ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লকডাউন হলো ধামইরহাট প্রেসক্লাবসহ ১০ প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ১ জুলাই ২০২০

লকডাউন হলো ধামইরহাট প্রেসক্লাবসহ ১০ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৩০ জুন ॥ ধামইরহাট প্রেসক্লাব ভবনসহ ১০ প্রতিষ্ঠানকে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ধামইরহাট ভবনে অবস্থিত মার্কেটের এক ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ধামইরহাট ক্লাব এবং মার্কেটের সব দোকান বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। জানা গেছে, ধামইরহাট বাজারের প্রাণকেন্দ্র ধামইরহাট বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত ধামইরহাট ভবন। এ ভবনের নিচতলায় মার্কেট রয়েছে। ওই মার্কেটের শুভ গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী আলহাজ মোঃ আব্দুর রউফ গত ২৫ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ী মহল ও সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রশাসন ধামইরহাট ভবন লকডাউন করে দেয়। এ ভবনের নিচতলায় মার্কেটের পাঁচটি দোকান, দ্বিতীয় তলায় ধামইরহাট প্রেসক্লাব, ধামইরহাট ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিস, তৃতীয় তলায় বঙ্গবন্ধু পাঠচক্র লকডাউন করে দেয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে করোনা আক্রান্ত ব্যবসায়ী আব্দুর রউফের সংস্পর্শে আসার কারণে সরদার বস্ত্রালয়কে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে এবং এর স্বত্বাধিকারী আলহাজ সাইফুল ইসলামকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। একটি সূত্র জানায় ৯ জুন ব্যবসায়ী আব্দুর রউফসহ অপর চার ব্যবসায়ী মিলে মোকাম করার জন্য একসঙ্গে ঢাকায় যান। করোনা আক্রান্ত ব্যবসায়ী আব্দুর রউফের সংস্পর্শে আসা অপর ব্যবসায়ীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লকডাউনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সুধীমহল। ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মমিন বলেন, যারাই করোনা আক্রান্ত ব্যবসায়ীর সংস্পর্শে এসেছেন তাদের চিহ্নিত করে নুমনা সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এছাড়া তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেয়া হবে। বাগেরহাট স্টাফ রিপোর্টার জানান, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার প্রধান বাজার মঙ্গলবার সকাল থেকে ১৪ দিনের লকডাউন করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকসহ দুইজনের মৃত্যু এবং অর্ধশত ব্যক্তি সংক্রমিত হওয়ার পর জেলার অত্যন্ত ব্যস্ততম এ বাজার বন্ধ ঘোষণা করা হলো। কেবলমাত্র ওষুধ ও ব্যাংক ছাড়া ওই বাজারের দোকানপাটসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্তে উপজেলা বাজারে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। ফকিরহাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শাহানাজ পারভীন জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ফকিরহাট উপজেলার প্রধান বাজার ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউনের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহের জন্য মাইকিং করা হয়। এরপরেও কোন ব্যক্তি বা পরিবারের কোন পণ্য প্রয়োজন হলে তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এজন্য একাধিক সেচ্ছাসেবক টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও মনিটরিং করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাশ বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নানাভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে শুরু থেকে। তারপরেও সামাজিক সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে না। তাই ফকিরহাট উপজেলা বাজার এবং বাজার সংলগ্ন বিশ্বরোড় এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বিষয়টি মনিটরিং করছেন। কর্মহীন ও দরিদ্র পরিবারের মধ্যে তার পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
×