ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অনুমতির আগে টিকেট বিক্রি করে বিপাকে টার্কিশ এয়ার

প্রকাশিত: ২২:০২, ২৮ জুন ২০২০

অনুমতির আগে টিকেট বিক্রি করে বিপাকে টার্কিশ এয়ার

আজাদ সুলায়মান ॥ পারমিশন পাওয়ার আগেই টিকেট বিক্রি করে বিপাকে পড়েছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। গত ১৬ জুলাই ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরদিন থেকেই টিকেট বিক্রি শুরু করে দেয় টার্কিশ। কিন্তু এয়ারলাইন্সটি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি না পাওয়ায় এখন বাধ্য হয়েছে- আগামী ১ জুলাই থেকে ৬ জুলাইয়ের সব ফ্লাইট বাতিল করতে। এতে যাত্রী সাধারণও ভোগান্তির মুখে পড়েছে। যদিও টার্কিশ বলছে আগামী ৩ জুলাই ঢাকা থেকে প্রথম ফ্লাইটের প্রস্তুতি রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান বলেন, পারমিশনের আগে টিকেট বিক্রি শুধু টার্কিশ একাই করছে না। অন্যরাও করছে। তবে টার্কিশের আবেদন বিবেচনায় রয়েছে। আজ (রবিবার) হয়ত তাদের অনুমোদন হয়ে যাবে। তারা চাইলে আগামী ৩ জুলাই থেকে ফ্লাইট চালু করতে পারবে। টার্কিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক রুট উন্মুক্ত হয়েছে গত ১৬ জুন। ওইদিন থেকে ফ্লাইট শুরু করে কাতার এয়ারওয়েজ। তুরস্ক ভিত্তিক বিমান সংস্থা টার্কিশ এয়ারলাইন্স এই ঘোষণায় ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দেয়। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতির জন্য তারা বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনের কাছে আবেদনও জানায়। কিন্তু বেবিচক কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদনে এখনও সাড়া দেয়নি। এদিকে অভিযোগ ওঠেছে, বেবিচকে আবেদন করে পারমিশন না পাবার আগেই বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ১ জুলাই থেকে টিকেট বিক্রিও শুরু করে টার্কিশ। এতে শত শত ট্রাভেল এজেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশী যাত্রীদের কাছে টার্কিশ এয়াারলাইন্স এর টিকেট বিক্রি করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি না পাওয়ায় টার্কিশ ১ জুলাই থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত বিক্রি হওয়া বিভিন্ন গন্তব্যের টিকেট বাতিল করেছে। এই ঘোষণায় বিপাকে পড়েন ট্রাভেল এজেন্ট মালিকসহ টিকেট ক্রয় করা যাত্রীগণ। ট্রাভেল এজেন্টগুলো এখন যাত্রীদের টিকেটের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। তাদের বক্তব্য তারা টার্কিশ অনুমতি নিয়ে তাদের সার্ভার সিস্টেম থেকে টিকেট বিক্রি করেছেন। টিকেটের টাকা ইতোমধ্যে এয়ারলাইন্সের কোষাগারে চলে গেছে।
×