ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মূল্যস্ফীতির কিছুটা অবনতি

প্রকাশিত: ২১:৩২, ৭ জুলাই ২০২০

মূল্যস্ফীতির কিছুটা অবনতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনা মহামারীর মধ্যেই বিদায় নিয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছর। সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে দেশে মূল্যস্ফীতির অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। এ অর্থবছরে (২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০-এর জুন পর্যন্ত) গড় মূল্যস্ফীতির হার নিরূপিত হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৫৬ ভাগ। তার আগে একই সময়ে (২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত) গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৪৮ ভাগ। অর্থাৎ বিদায়ী অর্থবছরে গড়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক শূন্য আট ভাগ। সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বিবিএসের তথ্য মতে, জুনে অনেক বেড়েছে মূল্যস্ফীতির হার। জুনে মূল্যস্ফীতির হার জাতীয় পর্যায়ে হয়েছে ৬ দশমিক ০২ ভাগ, যা মে মাসে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৩৫ ভাগ। ২০১৯ সালের জুনে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৫২ ভাগ। চলতি জুনে খাদ্য ও খাদ্যবর্হিভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৬ দশমিক ৫৪ ও ৫ দশমিক ২২ ভাগ, যা চলতি বছরের মে মাসে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ০৯ ও ৫ দশমিক ৭৫ ভাগ। গ্রামীণ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে শতকরা ৬ দশমিক ০২ ভাগ, যা মে মাসে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৬৫ ভাগ। শহর পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ০৩ ভাগ, যা মে মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮১ ভাগ। জুনের মূল্যস্ফীতি হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চাল, ডিম, ব্রয়লার মুরগি, শাকসবজি (আলু, পটোল, বেগুন, বরবটি, ঢেঁড়স, করলা, টমেটো, গাজর, পেঁপে ইত্যাদি), মসলার (শুকনা মরিচ, আদা, রসুন ইত্যাদি) মূল্য মে মাসের তুলনায় জুনে বেড়েছে। এদিকে মজুরির হারও বেড়েছে গত জুনে। জাতীয় পর্যায়ে জুনে মজুরি হার হয়েছে ৫ দশমিক ৯০ ভাগ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৮৯ ভাগ। জুনে তিনটি বৃহত খাত (কৃষি, শিল্প ও সেবা) মজুরি হার যথাক্রমে ৬ দশমিক ১৮, ৫ দশমিক ৩১ ও ৫ দশমিক ৭৮ ভাগ, যা মে মাসে ছিল ৬ দশমিক ১৬, ৫ দশমিক ২৯ ও ৫ দশমিক ৭৫ ভাগ।
×