ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা রোধে বরিশালে খেয়াঘাট বন্ধ

প্রকাশিত: ০৮:৫৬, ২৭ মার্চ ২০২০

করোনা রোধে বরিশালে খেয়াঘাট বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরিশালের সব খেয়াঘাট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসক জানান, একটি খেয়ায় বহু লোক এক সঙ্গে পারাপার হচ্ছে। তাই খেয়া পারাপার বন্ধ করা না হলে গণজমায়েত বন্ধ হবে না। ফলে সার্বিক দিক বিবেচনা করে জেলার সব খেয়াঘাট বন্ধ করে পুলিশী পাহারা বসানো হয়েছে। জেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও প্রশাসন বিভাগে যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা ছাড়া কেউ অযথা ঘর থেকে বের হবেন না। আর নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া কিছুই খোলা রাখা যাবে না। অপরদিকে, সরকারী ছুটি ও করোনা আতঙ্কে নগরীর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রতিদিনের ব্যস্ত নগরীর চেহারা অন্য রকম। নগর ও বিভিন্ন উপজেলায় সাধারণ মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে। নগরীর সড়ক ও জেলার মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় যানবাহনের সংখ্যা কমে গেছে। নগরীতে কমেছে মোটরসাইকেল ও রিক্সা চলাচলও। ফলে শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে পড়েছে। এদিকে প্রধান সড়কগুলোতে কোথাও অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা নেই। জেলাজুড়ে পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল অব্যাহত রেখেছেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি জেলার প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনা ঘিরে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত ॥ করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি পোস্ট করায় বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক সাহাদাত উল্লাহ কায়সারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত ও শোকজ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। পটুয়াখালী নিজস্ব সংবাদদাতা পটুয়াখালী থেকে জানান, পটুয়াখালী জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সড়ক মহাসড়কে যানবাহনের পাশাপাশি নৌযান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞার পর এবার পটুয়াখালী জেলার সকল খেয়াঘাটে পাড়াপাড় বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী এই নির্দেশনা জারি করেন। পরবর্তী নির্দেশন না দেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে। এদিকে খেয়া পাড়াপার বন্ধ করার ফলে জেলা শহরের সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা শহর এবং উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়ন ও শতাধিক চরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। পটুয়াখালী সদর উপজেলার সঙ্গে লোহালিয়া, লাউকাঠী, কমলাপুর এবং ভুড়িয়া ইউনিয়নে যোগযোগ করতে খোয়া পাড় হতে হয়। এছাড়া জেলার রাঙ্গবালী, গলাচিপা, বাউফল এবং মির্জাগজ্ঞ উপজেলায় ফেরির পাশপাশি খেয়া পাড় হয়ে সাধারণ মানুষ সহজে চলাচল করত। যা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীতে ১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।
×