ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচারে এগুলেও প্রসারে ঝিমিয়ে পড়েছে ডিজিটাল রাজশাহী

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

 প্রচারে এগুলেও প্রসারে ঝিমিয়ে পড়েছে ডিজিটাল রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ প্রচারে এগুলেও প্রসারে ঝিমিয়ে পড়ায় কাক্সিক্ষত অগ্রগতি নেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল রাজশাহীর। জেলার ৯টি সরকারী দফতরের ওয়েবসাইট এখনও অত্যন্ত দুর্বল ও অসম্পূর্ণ। ৪৩টি দফতরের মধ্যে ই-নথি চালু রয়েছে মাত্র ১৩টিতে। আর ই-নামজারিতেও ততটা অগ্রগতি নেই। দক্ষ জনবল না থাকায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের সুফলও পাচ্ছে না সুবিধাভোগীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী নগরীর ৩০টি সিটি ডিজিটাল সেন্টার বলতে গেলে অনেকটাই অচল। একমাত্র পুঠিয়া পৌরসভা বাদে জেলার ১৩টি পৌরসভা ও ৭২টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বেশ ভালভাবেই চলছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা আইসিটি কমিটির সভায় এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক। সভায় অক্টোবর মাসে সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) কার্যালয়ে মোট ২ হাজার ৭৪৫টি ই-নামজারি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে এই কাজ শতভাগ সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমগুলো কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাও হয়। সভায় জানানো হয়, যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকায় জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিতে পারছেন না। শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর ৩০ ওয়ার্ডে সিটি ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। কিন্তু তার অধিকাংশই চলমান নেই বলে তথ্য দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। তবে ভালভাবেই চলছে ১৪টি পৌর এবং ৭২টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। ওই সভায় জানানো হয়, গেল বছরের অক্টোবরে ৩ হাজার ৩০২ জনকে সেবা দিয়ে পৌর ডিজিটাল সেন্টার আয় করেছে এক লাখ ৬৩ হাজার ২২৬ টাকা। একই মাসে ৮২ হাজার ৪৫৪ জনকে সেবা দিয়ে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার আয় করেছে ১৭ লাখ ১৮ হাজার ১৮৮ টাকা। সূত্র জানায়, বেশকিছু পৌর ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা নেই। সেগুলো চালাচ্ছেন পৌরসভার কর্মচারীরা। রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক বলেন, উন্নয়নের মূল হাতিয়ার আইসিটি। এ ক্ষেত্রে রাজশাহীর সকল সরকারী দফতর আইসিটি কার্যক্রমে পিছিয়ে। দফতরগুলোতে আইসিটি কার্যক্রম বাড়ানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে দুর্বল ওয়েবেসাইট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেকর্ডে আসলেও বিষয়টি আসলে তেমন নয়। তাদের ওয়েবসাইট আছে কিন্তু যতটুকু প্রত্যাশা করা যাচ্ছে ততটুকু নেই। ওয়েবসাইটগুলো জাতীয়ভাবে ডিজাইন করা। এগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশ ট্যাব পূরণ করা। বাকিগুলোও পূরণের জন্য আমরা বলছি। আপডেট প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ই-নথি কার্যক্রম বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, কয়েকটি দফতর এ নিয়ে অনেক ভাল কাজ করছে। তবে সবগুলো দফতর ভাল কাজ করছে এই মুহূর্তে সেটি বলা যাবে না। অনেকেই অনেক ধরনের অজুহাত দিচ্ছেন, আমরা সেটি মানছি না। অচিরেই আমাদের পেপারলেস কার্যক্রমে চলে যেতে হবে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সিটি ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম না থাকার বিষয়ে জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, এটি শহর এলাকা। এখানে হাত বাড়ালেই তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পাওয়া যায়। এ কারণেই হয়ত এখানে সিটি ডিজিটাল সেন্টার সেভাবে গড়ে ওঠেনি। তবে যেহেতু সরকারী নির্দেশনা আছে, সেহেতু বিষয়টি নিয়ে আমরা নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। তারা যেন সিটি ডিজিটাল সেন্টারগুলো সচল করে।
×