ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা তহবিল বরাদ্দে উপেক্ষিত স্থানীয় এনজিওগুলো

প্রকাশিত: ২১:২৪, ২৯ জুলাই ২০২০

করোনা তহবিল বরাদ্দে উপেক্ষিত স্থানীয় এনজিওগুলো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কক্সবাজারে করোনা মোকাবেলায় জাতিসংঘ কর্তৃক সম্প্রতি বরাদ্দকৃত কেন্দ্রীয় জরুরী তহবিল বিতরণ প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে নিজেদের আপত্তি ও উদ্বেগ জানিয়েছে কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ)। মঙ্গলবার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ও কক্সবাজার থেকে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সংবাদ কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সিসিএনএফ’র কো-চেয়ার এবং কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, সিসিএনএফ’র কো-চেয়ার এবং পালস’র নির্বাহী পরিচালক আবু মোর্শেদ চৌধুরী, সিসিএনএফ’র আরেকজন কো-চেয়ার এবং মুক্তি কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক বিমল চন্দ্র দে সরকার এবং জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শিউলি শর্মা। আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘ এবং আইএসসিজি প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেয়ার জন্য খুবই অল্প সময় দেয়ায় এবং কঠিন অনেক শর্তারোপ করায় স্থানীয় এনজিওগুলো প্রকল্প প্রস্তাবই করতে পারেনি। তবে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা থেকে জানা যায় যে, কে এই তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ পাবে তা আগেই নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, যে বাংলাদেশে কাজ করা আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো বাংলাদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহ করা উচিত নয়, তাদের দেশ থেকে তহবিল এ দেশে আনতে হবে। অধিকতর জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং কার্যকর ব্যয় নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সকল তহবিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে হবে কক্সবাজার থেকে, যেখানে স্থানীয় প্রশাসনের একটি ভূমিকা থাকতে হবে। বিমল চন্দ্র দে সরকার বলেন, ভাষাগত ও প্রক্রিয়াগত নানা বাধার কারণে আইএসসিজিতে স্থানীয় এনজিওগুলোর অংশগ্রহণ খুবই সীমিত। সিসিএনএফ স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওদের জন্য সিইআরএফ থেকে আনুপাতিক অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছিল। শুরু থেকেই সিসিএনএফ সাহায্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, খরচের স্পষ্ট তথ্য প্রকাশ এবং স্থানীয়দের কাছে প্রযুক্তি ও দক্ষতা হস্তান্তরের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে।
×