ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ময়নাতদন্তে জানা গেল গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছিল

প্রকাশিত: ২১:৫১, ১৭ জুন ২০২০

ময়নাতদন্তে জানা গেল গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছিল

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর জানা গেল যশোর শহরতলীর রাজারহাট মোল্লাপাড়ার বাড়িতে গত বছর ১১ অক্টোবর গৃহবধূ মনিয়া বেগমকে (১৯) হত্যা করা হয়েছিল। তার মৃত্যু স্ট্রোকের কারণে নয়। এই ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পুলিশ গৃহবধূ মনিরার স্বামী সুমন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমান মোল্লার ছেলে। এই মামলায় অন্য দুই আসামি হলেন, একই এলাকার আব্দুল মোতালেব শেখের ছেলে শেখ মনিরুজ্জামান ও তার স্ত্রী সুখী বেগম। পিরোজপুর জেলার ভা-ারিয়া উপজেলার রাজপাশার (হাওলাদার বাড়ি) সোহরাব হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী নাছিমা বেগম গত সোমবার রাতে কোতোয়ালি থানায় এজাহার দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, তার মেয়ে মনিয়া বেগমের সঙ্গে মৃত্যুর দুই মাস আগে সুমন মোল্লার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমন মোল্লা তার স্ত্রী মনিয়া বেগমকে নিয়ে যশোর শহরতলীর রাজারহাট মোল্লাপাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। জামাই সুমন স্ত্রী মনিয়া বেগমের কাছে যৌতুক বাবদ মোটরসাইকেল কেনার জন্য এক লাখ ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। তাকে দাবিকৃত টাকা দেয়াও হয়। এরপর গত বছরের ১১ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে রাত আটটার মধ্যে মনিয়া বেগম মারা যায়। মনিয়া বেগমের মৃত্যুর সংবাদ সুমনের ভগ্নিপতি মোতালেব তাকে (নাছিমা বেগমকে) জানান। বলা হয়, মনিয়া বেগম স্ট্রোক করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছে। রাজাপুর থানা এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে। অপমৃত্যু মামলা হলে পুলিশ লাশের সুরতহাল ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। সম্প্রতি ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ‘মনিয়া বেগমকে হত্যা করা হয়েছে’ বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর নাছিমা বেগম ঘটনাস্থল যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় পুলিশ সুমন মোল্লাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজাতে পাঠিয়েছে।
×