ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ১৬ জুলাই ২০২০

বিএনপি ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে ॥ তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাহেদের গ্রেফতারে প্রমাণ হয়েছে, বিএনপি ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এ সময় বিএনপি’র সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘দুর্নীতি-অনিয়মে সরকারী মদদ’-এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী একথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাহেদের দুর্নীতি সরকারই উদ্ঘাটন করেছে এবং সাহেদের প্রতিষ্ঠানের এমডি’কে গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠানের আরও অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছিল, সহসা সাহেদকে গ্রেফতার করতে তারা সক্ষম হবে। শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাহেদকে গ্রেফতার করেছে। এতে প্রমাণিত হয়, বিএনপি ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে এবং এ নিয়ে বিএনপি এতদিন যা বলে এসেছিল, সেগুলো তারই ধারাবাহিকতা। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি অনিয়মের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন এ ক্ষেত্রে কে কোন দল বা মতের সেটি কখনই দেখা হয়নি। যদি আওয়ামী লীগের কেউ হয়, এমনকি পদধারী নেতাও যদি হয়, তার বিরুদ্ধেও কিন্তু অতীতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর যদি সাহেদের মদদদাতা ধরতে হয়, তাহলে হাওয়া ভবন থেকে যারা মদদ দিয়েছিল এবং স্কাইপিতে যখন তারেক রহমানের সঙ্গে সে কথা বলে, সে ব্যাপারে বিএনপি কি বলবে’ প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী। অবশ্যই সাহেদের অপকর্মের সাথে যদি অন্য কেউ যুক্ত থাকে, তদন্তে যদি সেটি বেরিয়ে আসে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে, বলেন তিনি। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে’ -এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, ‘বিক্ষোভ যে কারও বিরুদ্ধেই হতে পারে, যেকউ তারক্ষাভ প্রকাশ করতে পারে, এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিরই অংশ।’ তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যখন বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে চুক্তি করে, তখন প্রথম থেকেই তাদের আরো সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন ছিল । তাহলে সাহেদের রিজেন্ট কিম্বা জেকেজি’র মতো প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পেতো না।
×