ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অপরাধী যে দলেরই হোক ব্যবস্থা নিতে হবে

প্রকাশিত: ২২:৪২, ২৭ নভেম্বর ২০২০

অপরাধী যে দলেরই হোক ব্যবস্থা নিতে হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাধী কোন দলের সেটা বিবেচনায় না নিয়ে তাকে অপরাধী হিসেবে দেখার নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কতগুলো সমস্যা দেখা যায় যেমন এই যে ধর্ষণ, তারপর নারী নির্যাতন, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি হলো। এখানে কারও মুখ চেয়ে না, যারাই অপরাধী, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখবেন, এটাই আমার কথা। সে যে দলের হোক, যে কেউ হোক, অপরাধী অপরাধীই। কাজেই অপরাধী হিসেবে দেখে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে সমাজটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে এবং সেটাই আপনারা করবেন। বৃহস্পতিবার ১১৬, ১১৭ ও ১১৮তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। সরকার বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো দক্ষ সরকারী কর্মচারী গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মেধা, জ্ঞান, বুদ্ধি এবং মননকে দেশের কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো দেশটাকে উন্নত করার জন্য আমরা উপযুক্ত কর্মচারী গড়ে তুলতে চাই, মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়। প্রশাসনের সেবা পায়। নিজেদের ভাগ্য নিজেরা গড়ার সুযোগ পায়। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো দেশটাকে উন্নত করার জন্য আমরা উপযুক্ত কর্মচারী গড়ে তুলতে চাই। সেটাই আপনারা দেখবেন, এটাই আপনাদের কাজ। অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন। শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি প্রান্তে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছা কোর্সের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ বছরের ৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া ৫ মাসব্যাপী এবারের কোর্স করোনা বিভ্রাটে পড়ে বিলম্বিত হয় এবং অনলাইন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। ১১৬ জন অংশগ্রহণকারীর সকলেই কৃতকার্য হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন মহিলা রয়েছেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন তিনজন শিক্ষার্থীর হাতে রেক্টর’স পদক তুলে দেন। প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না বা তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না। মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকারী কর্মচারীদের উদ্দেশে দেয়া জাতির পিতার ভাষণের উদ্ধৃতি দেন। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনে দেয় এ গরিব কৃষক। আপনাদের মাইনে দেয় ওই গরিব শ্রমিক। আপনার সংসার চলে ওই টাকায়। আমি গাড়ি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন, ইজ্জত করে কথা বলুন। ওরাই মালিক।’ এ সময় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে শিখেছি, রিক্সাওয়ালাকে আপনি বলে সম্বোধন করেছি। আমাদের বাড়ির ড্রাইভারকেও ড্রাইভার সাহেব বলতে হত, আপনি বলতে হত। আমাদের বাড়ির কাজের লোক কখনও চাকর-বাকর বলে বা হুকুম দিতে পারতাম না। এটা নিষিদ্ধ ছিল। আমার বাবা-মা আমাদের দিতে দেননি, আমরা দেইনি। আমরা তাদের বলতে গেলে বা কিছু চাইলে বলতে হবে, এটা কি একটু দিতে পারবে? এখনও তাই করি। কারণ আমাদের বাবা-মা সেটাই আমাদের শিখিয়েছিলেন। সেটাই আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, আমরা সেটাই করি। সবাই যেন ন্যায়বিচার পায় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়ার পাশাপাশি জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নত করতে কাজ করারও নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই অবদান রয়েছে এই সমাজের প্রতি। প্রত্যেকের অবদান রয়েছে দেশের প্রতি। সে কথাটা মনে রাখতে হবে। তাছাড়া, কর্মক্ষেত্রে সকলে যেন ন্যায়বিচার পায়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ, আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের সেবা করা। আমাদের এটাই থাকবে আপনাদের কাছে আকাক্সক্ষা, আপনাদের যে মেধা, আপনাদের জ্ঞান, আপনাদের বুদ্ধি, মনন সেগুলো আপনারা কাজে লাগাবেন দেশ ও জাতির সেবায়। এ দেশের মানুষ যেন নিরাপদ থাকতে পারে, উন্নত জীবন পেতে পারে আর বিশ্ব দরবারে আমরা যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারি সম্মানের সঙ্গে। করোনা মহামারীতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি দেশবাসীকে সতর্ক থাকতেও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কেনার জন্য ইতোমধ্যে আমরা বুক করে ফেলেছি। ইনশাল্লাহ যখনই শুরু হবে আমরা তখনই বাংলাদেশ আনতে পারবে। তার প্রস্তুতিও আমাদের নিতে হবে। ইতোমধ্যে সেই বিষয়ে আমি নির্দেশনা দিয়েছি যে ভ্যাকসিনটা সংগ্রহ করা, রাখা এবং প্রয়োগ করা। প্রয়োগ করার পর কী কী করণীয় এই বিষয়ে সমস্ত দিক-নির্দেশনা আমার দেয়া আছে। সেটা মেনেই আমাদের এই অবস্থার থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সনদপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এই করোনাকালীন অবস্থার মধ্যেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সাফল্য অর্জন করেছেন। কাজেই, আপনাদের এই অর্জিত জ্ঞান আপনারা দেশের কাজে অবশ্যই লাগাবেন। কেননা, দেশটাকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেটা মনে রাখতে হবে। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোর্স সম্পন্ন করতে পারায় শিক্ষার্থীরা অনন্য নজির স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে’ তিনি বলেন, আপনারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন একটি অস্বাভাবিক অবস্থায়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি আপনারা যেমন মেনে চলবেন, আপনার সহকর্মী এবং দেশবাসী যেন মেনে চলে এবং আপনার কর্মস্থলে যেন সকলে মেনে চলে এই বিষয়ে আপনাদের যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস আমাদের জীবন এবং বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে, অনেককে আমরা হারিয়েছি। তাই, এটা যেন আর বিস্তার লাভ করতে না পারে সেজন্য যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপনারা চলবেন। কারণ, দ্বিতীয় পর্যায়ের যে ঢেউটা আসছে সেটা কেমন হবে আমরা জানি না। ‘অনেক দেশ পুনরায় লকডাউনে চলে গেছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখনও সহনশীল অবস্থায় আছি। কিন্তু খুব সাবধানে চলতে হবে। ভ্যাকসিনের জন্য আমরা বুকিং দিয়ে রেখেছি, যখনই শুরু হবে তখনই বাংলাদেশ আনতে পারবে। করোনার মধ্যেও সরকার গৃহীত প্রকল্পগুলো যেমন নিয়ম মতো এবং মানসম্পন্ন হয় সে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে জাতির পিতার জীবন সম্পর্কে কর্মকর্তাদের জানতে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কারণ এই দেশটাকে জানতে হলে আর দেশের উন্নয়নটা করতে হলে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনাটাও জানা একান্তভাবে প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী নবীন কর্মকর্তাদের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করে বলেন, ‘আপনারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষকে ভালবেসে কাজ করবেন। এই মনভাব নিয়েই আপনাদের কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করে সাফল্য অর্জন করুন।’ তার সরকার যে দেশের উন্নয়ন করতে পারে সেটা প্রমাণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে সরকারে থাকায় আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগের ওপরে অর্জনের যে লক্ষ্য নিয়েছিলাম, তা পূরণ করতে সক্ষম হলেও করোনার কারণে আমরা পিছিয়ে গিয়েছি। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের প্রবৃদ্ধি যেখানে ঋণাত্মক ধারায় চলে গিয়েছে সেখানে আমরা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি। তিনি করোনা মোকাবেলায় তার সরকারের দেয়া প্রণোদনা, নগদ অর্থ সাহায্য এবং মানুষের দ্বারে খাবার পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা যাতে সচল থাকে এজন্য করোনার মধ্যেও আমরা যথাযথ প্রচেষ্টা চালিয়েছি। দেশকে জানতে হলে, দেশের উন্নতি করতে হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তা-ভাবনা সকলকে জানার প্রচেষ্টা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের জাতির পিতার রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের জাতির পিতাকে নিয়ে করা প্রতিবেদন থেকে প্রকাশিত বইগুলো এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রসিডিংস নিয়ে প্রকাশিত বইটি পড়ে দেখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমার মনে হয়, আপনারা জাতির পিতার চিন্তা-চেতনা, দর্শন এবং তখনকার বিশ্ব পরিস্থিতি এবং নিজের দেশ সম্পর্কে অনেককিছু জানতে পারবেন। আমি মনে করি, এটা আপনাদের চলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উপযোগী হবে।’ সরকারের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশকে উন্নয়নশীল করে গড়ে তুলতে যা যা করণীয় তার সবই আমরা করতে পেরেছি। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। লক্ষ্য স্থির না থাকলে কখনও কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেকোন জাতির উন্নয়নের জন্য একটা দিক নির্দেশনার দরকার হয়, একটা দর্শন, একটা লক্ষ্য থাকতে হয়। সেজন্য তার সরকার পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে এবং শতবর্ষ মেয়াদী ‘ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সরকারে আসার পর আশু করণীয় ঠিক করে তাৎক্ষণিকভাবে যেমন মানুষের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি, মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি এবং সুদূর প্রসারী পরিকল্পনাটাও করে দিয়ে গেলাম। যারা পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসবেন তারা যেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে এবং আজকে আপনারা যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে যাচ্ছেন আপনারাই কিন্তু তখন একটা উচ্চ পর্যায়ে যাবেন। ’৪১ এর কর্ণধার আপনারাই হবেন, বাস্তবায়ন আপনারাই করবেন। কাজেই সেইভাবেই নিজেদের গড়ে তুলবেন। শেখ হাসিনা বলেন, সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করবেন-এই দেশের ভাগ্যহত গরিব, দুঃখী মানুষ, যাদের জন্য জাতির পিতা সারাজীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাদের কথা আপনাদের চিন্তা করতে হবে। দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেই আপনাদের কাজ করতে হবে। তার সরকার দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন প্রযুক্তি নির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই যাতে সারাবিশ্বে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। মানুষ যেন নিরাপদে থাকতে পারে এবং উন্নত জীবন পেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য সারাদেশে সরকার তথ্যপ্রযুক্তির নেটওয়ার্ক যেমন গড়ে তুলেছে, তেমনি রাস্তা-ঘাট, পুল, ব্রিজ নির্মাণ করে সড়কপথসহ জলপথ, রেলপথ এবং আকাশ পথের উন্নতি সাধন করে সমগ্র দেশব্যাপী যোগাযোগের নেটওয়ার্ক ও গড়ে তুলেছে। জাতির পিতার বক্তব্য ‘ভিক্ষুক জাতির কোন ইজ্জত থাকে না,’ উদ্ধৃত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি কারও কাছে হাত পেতে নয়, নিজেরা যেন চলতে পারি। এমনকি এই করোনার মধ্যে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি জনগণের খাদ্য পুষ্টির চাহিদা পূরণেও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জমি সীমিত হলেও গবেষণার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়িয়ে আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। যেটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।
×