ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হোয়াইট হাউসে করোনা টাস্ক ফোর্স সভায় এ্যান্টর্নি ফাউচি

মহা সমস্যায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ২২:২৩, ২৮ জুন ২০২০

মহা সমস্যায় যুক্তরাষ্ট্র

অতি ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মহা সমস্যায় রয়েছে। দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ প্রধান ডাক্তার এ্যান্টর্নি ফাউচি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টির বেশি অঙ্গরাজ্যে এ ভাইরাস সংক্রমণের গতি অত্যন্ত বেশি। করোনা রুখতে সংক্রমণ কমিয়ে আনার পক্ষে জোর দেন ফাউচি। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও উপস্থিত ছিলেন। খবর সিএনএন, আলজাজিরা ও বিবিসি অনলাইনের। উল্লেখ্য, এপ্রিলের পর হোয়াইট হাউসে শুক্রবার প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সভা হয়। ব্রিফিংয়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ওপর জোর দেয়া হয়। তবে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘অগ্রগতির’ প্র্রশংসা করেন। বৃহস্পতিবারই দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ১৭৩ রোগী শনাক্ত হয়। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ টালিতে এ কথা বলা হয়। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ পেরিয়ে গেছে। মৃত্যু ছাড়িয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার। এ সংখ্যা বিশ্বের অন্য যে কোন দেশের চেয়ে বেশি। শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউস টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা উপসর্গ না থাকলেও তরুণদের ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অংশ নিতে অনুরোধ করেছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগী ভর্তির উর্ধগতি দেখে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টাস্ক ফোর্সের ব্রিফিং আয়োজন করতে বলেছেন বলে পেন্স জানান। এ ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় এরই মধ্যে টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও এ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য অর্থনীতি সচলে বিধিনিষেধ আরও শিথিলের পথ থেকে সরে এসেছে। অনেকে বলছেন, শনাক্তকরণ পরীক্ষার আওতা বাড়ায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা কিছু কিছু এলাকায় পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বেশি পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখন বলছেন, দেশটিতে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা সরকারী হিসেবের ১০ গুণ পর্যন্ত হতে পারে। ব্রিফিংয়ের শুরুতে হোয়াইট হাউস করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সমন্বয়ক ড. ডেবোরাহ বার্ক্স নির্দেশনা মেনে চলায় তরুণদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আগে আমরা তাদের ঘরে থাকতে বলেছিলাম, এখন তাদের নিজেদের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা, তা পরীক্ষা করাতে বলছি। শনাক্তকরণ পরীক্ষার নির্দেশনায় ‘বড় ধরনের পরিবর্তন আসায়’ কর্মকর্তারা এখন উপসর্গবিহীন এবং মৃদু আক্রান্তদেরও চিহ্নিত করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন এ মার্কিন বিশেষজ্ঞ। ফাউচি বলেন, দেশের কোন এলাকায় সংক্রমণ বাড়লে, তা সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ ও পশ্চিমের অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভাইরাসের উত্থানের পেছনে কোথাও কোথাও আগেভাগে বিধিনিষেধ শিথিল, কোথাও নির্ধারিত সময়ে বিধিনিষেধ তুললেও ‘নিয়মমাফিক পদক্ষেপ’ না নেয়া এবং মার্কিন নাগরিকদের নির্দেশনা মেনে না চলাকে দায় দিয়েছেন। ফাউচি আরও বলেন, মানুষই অন্য মানুষকে সংক্রমিত করছে। আপনিই হয়তো এমন কাউকে ভাইরাস পৌঁছে দিচ্ছেন, যিনি তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিতে আছেন।
×