ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১০ হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছে

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২৬ জুন ২০২০

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা হয়েছে। ব্যাপক এই পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে এই টিকার ভাগ্য। বছরের শেষ নাগাদ এই টিকা বাজারে আসতে পারে। যদিও সব থেকে আশা জাগানো এই টিকার প্রথম ১০০ কোটির মধ্যে ৭০ কোটি এরমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি এ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, শেষ ধাপে ১০ হাজার মানুষের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। এদের শরীরে টিকার প্রতিক্রিয়া দেখেই ব্যাপকভাবে তা মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দেশে এবং দেশের বাইরে ১০ হাজার মানুষের ওপর অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। দেশের বাইরে আফ্রিকাতে এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করছে এ্যাস্ট্রাজেনেকা। গত ২৩ এপ্রিল মানবদেহে অক্সফোর্ডের টিকা প্রথম মানব দেহে প্রয়োগ করা হয়। প্রথমে ৫১০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এর কার্যকারিতা। প্রতিষেধক প্রয়োগের পরবর্তী ১৫ দিন স্বেচ্ছাসেবকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। আশা জাগিয়ে প্রতিষেধকের কোনরকম ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বা বিরূপ প্রভাব দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকরা। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় মানুষের শরীরে প্রতিষেধকের ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার দিকটি দেখা হবে। এই পরীক্ষার সাফল্যের ওপরেই নির্ভর করছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের বাণিজ্যিক উৎপাদন আর ভাইরাসের চিকিৎসায় এটির প্রয়োগের ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়টি। ফলে শেষ ধাপের এই পরীক্ষার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। এ্যাস্ট্রাজেনেকা আগাম টিকা প্রস্তুত করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে টিকার ট্রায়ালের ফলাফল পাওয়া এবং ছাড়পত্র পেতে সময়ের প্রয়োজন। এরপর টিকা উৎপাদনে গেলে বেশি সময় প্রয়োজন হবে। ফলে আগেই তারা টিকা উৎপাদন করে রাখতে চায়। ট্রায়ালের ফলাফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাতে প্রয়োগ করা যায়। এপ্রিলে মানব দেহে প্রয়োগের আগে এই টিকা ইঁদুর এবং বানরের ওপর প্রয়োগ করা হয়। এতেও টিকা কার্যকর বলে দেখা গেছে। তবে সম্প্রতি শূকরের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে একক ডোজের এই টিকা এক ডোজের বদলে দুই ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও শূকরের দেহে করোনা প্রতিরোধী এন্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে। তবে মানুষের শরীরে এই টিকার একক ডোজ প্রয়োগ করা হবে। তবে এ্যাস্ট্রাজেনেকা’র এই টিকা শুরুর দিকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো পাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে এ্যাস্ট্রাজেনেকা’র নি¤œ আয়ের দেশগুলোতে এক তৃতীয়াংশ টিকা সরবরাহের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে পৃথিবীর যেখানে প্রয়োজন সে জায়গাকে আগে প্রাধান্য দেয়া হবে।
×