ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

একদিনে সর্বোচ্চ ৪০১৪ করোনা রোগী শনাক্ত

প্রকাশিত: ২২:৩২, ৩০ জুন ২০২০

একদিনে সর্বোচ্চ ৪০১৪ করোনা রোগী শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একদিনে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ করোনা রোগী ৪০১৪ জন শনাক্ত হয়েছেন সোমবার। এর আগে গত ১৭ জুন সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিলেন ৪০০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৭৮৩ জনে এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ২০৫৩ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৫৭ হাজার ৭৮০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৮৩৭টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩টি। পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্তের হার ২৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। সোমবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন, বাড়িতে ১৪ জন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন একজন। তাদের বয়স বিবেচনায় ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে ৪৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, খুলনা বিভাগে পাঁচ জন, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে এবং সিলেট ও বরিশাল বিভাগে তিন জন করে। ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২। আর দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে। অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, লিঙ্গভেদে শনাক্তের হার পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ। বয়স বিবেচনায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের ২৮ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের ৭ শতাংশ এবং ১ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ৩ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, ১ থেকে ১০ বছর বয়সীদের মৃতের হার দশমিক ৮২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বয়সীদের ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ৬১ বছরের বেশি বয়সীদের মৃত্যুর হার ৩৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ১ হাজার ২৮ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২৫ হাজার ৮৩৮ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬০৯ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৯৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৪ হাজার ৯৪২ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৫৩ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে মোট তিন লাখ ৬১ হাজার ২২৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৬৯২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৯৭ হাজার ৩৬৫ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৫ হাজার ৯৫৯জন।
×