ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফেডারেশন কাপ ফুটবল, শেখ রাসেলের ঘাম ঝরানো জয়, ঢাকা আবাহনী ৩-০ মোহামেডান স্পোর্টিং, শেখ রাসেল ১-০ বাংলাদেশ পুলিশ

মোহামেডানকে হারিয়ে মিশন শুরু আবাহনীর

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

মোহামেডানকে হারিয়ে মিশন শুরু আবাহনীর

জাহিদুল আলম জয় ॥ মর্যাদার লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডকে হারিয়ে নতুন মৌসুমে মিশন শুরু করেছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে ৩২তম ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে মারিও লোমেজের আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। দু’দল সমানতালে খেললেও মূলত প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটে ম্যাচের পার্থক্য হয়ে যায়। এই সময় দুই গোল আদায় করে ম্যাচের লাগাম নিজেদের করে নেয় আবাহনী। বিরতির পরপরই আরও এক গোল করে পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ধানমন্ডির জায়ান্টরা। ফলে লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মতিঝিল পাড়ার মোহামেডানকে। আবাহনীর হয়ে জোড়া গোল করে ম্যাচসেরা হয়েছেন জুয়েল রানা। অপর গোলটি করেন আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার সাইঘানি। এর আগে একই ভেন্যুতে দিনের প্রথম ম্যাচে ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে রাসেল ১-০ গোলে হারিয়েছে নবাগত বাংলাদেশ পুলিশ এসসিকে। ম্যাচের শুরুর দিকে অবশ্য দু’দল সমানতালে খেলতে থাকে। কিন্তু কোন দলই গোল করার মতো আক্রমণ করতে পারছিল না। ২৬ মিনিটে আবাহনীর রায়হান হাসানের ‘ট্রেডমার্ক’ লম্বা থ্রোয়িংয়ে হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর শ্যামল ব্যাপারীর হেড লক্ষ্যে না থাকায় গোল পায়নি মোহামেডান। ২৯ মিনিটে সুলেমান ডিয়াবাতের পাসে শাহেদ মিয়া শট নিতে ব্যর্থ হলে সুযোগ নষ্ট হয় সাদা-কালো জার্সিধারীদের। প্রথমার্ধের শেষদিকে দু’দু’টি গোল আদায় করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় আবাহনী। ৪১ মিনিটে রায়হানের থ্রোয়িংয়ে আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার সাইঘানি হেডে বল জালে জড়ান। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে নাবীব নেওয়ার জীবনের ক্রসে সাইঘানি বাইসাইকেল কিক নেন। সেই কিক থেকে হেডে চোখ ধাঁধানো গোল করেন জুয়েল রানা। বিরতির পর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করতে থাকে মোহামেডান। কিন্তু উল্টো ৫৩ মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে তারা। এবারও আবাহনীর গোলের কারিগর লম্বা থ্রোয়িংয়ের মাস্টার রায়হান। তার থ্রোয়িং ডি বক্সে পড়লে সেখানে জটলা থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তিন নম্বর গোল করেন জুয়েল রানা। ম্যাচের বাকি সময় আর কোন গোল হয়নি। অন্যদিকে পুলিশ-রাসেল ম্যাচটি হয়েছে সমানে সমান। শুরু থেকেই সমান তালে খেলে দু’দল। তবে আক্রমণভাগের অধিকাংশ ছিল শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ডদের কাছ থেকে। কিন্তু প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কেউই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণ বাড়ায় অল ব্লুজরা। যার ফল তারা পেয়ে যায় ম্যাচের ৫০ মিনিটে। ২৫ গজ দূর থেকে কিরগিজ মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুশোবেকভের ফ্রিকিক থেকে বল পেয়ে পায়ের আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে দেন সুযোগ সন্ধানী তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার সিভোভাস এসরোরভ (১-০)। এই গোল ধরে রেখেই প্রতিযোগিতার ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ম্যাচে বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও সাইফুল বারী টিটুর রাসেলের আক্রমণে ছিল না তেমন ধার। গত আসরে গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া শেখ রাসেল প্রথম সুযোগ পায় ২৫ মিনিটে। কিন্তু ইয়ামিন আহমেদের কাটব্যাকে ভারসাম্য হারিয়ে ঠিকঠাক শট নিতে ব্যর্থ হন। ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা পুলিশ প্রথমার্ধের শেষদিকে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। তাদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ নস্যাৎ করে দেন রাসেল গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। বিরতির পর অবশেষে দুই বিদেশীর সৌজন্যে জয়সূচক গোল পায় রাসেল। ৫৭ মিনিটে সমতায় ফেরার ভাল সুযোগ নষ্ট হয় গত আসরে সেমিফাইনাল খেলা পুলিশের। আখমেদভ গোলমুখে বল বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু আইভরিকোস্টের ফরোয়ার্ড বাল্লো ফামুসা পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত এক গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাসেল।
×