ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ

এবার ব্যতিক্রমী ঈদের অপেক্ষা

প্রকাশিত: ২১:৫১, ২৩ মে ২০২০

এবার ব্যতিক্রমী ঈদের অপেক্ষা

শাহীন রহমান ॥ এক ব্যতিক্রমী ঈদ উদ্যাপনের অপেক্ষায় দেশবাসী। আজ শনিবার চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল রবিবার উদযাপিত হবে ঈদ-উল-ফিতর। চাঁদ দেখা না গেলে সোমবার উদযাপণ করা হবে ঈদ। প্রতি বছর মাসব্যাপী সিয়াম, সাধনার পর দেশবাসী ঈদ আনন্দে মেতে উঠলেও এবার সেই সুযোগ পাচ্ছেন না কেউ। করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে বন্দী জীবনেই ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি সবার। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এবারের ঈদ ঘরেই উদ্যাপনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ফলে এবারে ঈদের সেই খুশির আমেজ থাকছে না। একান্ত ঘরোয়া পরিবেশে পরিবার-পরিজনের মধ্যেই ভাগাভাগি করে নিতে হচ্ছে ঈদের আনন্দ। করোনার কারণে ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় এবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ফলে নামাজ শেষে কোলাকুলির সেই পরিচিত দৃশ্যের এবার দেখা মিলবে না। এমনকি দেখা যাবে না একে অপরের সঙ্গে হাত মেলানোর দৃশ্যও। এবার ঈদে সেই ঘরে ফেরার আনন্দ নেই। নেই কেনাকাটার আমেজ। রোজার পুরো একমাস প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি কেউ। এরই মধ্যে রমজান শেষে আবার হাজির হয়েছে ঈদ-উল-ফিতর। কিন্তু বন্দী জীবনের প্রতীক্ষা ঈদে এসেও শেষ হচ্ছে না। করোনাভাইরাস বিস্তারের কারণে গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে সারাদেশে চলছে লকডাউন। এই লকডাউনের মধ্যে এবার যে যার অবস্থানে থেকেই ঈদ উদযাপন করতে হচ্ছে। প্রিয়জনের সান্নিধ্য থেকেও এবার বঞ্চিত হতে হচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে। ফলে ঈদ-উল-ফিতরের উৎসব এবার আর আগের বছরের মতো হবে না। ঈদের নামাজ আদায়, বাইরে ঘুরতে যাওয়া, নানা ধরনের আয়োজন সবকিছুতেই এবার ভাটা পড়তে চলেছে। এদিকে করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে এবার রোজার ঈদের দিন ঈদগাহ বা খোলা জায়গার বদলে বাড়ির কাছে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে বলেছে সরকার। সেই সঙ্গে মসজিদে ঈদ জামাত আয়োজনের ক্ষেত্রে সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বেশ কিছু শর্ত দিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব নির্দেশনা না মানলে ‘আইনগত ব্যবস্থা’ নেয়া হবে। সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ পড়তে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারাবিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিজনিত ওজরের কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ৬ এপ্রিল দেশের সব মসজিদে বাইরে থেকে মুসল্লি ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মসজিদের খাদেমরা মিলে মোট কতজন ভেতরে জামাতে অংশ নিতে পারবেন, তার সীমা বেঁধে দেয়া হয়। রোজার শুরুতে তারাবির নামাজের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা দেয়া হয়। গত ৬ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে আবার জামাতে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হয়। সে সময় মসজিদের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার যে শর্তগুলো দেয়া হয়েছিল, সেগুলো ঈদের জামাতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। যেহেতু এবার ঈদগাহে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে, সেহেতু এবার একই মসজিদে একাধিক ঈদের জামাত হবে বলে জানানো হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে। প্রতি বছর ঈদ-উল-ফিতর এলেই রাজধানী নতুন সাজে সেজে ওঠে। মাসব্যাপী কোনাকাটা শেষে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি থাকে প্রতি ঘরে ঘরে। এছাড়া এই উপলক্ষে রাজধানীকে সাজানো হয় বিশেষভাবে। সড়ক দ্বীপগুলো আলোকসজ্জায় ভরে ওঠে। বিনোদন কেন্দ্রেগুলোতে থাকে আলাদা প্রস্তুতি। ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তৈরি করা হয় একাধিক তোরণ। ঈদগাহ মাঠও বিশেষভাবে সেজে ওঠে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে জামাত অনুষ্ঠানের জন্য একমাস ধরেই প্যান্ডেল সাজানো হয়। নামাজের জন্য ওযুখানাসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। এছাড়া রাজধানীতে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রায় ২টা করে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়। এবার সেই প্রস্তুতি নেই। করোনার কারণে এবারই প্রথম জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বায়তুল মোকাররমে মসজিদে স্বাস্থবিধি মেনেই ঈদের নামাজ পড়তে হবে। নামাজ শেষে গণভবন ও বঙ্গভবনের প্রতি বছর রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছ বিনিময় করলেও এবার সেই তা হচ্ছে না। এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ঈদ-উল-ফিতরের তারিখ নির্ধারণে আজ শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার তথ্য পর্যালোচনায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ এতে সভাপতিত্ব করবেন বলে শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বাংলাদেশের আকাশে শনিবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে রবিবার ঈদ হবে, আর চাঁদ দেখা না গেলে ঈদ হবে সোমবার। দেশের আকাশে কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭ নম্বরে টেলিফোন এবং ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। পুরো একমাস সিয়াম সাধানার পর আবার এসেছে ঈদ। ইসলামী বিশেষজ্ঞরা বলছেন পূর্ণ একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ উৎসব মুসলিম জাতির প্রতি সত্যিই মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক বিরাট নিয়ামত ও পুরস্কার। মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সদস্যের আবেগ, অনুভূতি, ভালবাসা, মমতা ঈদের এ পবিত্র ও অনাবিল আনন্দ উৎসবে একাকার হয়ে যায় কিন্তু এবার প্রথম এক ব্যতিক্রমী ঈদ উৎসবে শামিল হতে যাচ্ছে দেশবাসী। এদিকে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ঈদ ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদ মুসলমানদের জীবনে শুধু আনন্দ-উৎসবই নয় বরং এটি একটি মহান ইবাদত যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা খুঁজে পায়। ধনী-গরিব, কলো-সাদা, ছোট-বড়, দেশী বিদেশী সকল ভেদাভেদ ভুলে যায়। সব শ্রেণী ও সকল বয়সের নারী-পুরুষ ঈদের জামাতে শামিল হয়ে মহান আল্লাহ্র শোকর আদায়ে নুয়ে পড়ে। তাদের মতে, মতে ঈদ-উল-ফিতরের দিনে খুশি প্রকাশ করা মুসলমানের জন্য মুস্তাহাব। মাহে রমজানের প্রথম দশদিন রহমত, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাত, তৃতীয় দশদিন জাহান্নাম থেকে মুক্তির পুরস্কারস্বরূপ সৌভাগ্যের ঈদ খুশি উদ্যাপনের সুযোগ মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দার জন্য দিয়েছেন। মাহে রমজানের সমাপ্তির পর মহান আল্লাহ্ ঈদ-উল-ফিতরের নেয়ামত দ্বারা বান্দাকে ধন্য করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত যখন ঈদ-উল-ফিতরের রাত আসে তখন সেটাকে লাইলাতুল জায়েজা অর্থাৎ পুরস্কারের রাত বলে আহ্বান করা হয়। যখন ঈদের দিন ভোর হয় তখন আল্লাহ তাআলার ফেরেস্তারা সব শহরে, সব গলি ও রাস্তাগুলোর মাথায় দাঁড়িয়ে যায়। আল্লাহ তাআলাও তাঁর বান্দাদের এভাবে সম্বোধন করেন, হে আমার বান্দারা! চাও, কী চাইতে ইচ্ছে হয়! আমার সম্মান ও মহত্ত্বের শপথ! আজকের দিনে এ জমায়েতে (ঈদের নামাজে) তোমাদের আখিরাত সম্পর্কে যা কিছু চাইবে তা পূরণ করব। আর যা কিছু দুনিয়া সম্পর্কে চাইবে তাতে তোমাদের মঙ্গলের দিক দেখব। আমার সম্মানের শপথ! তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত আমার বিধানবলীর প্রতি যত্নবান থাকবে আমিও তোমাদের ভুলত্রুটিগুলো গোপন রাখব। আমার সম্মান ও মহত্ত্বের শপথ আমি তোমাদের সীমালঙ্ঘলকারীদের সঙ্গে অপমান করব না। তোমাদের ঘরের দিকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হিসেবে ফিরে যাও। তোমরা আমাকে সন্তুষ্ট করেছে। আমিও তোমাদের ওপর সন্তষ্ট হয়ে গেছি। ঈদ-উল-ফিতর (আরবি ঈদ-উল-ফিতর অর্থ রোজা ভাঙ্গার দিবস) ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি। ধর্মীয় পরিভাষায় ঈদ-উল-ফিতরকে পুরস্কার দিবস হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দর সঙ্গে পালন করে থাকে কিন্তু এবার ঘরেই পালন করতে হবে ঈদ। হিজরী বর্ষপঞ্জী অনুসারে রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদ-উল-ফিতর উৎসব পালন করা হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজানের সমাপ্তিতে শাওয়ালের মাসের গণনা শুরু হয়। ঈদের চাঁদ স্বচক্ষে দেখে তবেই ঈদের ঘোষণা দেয়া ইসলামী বিধান। ইসলামী নিয়মানুসারে ঈদের পূর্বে পুরো রমজান মাস রোজা রাখা হলেও ঈদের দিনে রোজা রাখা নিষিদ্ধ বা হারাম। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রোজা। নামাজের পর মুসলমানদের প্রতি যে ইবাদত ফরজ করা হয়েছে তা হলো মাহে রমজানের রোজা। আল্লাহ তাআলা এ মাসে তাঁর বান্দাদের ওপর বিশেষ দৃষ্টি প্রদান করে থাকে। গুনাহ মাফ করে দেন। দোয়া কবুল করেন। এজন্য ইসলামের অনুসারীদের জন্য এ মাস বিশেষ নিয়ামতের মাস হিসেবে গণ্য। কারণ দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পরেই আসে কেবল এ ঈদ করোনার কারণে একার ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের উপর সরকার আগেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ফলে এবার দেশের কোন ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিকটস্থ মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। এবারের ঈদের নামাজের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে ॥ ঈদ জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। সবাই নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে যাবেন। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সবান-পানি রাখতে হবে। প্রত্যেকে নিজের বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে যাবেন এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন। ঈদের জামাতে অংশ নিতে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে যেতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ বা টুপি ব্যবহার করা যাবে না। নামাজের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা জামাতে অংশ নিতে পারবেন না। সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। সংক্রমণ রোধে ঈদের জামায়াত শেষে সবাইকে কোলাকুলি এবং হাত মেলানো পরিহার করার অনুরোধ করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদের নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে খতিব ও ইমামদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। এসব নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃখলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব¡শীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ফিৎরা ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ফিৎরা আদায় করা ওয়াজিব। এটি এক ধরনের সাদকা বা দান। যা রোজার ভুলত্রুটর দূর করার জন্যে আদায় করা হয়। ঈদের নামাজের পূর্বেই ফিৎরা আদায় করার বিধান রয়েছে। ফিৎরার ন্যূনতম পরিমাণ ইসলামী বিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট করা থাকে। সাধারণত ফিৎরা পরিমাণ আটা বা অন্য শস্যের (যব, কিশমিশ) মূল্যের ভিত্তিতে হিসাব করা হয়। সচরাচর আড়াই সের আটার স্থানীয় মূল্যের ভিত্তিতে ন্যূনতম ফিৎরার পরিমাণ নিরূপণ করা হয়। এবার জন প্রতি ফিৎরা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৭০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
×