ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সম্মানে আজ বসছে না সুপ্রিমকোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সম্মানে আজ বসছে না সুপ্রিমকোর্ট

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সোমবার সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ বিচারকার্য পরিচালনার জন্য বসছে না। আজ সোমবার সকালে ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চে যুক্ত হয়ে কোর্ট না বসার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আমারা শোকাহত। আমারা আজ অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে (আপিল বিভাগ) বসছি না। হাইকোর্ট বেঞ্চও বসবে না।’ এসময় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রধান বিচারপতিকে জানান, ‘সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে স্বাস্থ বিধি মেনে অ্যাটর্নি জেনারেলের নামজে জানাজার সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে।’ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অ্যাটর্নি জেনারেল রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে মারা যান বলে জানান তার ছেলে সুমন মাহবুব। সোমবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রঙ্গনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের পেশ ইমাম আবু সালেহ মো. সলিম উল্লাহ জানাজায় ইমামতি করেন। এর আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে তার লাশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আইনজীবীরা। তার কফিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, পুলিশের আইজিপি ফুলের শ্রদ্ধা জানান। অ্যাটর্নি জেনারেলের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মাহবুবে আলমের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের জ্বর আসায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর তার কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। তবে পরবর্তী করোনামুক্ত হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অ্যাটর্নি জেনারেলকে সিএমএইচ এর আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি রোববার মারা যান। অ্যাটর্নি জেনারেলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, আইনজীবী সংগঠনসহ তার শুভাকাঙ্খীরা। আরো সংবাদ
×