ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাড়িতে কোয়রেন্টাইনে থাকলে, প্রমাণ দিতে হবে প্রতি ঘণ্টায়, সেলফি তুলে

প্রকাশিত: ০০:৪২, ৩১ মার্চ ২০২০

বাড়িতে কোয়রেন্টাইনে থাকলে, প্রমাণ দিতে হবে প্রতি ঘণ্টায়, সেলফি তুলে

অনলাইন ডেস্ক ॥ নিজের বাড়িতে কোয়রেন্টাইনে থাকলে, তার প্রমাণ দিতে হবে প্রতি ঘণ্টায়, সেলফি তুলে। একটি নির্দিষ্ট মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দিতে সরকারের কাছে। এই নির্দেশ অমান্য করলে নিজের বাড়ির স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে থাকতে হবে সরকারি কোয়রেন্টাইন কেন্দ্রে। সোমবার রাজ্যবাসীদের জন্য এমন কড়া নির্দেশিকা জারি করল কর্নাটক। কেন এমন নির্দেশিকা? প্রশাসন সূত্রের খবর, করোনাভাইরাসকে রুখতে লকডাউনের বিধিনিষেধ অগ্রাহ্য করছেন অনেকেই। এমনকি, বিদেশ থেকে ফিরে বাধ্যতামূলক ভাবে নিজের বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশও মানছেন না বহু মানুষ। এ বিষয়ে বার বার সচেতন করা সত্ত্বেও তা কানে তুলছেন না অনেকে। দিন কয়েক আগেই বেঙ্গালুরুর ১০ ব্যক্তি নিজের বাড়িতে কোয়রেন্টাইনের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে পালিয়ে যান। এর পর তল্লাশি চালিয়ে শহর থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বেঙ্গালুরুর পুর কমিশনার বি এইচ অনিল কুমার জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। চলতি মাসে ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটে মেঙ্গালুরুতে। সেখানকার হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান এক করোনা-সন্দেহভাজন। বার বার এ ধরনের ঘটনা ঘটায় বাধ্য হয়েই সেলফি তোলার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। সেলফি সংক্রান্ত নির্দেশ রাজ্য প্রশাসন আরও জানিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সেলফি তোলার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ওই সময়ের বাইরে প্রতি ঘণ্টায় সেলফি তুলে পাঠাতে হবে সরকারের কাছে। গোটা ব্যবস্থার নজরদারিতে থাকবেন কোয়রেন্টাইন এনফোর্সমেন্ট স্কোয়াডের আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, কর্নাটকে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ জন। ইতিমধ্যে সে রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। এই ভাইরাস রুখতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে কর্নাটক। তার মধ্যে একটি হল, নিজের বাড়িতেই ১৪ দিনের কোয়রেন্টাইনে থাকা। প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ তেমন ভাবে নজরদারিতে ছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ১৪ দিনের কোয়রেন্টাইনের মেয়াদ শেষ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪২ জনকে সরকারি কোয়রেন্টাই কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×