ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে পুলিশের অস্থায়ী চেকপোস্ট বাড়ানোর নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ১৮ অক্টোবর ২০২০

রাজধানীতে পুলিশের অস্থায়ী চেকপোস্ট বাড়ানোর নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঢাকা মহানগরীতে স্থায়ী চেকপোস্টের পাশাপাশি অস্থায়ী চেকপোস্ট বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। রবিবার (১৮ অক্টোবর) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন। ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ফ্লাইওভারগুলোতে উঠা ও নামার জায়গায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়ে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, গাড়ি ও মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) ও সাসপেক্ট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেমের (এসআইভিএস) মতো সফটওয়্যার হালনাগাদ করে চোর ও ছিনতাইকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। গাড়ি ও মোটরসাইকেল ট্র্যাকিং সিস্টেমের আওতায় আসলে চুরি অনেকাংশে কমে যাবে। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানসম্মত তদন্ত করতে হবে। এমন কোনও অপেশাদার আচরণ করা যাবে না, যাতে আপনার ব্যক্তিগত দায় চলে আসে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।, থানার প্রতিটি বিটে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক সমাবেশ করা যেতে পারে। এসব সমাবেশে নারীদের কাছ থেকে তাদের সমস্যা সম্পর্কে জানতে হবে এবং সমস্যা সম্পর্কে করণীয় বিষয়ে তাদের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিতে হবে। নারী নির্যাতন ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধসমূহের নিয়ামক মাদক উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুধু অধিক পরিমাণ মাদক উদ্ধার করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের মাদকসেবন থেকে ফিরিয়ে আনতে পারলে মাদকসেবী কমার সাথে সাথে মাদকও কমে যাবে। জিডি ও মামলা মনিটরিং বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কমিশনার বলেন, থানায় জিডি ও মামলার ক্ষেত্রে ডিএমপি হেড কোয়ার্টার্স থেকে সেবা প্রত্যাশীদের ফোন করে পুলিশের সেবার মান সম্পর্কে জানতে চেয়ে শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এটা একটি ভালো দিক। এটাকে ধরে রেখে আরও ভালো সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কিশোর গ্যাং এর ব্যাপারে অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের অবস্থান, গতিবিধি, ইভটিজিং ও মাদকসেবনের স্থানসমূহ নজরদারির মধ্যে আনার জন্য বিট অফিসারদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ঢাকা শহরের রাস্তায় কোন ধরণের ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সেপ্টেম্বর (২০২০) মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ অপরাধ বিভাগ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে গুলশান বিভাগ।, শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক বিভাগ হিসেব নির্বাচিত হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। এছাড়াও ঢাকা মহানগরীর আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×