ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেরপুরে যৌতুক লোভী স্বামী পুড়িয়ে মেরেছে স্ত্রীকে

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ১৭ অক্টোবর ২০২০

মেহেরপুরে যৌতুক লোভী স্বামী পুড়িয়ে মেরেছে স্ত্রীকে

সংবাদদাতা, মেহেরপুর, ১৬ অক্টোবর ॥ মেহেরপুরে রুবিনা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে মৃত অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে তার মরদেহ ফেলে পালিয়ে গেছে তার স্বামী। যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে আগুনে পুড়িয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রুবিনার পিতার পরিবারের সদস্যরা। রুবিনা খাতুনের দুই বছর বয়সী এক কন্যা শিশু রয়েছে। রুবিনা খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার টেঙ্গারমাঠ গ্রামের রবগুল হোসেনের মেয়ে। পাশর্^বর্তী মনোহরপুর গ্রামের মিলন হোসেনের সঙ্গে চার বছর আগে রুবিনার বিয়ে হয়। স্বামী মিলন হোসেন একটি এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে চাকরির সুবাদে গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এই দম্পতি। রুবিনা খাতুনের খালা রিজিয়া পারভীন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। কিন্তু বিয়ে হওয়ার ২ বছরের মাথায় তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। আবারও পরিবার ও স্থানীয়দের নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে ২০১৮ সালে পুনরায় বিয়ে দেয়া হয়। নানি হালিমা খাতুন ও পরিবারের সদস্যরা জানান, মিলন মাঝেমধ্যেই যৌতুকের জন্য মারধর করত রুবিনাকে। পরিবার থেকে ৫০ হাজার টাকাও দেয়া হয়েছিল তার স্বামীকে। মিলন-রুবিনা দম্পতির বাসা মালিকের স্ত্রী শামীমা আক্তার রিতা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে রান্না নিয়ে দুজনের ঝগড়া শুরু হয়। তিনি জানান ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে দাবি করেন বাসা মালিকসহ আশপাশের লোকজন। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক হাবিবুর রহমান জানান, সকাল ৬টার দিকে একজন দগ্ধ নারীকে নিয়ে হাসপাতালে এলে তিনি মৃত অবস্থায় তাকে পান।
×