ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মমতাজ লতিফ

করোনা প্রকৃতিকে দূষিত করছে, সাবধান

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ২৫ জুন ২০২০

করোনা প্রকৃতিকে দূষিত করছে, সাবধান

করোনায় মৃত স্বজনদের কাছে যেতে না পারার কারণ কি? মনে প্রশ্ন জাগছেÑ ভাইরাস কি মৃতদেহে সক্রিয় থাকে? থাকলে কত ঘণ্টা পর্যন্ত সে বিপজ্জনক থাকে? আমরা জানতাম, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া জীবন্ত প্রাণীদেহে সক্রিয় থাকে। মৃতদেহে সেও মৃত্যু মুখে পতিত হয়। ধরা যাক, যদি করোনাভাইরাস মৃতদেহে তিন-চার ঘণ্টা জীবিত বা সক্রিয় থাকে, তাহলে রোগীর মৃত্যুর পর তিন-চার ঘণ্টা মৃতদেহ সৎকার বা কবর না দিয়ে রেখে দিলেই হয়। যখন মৃতদেহ বিপজ্জনক থাকবে না। তখন তার স্বজন সাধারণ নিয়মে দেহটি সৎকার করবে বা কবর দেবে। ফলে, মাটি ও প্রকৃতিতে মিশতে পারে না এমন উপকরণে তৈরি আচ্ছাদন বা ব্যাগ ব্যবহার না করা সম্ভব হয় কি? আমরা প্রতিদিন বিশ্বের প্রায় সব দেশে হাজার হাজার করোনায় মৃতদের সাদা প্লাস্টিক জাতীয় বডিব্যাগে কবর দেয়ার দৃশ্য দেখে মাটি দূষণের ভবিষ্যত ফল চিন্তা করে শঙ্কিত হচ্ছি। এই মাটিতে কি ওই বডিব্যাগ মিশে যেতে পারবে? মনে হয় পারবে না। ফলে ওই মাটি নিষ্ফলা হবে। এমন করে শত একর জমি নিষ্পলা হবে ভাবলে আতঙ্কিত না হয়ে উপায় নেই। অথচ এমন প্লাস্টিকের বডিব্যাগ ব্যবহার না করার কোন একটি উপায় বের করতে হবে। করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ হিন্দুধর্ম মতে পুড়িয়ে ফেলাটা প্রকৃতি বান্ধব হতোÑ এ তো বলা বাহুল্য। এরপর যখন চিকিৎসকদের আলোচনায় শুনতে পেলাম যে, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য পিপিই নামের মাটিতে দ্রবণীয় নয় এমন কাপড় বা প্লাস্টিক জাতীয় পোশাক পরতে হবে এবং সেটি খুললে আর দ্বিতীয়বার পরবে না, তখন নতুন আরেকটি পিপিই পরতে হবেÑ তখন বাস্তবিক আমি ভীষণ শঙ্কিত বোধ করলাম। এই হিসেবে দৈনিক কত লাখ পিপিই, মাসে কত লাখ পিপিই কোথায় কিভাবে ব্যবহারকারীরা ফেলছে বা বিনষ্ট করছে, তা চিকিৎসায় নিয়োজিতরাও অবশ্যই সুস্পষ্টভাবে ধারণা রাখে না। এ বিষয়ে আমার প্রস্তাব হলোÑ পিপিইগুলো কোন ধরনের ব্লিচিং ফিনাইল বা জীবাণু ধ্বংসকারী দ্রবণে মেশানো পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে রাতে শুকিয়ে পরদিন স্বাস্থ্যকর্মীরা আবারও পরতে পারে। এতবড় দরকারি ‘পিপিই’ প্রতিদিন ফেলা যাবে- এতটা বিলাসী আমরা হতে পারি না। ইতালি, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক হাসপাতালের দৃশ্যে দেখেছি, তাদের চিকিৎসক-নার্সদের অধিকাংশের পরনে পিপিই নেই। বরং তারা পাতলা নীল রঙের প্লাস্টিক দিয়ে বাচ্চাদের রেইনকোটের মতো তৈরি করে তাদের সাদা পোশাকের ওপর পরে সব কাজ করছে। প্লাস্টিক তো জীবাণু ধ্বংসকারী দ্রবণে ধুয়ে শুকিয়ে আবার পরা যায়। অথবা, একজনের দুটো রেইনকোট থাকলে আরও সহজ হয়। আসলে এই বিগত তিন মাসে করোনা বা কোভিড-১৯ নিয়ে যে জ্ঞান লাভ করেছি তাতে বুঝতে পারছি একজন ব্যক্তি করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারবে যদি সে চোখ, নাক, মুখ এবং দু’হাত ঢেকে রাখে। এর জন্য ব্যক্তিকে গেঞ্জির কাপড় বা অন্য কাপড়ের তৈরি মাস্ক পরতে হবে। সেটি ঘরে এসেই সাবান দিয়ে ধুয়ে শুকাতে দেবে। চোখের চশমাটিও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে, সঙ্গে হাতের গ্লাভসও ধুয়ে শুকাতে হবে পরের দিন ব্যবহারের জন্য। জুতা কড়া রোদে শুকানো যায়, যা জীবাণু মুক্ত হবে। পরনের কাপড় ধোয়ার পর অথবা কড়া রোধে মেলে দিলেও জীবাণুমুক্ত হবে। আমি নিজে এ নিয়মে দুটি মাস্ক থাকলেও একটি দিয়েই চলাচল করছি। মাস্ক, গগলস আমি হাত ধোয়ার সঙ্গেই ধুয়ে ফেলি সাধারণ সাবান দিয়ে। শাড়ি কখনও ধুই, কখনও রোদে দিই। জুতা রোদে দেই। চিকিৎসকদের পরামর্শে শুনি প্রতিদিন মাস্ক ফেলে দিতে হবে। শুনে মন খারাপ হয়, আমার এ মাটি, নর্দমা, খাল, নদী ক’দিন পরে কি অবস্থায় পৌঁছাবে, তা ভেবে। তাদের পরামর্শমতো একটি ঢাকনা দেয়া বিনে (যা অনেকেরই নেই) ফেলতে হবে, পরে নষ্ট করে ফেলতে হবে। এটি ডাক্তাররাও করছেন বলে আমার মনে হয় না। নিয়মটি এই বিপুল জনসংখ্যার দেশে, দরিদ্র মানুষের দ্বারা মোটেও সম্ভব হবে না, এটা সবার জানা। বরং তাদের মাস্কটি ধুয়ে পরদিন ব্যবহার করতে বলাটাই যুক্তিযুক্ত হবে। এর সঙ্গে আছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কঠিন বিষয়। দৈনিক কত টন বর্জ্য তৈরি হবে এবং সেসব মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কারা কোথায় কিভাবে করবে, এর কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা এখনও পাওয়া যায়নি। কিন্তু এই দানব করোনার ফলে আমাদের দুঃখী, মলিন মা প্রকৃতি যে এত সুন্দর মোহনীয় হয়ে উঠেছে, তা তো মেডিক্যাল ও প্লাস্টিক ব্যাগে লাশ কবর দেয়ার ফলে আরও বেশি নষ্ট হয়ে উঠছে, সে কথাও ভাবতে হবে। প্লাস্টিক ব্যাগ মাটিতে পচবে না এ তো সবাই জানে। ভয়াবহ করোনাভাইরাস কবলিত জনমানুষ যখন প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে, যখন বড় বড় দেশপ্রেমিক মানুষগুলো হঠাৎ মৃত হয়ে যাচ্ছে, তখন প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ করছে আমাদের। আশ্চর্য! প্রথম, লকডাউনের বিশ পঁচিশ দিন পর হঠাৎ আমার ছোট বারান্দার ফুলে এসে বসা অপরূপ নকশা ও রঙের বড় সড় প্রজাপতিটিকে দেখে মুগ্ধ আমার চোখে জল এসে গিয়েছিল। কেন? কারণ, বহুদিন, বহু বছর প্রজাপতি, ফড়িং দেখিনি। এ প্রজাপতিটি এতই রূপসী বা রূপবান ছিল যে, কে তাকে এত সুন্দর রং ও নকশায় সাজিয়ে এ পৃথিবীতে পাঠাল ভেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছিলাম। এ বারান্দাটার সঙ্গে লাগোয়া একটি গাছ- গাছালিতে ভরা স্থানে একটি পানির কোম্পানির অফিস আছে। সেখানে আম, কাঁঠাল, সুপারি, নারিকেল ছাড়াও অন্য বড় গাছ আছে। এতদিন কাক, শালিক, চড়ুই ছাড়া আর কোন পাখি, পতঙ্গ দেখিনি। ওই প্রজাপতিটি আসার পরদিন এলো পুরো হলুদ রঙের এক প্রজাপতি। এর ক’দিন পর দেখলাম মোটাসোটা কালো ভ্রমর ফুলের মধু খাচ্ছে, যার ঘাড়ের হলুদ রোঁয়ার ডোরাটি অন্য ভ্রমরের মধ্যে দেখিনি! এরপর এলো, কালো কুচকুচে এক ভ্রমর, এলো ছোট সাদা-খয়েরি রঙের প্রজাপতি। দিন দশেক আগে বিকেলে বারান্দার দিকে যেতে দ্রুত পর্দার আড়ালে লুকোলামÑ আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, এক গাঢ় নীল রঙের পাখি ফুল গাছের ডালে বসে নিচে কিছু খুঁজছে, হয়ত কীটপতঙ্গ খুঁজছে। কিন্তু অপরূপ সমুদ্রের গভীর নীল জলের রঙে তার পুরোটা দেহ নীল, এমন নীল পাখি আমি জীবনেও দেখিনি! বেশিক্ষণ ছিল না সে, উড়ে চলে গেল। কিন্তু পরদিন শেষ বিকেলে আবার, শেষ বার সুন্দরী নীল পাখি আমাকে এক বুক বিস্ময় ও আনন্দ উপহার দিতে এলো, ঘুরে বেড়াল ডালে ডালে। একটু পরে উড়ে চলে গেল। আর সে আসেনি। মনে মনে ডাকি ও নীল পাখি, আয়, আয়, প্রজাপতি, ভ্রমর, আয় একবার। কিন্তু, আর আসে না ওরা। তবে, এবার এলো চড়ুইয়ের চাইতে বড়, কিন্তু হালকা পাতলা খয়েরি রঙের এক পাখি যার ঠোঁটটি লম্বা, বাঁকানো, ওই ঠোঁট দিয়ে সে ফুলের ভেতর থেকে কিছু মধু খাবার চেষ্টা করছিল। কিছুক্ষণ ছিল, তারপর উড়ে চলে গেল, কোথায় কে জানে। হয়ত যেখান থেকে এসেছিল সেখানে ফিরে গেল। কিছু মানুষের হিংস্র আচরণে নীল পাখি, খয়েরি পাখি মারা পড়েছে। তবু, রোজ অবসর সময়ে মনে মনে ডাকিÑ নীল পাখি, খয়েরি পাখি, প্রজাপতি, ভ্রমর, আয় আয়, আমি মুগ্ধ হই আরেকবার, অন্য কোন কিছু যা এমন অপার্থিব আনন্দ দেয়ার ক্ষমতা রাখে, তেমন কিছু নেই এ পৃথিবীতে। হায়, কোভিড উনিশ, কত প্রিয়জনকে তুই মুহূর্তে লাশ বানাচ্ছিস। ’৭১-এ দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করে কয়েক হাজার বুদ্ধিজীবীকে আলবদরের দল ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। কত শিক্ষক, ছাত্র, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, প্রশাসক, পুলিশ, সেনা কর্মকর্তাকে দেশ হারিয়েছিল সেই ’৭১-এ! আজ যখন বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদযাপন হচ্ছে, দেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বর্ষ পূরণ সামনের বছর উদযাপিত হবে, তখন আবার আমরা চিকিৎসক, ব্যাঙ্কার, শিক্ষক, ছাত্র, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী, সাংবাদিক ও রাজনীতিককে হারাচ্ছি! বড় আশ্চর্য লাগছেÑ একদিকে নেতৃস্থানীয় পেশাজীবীদের হারাচ্ছি, অপরদিকে পাখির কলকাকলিতে সকালটি, দিনটি হয়ে উঠছে প্রাণদায়ী, বেঁচে থাকার প্রেরণা নিয়ে ভালবাসায় ভরপুর। এ জন্যই কি লেখক বলেছিলেনÑ জীবন আমার বোন! বারান্দাটিতে তুলসী গাছ প্রায় বিশ বছর পর হঠাৎ মরে গেলে ওখানে মাথা তুলল নিম গাছ! যে তুলসীর রস মধু দিয়ে খাইয়ে আমার নাতিদের বিনা ওষুধে এত বছর সুস্থ করে তুলতাম, সে টবে তরতর করে বেড়ে উঠছে নিমগাছটি! নিমগাছের পাতা দিয়ে একজিমাসহ নানা রোগ সারিয়েছি। সে নিমপাতা অন্য স্থান থেকে সংগ্রহ করেছি। আজ দেখছি সে নিমগাছ আমারই টবে নিজেই দ্রুত বেড়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আমাদের পুরনো ক্যাম্পাসে গেলাম। মনে করতে পারলাম তখনকার পাহারাদার উজির আলী, হজরত আলীর নাম। তরুণ গার্ডকে জিজ্ঞেস করলাম, সে কার ছেলে। সে উজির আলীর ছেলেÑ যুবক জানাল। তখন তাকে ওইখানে, মাঠের পাশে, অন্য গাছপালার পাশে একটি নিমগাছ লাগাতে পারবে কিনা জিজ্ঞেস করি। তরুণ বলল, ‘বলেন কি, এ তো আমার সৌভাগ্য, আপনি এখানে ছিলেন, এখন একটা গাছ লাগাবেন, তাও বড়ই উপকারী নিমগাছ তা তো লাগাবই অবশ্যই। যেদিন এনে দেবেন, সেদিনই লাগাব।’ শুনে মনটা আনন্দে ভরে গেল। গাছটাকে শান্ত, সুন্দর একটি পরিবেশে বেঁচে, বড় হতে দিতে পারব, এই ভেবে মনটা খুশিতে ভরে গেল। এই ছোট মাঠে একদিন আমার মেয়েরা খেলেছে বন্ধুদের সঙ্গে, এখন নতুন ছেলেমেয়েরা খেলে, তাদের পাশে নিমগাছটি বেড়ে উঠবে নিশ্চয় খুশি হয়ে। এই করোনাকালেও দেখছি গর্ভ ধারণ করছে তরুণীরা। বাঙালী তরুণীদের আহ্বান করি আপাতত গর্ভবতী না হতে। কোন দুর্ঘটনা হলে তিন দিনের মধ্যে আইপিল খেয়ে নিলে এ সমস্যা কেটে যাবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরামর্শ দিতে পারবে। তরুণ-তরুণীদের বলব, এই বিপুল জনসংখ্যার দেশে দুটি বা একটি সন্তানই যথেষ্ট। তাকে ভাল মানুষ ও সুশিক্ষিত, সাংস্কৃতিক মনের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই আসল চ্যালেঞ্জÑ সেটিই কর না কেন তোমরা। একটা পর্যবেক্ষণ আমাকে বিস্মিত করছে। করোনাভাইরাসটি যেন বেছে বেছে উচ্চ শিক্ষিত, ধনী, উচ্চ, মধ্যবিত্ত, এসি কক্ষে বাস করে এমন মানুষদের সংক্রমিত করছে! অপরদিকে, বস্তিবাসী দরিদ্র নারী, পুরুষ, আক্রান্ত হচ্ছে না বললেই চলে। আমার গৃহকর্মীদের বস্তিতে এখনও কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়নি। এমন কি বিশাল কুড়িল বস্তিতে দু’একজন আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছে। যা ভেবে সবাই শঙ্কিত ছিল যে, বস্তিুগুলো একবার সংক্রমণ শুরু হলে উজাড় হয়ে যাবেÑ তা একদমই হয়নি। কেন? বিষয়টি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমার বাসায় দুই গৃহকর্মীর হাঁচি, কাশি, জ্বর কিছুই হয়নি, সেদিকে আমি লক্ষ্য রাখি। সত্যিই, দরিদ্র-গরিব মানুষের মধ্যে রোগটির সংক্রমণ কম। অথচ ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশিয়ানরা বেশি আক্রান্ত হয়েছে, সংখ্যায়ও বেশি মারা গেছে। বাজারেও দেখি মাছওয়ালা, সবজিওলা, মুরগিওয়ালারা বহাল তবিয়তে আছে। রিক্সাওয়ালাও তাই। ওদের ইমিউনিটি কি অনেক বেশি? গবেষকরা হয়ত বলতে পারবেন। তবে, এ রোগ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির এ্যান্টিবডি মাত্র ২-৩ মাস থাকছে। তা হলে টীকার কার্যকারিতা কেমন মাত্রার হবে? ম্যালথাস কথিত পৃথিবী নিজেই নিজেকে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে আসেÑ তাতে মহামারী দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি বড় ভূমিকা রাখে। এবার করোনা মহামারী কি তাই করতে যাচ্ছে? লেখক : শিক্ষাবিদ
×