ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর সুনজর চান অসহায় বিড়ি শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

প্রধানমন্ত্রীর সুনজর চান অসহায় বিড়ি শ্রমিকরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীর সুনজর চেয়ে বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষ ও শারীরিক বিকলঙ্গ শ্রমিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে রোববার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখন বহুজাতিক কোম্পানীর আগ্রাসনে বিড়ি শ্রমিকরা চরম অসহায়ত্বে দিনাতিপাত করছে। সমাজের অসহায় বিড়ি শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবের জন্য এবং তাদের কর্ম রক্ষার্থে ২০০৯-২০১০ অর্থবছরের বাজেটে তিনি জাতীয় সংসদে বিড়ির উপর কর কমিনোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর এই নির্দেশনাকে অমান্য করে বহুজাতিক কোম্পানীর আগ্রাসনে বিড়িতে বৈষম্যমূলকভাবে মূল্যস্তর বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রতি প্যাকেটে বিড়িতে মূল্যস্তর ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে নিম্নস্তরের প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্যস্তর মাত্র ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও মধ্যম স্তরের সিগারেটের কোন মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। এটা অত্যন্ত বৈষম্যমূলক ও জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। বর্তমান করোনাকালীন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের জন্য বিড়ির উপর অর্পিত বাজেটটি মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে। বিড়িতে অতিরিক্ত এ মূল্যস্তর বৃদ্ধির ফলে বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্প কাজ না পেয়ে শ্রমিকরা বেকার জীবন যাপন করছে। পরিবার নিয়ে চরম অসহায়ত্বে দিন যাপন করছে। তারা করোনায় আক্রান্ত না হয়ে কাজের অভাবে মুজুরী না পেয়ে অনাহারেই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই অসহায় বিড়ি শ্রমিকদের এ দুর্দশা লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৪ দফা দাবি পেশ করেন তারা। দাবিগুলো হলো:- বিড়ির উপর অতিরিক্ত ধার্যকৃত ৪ টাকা মূল্যস্তর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। বিড়ির উপর ১০ শতাংশ অগ্রিম আয় কর প্রত্যাহার করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর চালুকৃত বিড়িকে কুটির শিল্প হিসেবে অব্যহত রাখতে হবে। বিড়ি শিল্পের বাজারকে ধ্বংস করে বিদেশী কোম্পানীর হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পদক মো: জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মো: আসলাম মিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে সহস্রাধিক বিড়ি শ্রমিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
×