদেশকেও অনেক অর্জন থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি বলেন, একটি গাছ যেমন বড় হতে অনেক শাখা-প্রশাখা প্রয়োজন, তেমনি একটি দেশও সামনে এগিয়ে যেতে শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতি ও সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আমরা চাই মানুষ ভাবুক, নিজের দক্ষতার জায়গাটা পাকাপোক্ত করুক। আর সবার কাজে উৎসাহিত করবে প্রগ্রেসিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। এখানে সবাই নিজের কাজকে প্রমোট করার সুযোগ পাবে। পাশাপাশি অন্যরা উৎসাহিত হবে। এভাবেই গড়ে উঠবে হাজারও উদ্যোক্তার বাংলাদেশ।
×