ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় করোনা পরীক্ষায় জট ॥ আরও দুটি ল্যাব দাবি

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ২৮ জুন ২০২০

খুলনায় করোনা পরীক্ষায় জট ॥ আরও দুটি ল্যাব দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত আরটিপিসিআর মেশিনে প্রতিদিন ক্ষমতার অতিরিক্ত করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে। তারপরও নমুনার জট লেগেই থাকে। তাছাড়া বিরামহীনভাবে নমুনা পরীক্ষা করায় বিশেষজ্ঞ ও টেকনিশিয়ানরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে খুলনায় আরও দুটি পিসিআর মেশিন স্থাপন এবং সেই সঙ্গে টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে গত ৭ এপ্রিল স্থাপন করা হয় করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য আরটিপিসিআর মেশিন। খুলনা মহানগরী ও জেলাসহ বিভাগের দশ জেলার সম্ভাব্য করোনা সংক্রমণের রোগীর নমুনা এই ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। প্রথম অবস্থায় নমুনা কম হলেও বর্তমানে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেক বেড়ে চলেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪শ’ নমুনা এই পরীক্ষাগারে সংগ্রহ হয়ে থাকে। অথচ মেশিনটি এক সঙ্গে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম। আর দিনে দু’বার ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করলে সঠিকভাবে রিডিং পাওয়া যায়। কিন্তু এই মেশিনে প্রতিদিন চার বার নমুনা পরীক্ষা করা হয় বিরতিহীনভাবে। ভোলায় দক্ষ জনবলের অভাবে চালু হচ্ছে না ল্যাব নিজস্ব সংবাদদাতা ভোলা থেকে জানান, একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হলেও তা চালু না হওয়ায় চরম বিপাকে রয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে ভোলা থেকে সংগ্রহ করা নমুনা বরিশাল বা ঢাকায় পাঠাতে হচ্ছে। কিন্তু রিপোর্ট আসতে অন্তত ১০ দিন সময় লাগায় নমুনা পরীক্ষায় জট লেগেছে। দ্রুত রিপোর্ট না আসায় রোগীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। ফলে একদিকে যেমন মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, ভোলায় ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে সংসদ সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায় গত ১৪ জুন করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। তারপর গত ২১ জুন ওই ল্যাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ল্যাব বুঝিয়ে দেয়া হয় বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সিরাজ উদ্দিন। কিন্তু পরীক্ষা ল্যাবে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ২জন ডাক্তারের অভাবে ল্যাবটি চালু করা যাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার জট লাগায় হাসপাতালে নতুন রোগীদের নমুনা সংগ্রহের পরিমাণও কমিয়ে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে রিপোর্ট আসতে বিলম্ব হওয়ায় নমুনা দেয়া ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত কিনা স্বল্প সময়ে জানতে পারছে না। নমুনা দেয়া ব্যক্তিরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন যত্রতত্র। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি নিজে যেমন সংক্রমিত হচ্ছে তেমনি অন্যদেরও সংক্রমিত করছেন। এতে ভোলায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা। ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সিরাজ উদ্দিন জানান, ভোলায় পিসিআর ল্যাব চালু করে এক শিফটে ২ জন ডাক্তার ও ৯ জন টেকনোলজিস্ট দরকার। ল্যাব চালুর জন্য জনবল নিয়োগের কাজ চলমান। ২জন ডাক্তারের মধ্যে ১ জন হাসপাতালে যোগদান করেছেন। কিন্তু তিনি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নন। তাই প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞ ২ জন ডাক্তার নিয়োগ হলে পিসিআর ল্যাব চালু হবে।
×