ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সড়ক দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের ক্ষমা করে দিলেন ইমরুল

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ৩০ মে ২০২০

সড়ক দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের ক্ষমা করে দিলেন ইমরুল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবাকে হারিয়েছেন বাংলাদেশ তারকা ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস। ওই ঘটনায় মামলাও হয়। পরে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তাদের ব্যাপারে মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইমরুল। দুর্ঘটনাকে নিয়তি হিসেবে নিয়ে ‘অভিযুক্তদের’ ক্ষমা করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ইমরুল বলেন, দুর্ঘটনায় জড়িত নসিমন চালক ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। আমি তাদের ছেড়ে দিতে বলেছি। আমি তো আমার বাবাকে হারিয়েই ফেলেছি। আর ক’টা মানুষকে মামলা-মোকদ্দমায় টানাটানি করে লাভ নেই। ওদেরও তো পরিবার আছে। তিনি বলেন, মনে খারাপ লাগা আছে। এ থেকে পুলিশ-কোর্টে (আদালত) দৌড়াদৌড়ি করলে হয়তো আসামিদের শাস্তি হবে। কিন্তু এতকিছু করেও তো আমার বাবাকে ফিরে পাব না। যেহেতু ফিরে পাচ্ছি না, সেহেতু এগুলো করে লাভ নেই। সড়কে অননুমোদিত যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলে দুর্ঘটনার সংখ্যা নেহাতই কম নয়। তবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে, কোর্ট-কাছারির দৌরাত্ম্যে ভোগান্তির শিকার হবে, তাদেরও তো পরিবার আছে। এ ব্যাপারটি ভেবেই আইনের আশ্রয় নেয়া থেকে দূরে আছেন ইমরুল। তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা করব, তাদেরও তো পরিবার আছে। দুর্ঘটনা তো কেউ ইচ্ছা করে ঘটায় না। এটা এমনি এমনি হয়ে যায়। এ জন্য এ বিষয় নিয়ে মামলা-মোকদ্দমায় যাইনি। গণমাধ্যমে এমন মহানুভবতা প্রকাশের খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিকেটার রুবেল হোসেনসহ ক্রীড়াপ্রেমীরা ইমরুলের প্রশংসা করেছেন। সবার একই কথা মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি। গেল ২৩ মার্চ নসিমনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন ইমরুলের বাবা বানি আমিন বিশ্বাস। মেহেরপুর-কাথুলি সড়কে ছহিউদ্দীন ডিগ্রি কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তর করা হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়। সেখানে মাসখানেক মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর হার মানেন তিনি।
×