ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বজ্রপাতে শিক্ষক গৃহবধূসহ নয়জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২২:১৬, ৭ জুন ২০২০

বজ্রপাতে শিক্ষক গৃহবধূসহ নয়জনের মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে কমপক্ষে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, চুনারুঘাট ও শায়েস্তাগঞ্জে চারজন, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কৃষকসহ দুজন, ভোলায় এক কৃষক, মানিকগঞ্জে স্কুল শিক্ষক ও কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এক গৃহবধূ রয়েছেন। এছাড়া কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে নৌকা থেকে পড়ে নৌকার এক যাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার রাত ও শনিবার এসব মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। শনিবার সকালে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রনিয়া গ্রামে এক সঙ্গে পাঁচজন মাছ ধরতে নদীতে যান। এ সময় বজ্রপাতে রনিয়া গ্রামে মৃত মালিক মিয়ার ছেলে মারফত আলী (১৭) ও আবেদ আলীর ছেলে রবিন মিয়া (১৭) মারা যায়। আহত হয় মৃত মোঃ মন্নর আলী মিয়ার ছেলে মাহাবুর মিয়া (১৩), মফিজ মিয়ার ছেলে পলাশ মিয়া (১৫) ও ইছাক মিয়ার ছেলে আলামিন মিয়া (১৮)। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাঈমা খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সরকারীভাবে নিহত ও আহতদের পরিবার অনুদান পাবে। একই সময়ে নদীতে মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে মারা যান শায়েস্তাগঞ্জের চন্ডিপুর গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আছকির মিয়া (৫৫)। এছাড়া চুনারুঘাটে শাহজাহান মিয়া (৪৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জোয়ার লালচান্দ গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে। মৌলভীবাজার ॥ বড়লেখায় পৃথক দুটি স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের গল্লাসাঙ্গনে জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আব্দুল মতিন নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। অপরদিকে বর্ণি ইউনিয়নের কাজিরবন এলাকায় মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে রুবেল মিয়া নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়। ভোলা ॥ ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু ও দুজন আহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ভোলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ও বৃষ্টি হয়। এ সময় চরকালী গ্রামে আউশ ধান রোপণ করতে গিয়ে কৃষক আবুল মালেক (৬০) বজ্রপাতে মারা যান। কামাল ও আলী নামে দুজন আহত হন। কুড়িগ্রাম ॥ রৌমারী উপজেলায় বজ্রপাতে লাকি আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বালুর গ্রাম এলাকায় বজ্রপাতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। লাকি আক্তার জমিয়েল মিয়ার স্ত্রী। বৃষ্টির সময় ঘরের বাইরে কাজ করছিলেন লাকি আক্তার। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে শুক্রবার রাতে ব্রহ্মপুত্র নদে বজ্রপাতে নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে মফিজুল হক নামে এক যুবক নিখোঁজ হন। নিখোঁজ যুবক কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। মানিকগঞ্জ ॥ বজ্রপাতে মানিকগঞ্জের পৌর এলাকার মালঞ্চ গ্রামের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম শনিবার দুপুরে মারা গেছেন। তিনি জেলা শহরের পোড়ড়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। জোহরের নামাজের পর বাড়ির পাশে ধানের খোলায় মাড়াইযন্ত্র দিয়ে ধান মাড়াই করছিলেন কয়েকজন। হঠাৎ বৃষ্টিসহ বজ্রপাতে জাহাঙ্গীর ও তার মাসহ মাড়াই কাজে ব্যস্ত থাকা পাঁচজন আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
×