ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের দিনই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ রাসিকের

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ২ আগস্ট ২০২০

ঈদের দিনই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ রাসিকের

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজশাহীতে ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের দিন রাতেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। গত বছরের মতো এবারো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপাসারণে রেকর্ড গড়লো রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। আর কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে সহযোগিতা করায় মহানগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ঈদের দিন শনিবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে মহানগরে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হয়। রাত ২টার মধ্যেই নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ করা হয়। সকাল থেকে বর্জ্য বিভিন্ন সড়ক ও পাড়া-মহল্লার গলি থেকে সংগ্রহ করে প্রতিটি ওয়ার্ডের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে রাখা হয়। পরে সন্ধ্যা থেকে সেই বর্জ্য রাজশাহী সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়। বিকেলে মহানগরের কাদিরগঞ্জ সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এসময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মামুন ডলার, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মনিটরিং সাজ্জাদ হোসেন, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মনিটরিং তাসনীম আরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনকালে মেয়র বলেছিলেন, ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর রক্ত, মলমূত্র ও সব বর্জ্য রাত ২টার মধ্যেই অপসারণ করা হবে। এর আগে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সময় একই ঘোষণা দিয়েছিলেন মেয়র। মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করেছে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মামুন বলেন, সিটি মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের দিন রাতের মধ্যেই তারা কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্জ্য অপসারণ করে কোরবানির স্থান পানি দিয়ে ধুঁয়ে পরিষ্কার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঈদের পরদিন সকালেই তাই পরিচ্ছন্ন ঝকঝকে শহর পেয়েছেন মহানগরবাসী। ডলার আরও বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে পরিচ্ছন্ন বিভাগের এক হাজার ৪০০ পরিচ্ছন্নকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়। তারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে এ কাজ সম্পন্ন করেছেন। আর সাধারণত ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও কিছু ব্যক্তি পশু কোরবানি করে থাকেন। সেই কোরবানির বর্জ্যও দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা।
×