ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ্যাডিলেডেও ওয়ার্নার-লাবুশেন শো

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ৩০ নভেম্বর ২০১৯

  এ্যাডিলেডেও ওয়ার্নার-লাবুশেন শো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে রানের ফল্গুধারা বইয়ে দেয়া ডেভিড ওয়ার্নার এ্যাশেজ টেস্ট সিরিজে ছিলেন সুপার ফ্লপ। সাদা পোশাকে তার ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই তিনি হাঁকালেন ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। ব্রিসবেনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দীর্ঘ দুই বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া অসি ওপেনার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও হাঁকালেন সেঞ্চুরি! এ্যাডিলেডে সিরিজ নির্ধারিত দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে প্রথমদিন শেষে ১৬৬ রান নিয়ে অপরাজিত ওয়ার্নার। ক্যারিয়ারের ৮১তম টেস্টে এটি তার ২৩ নম্বর সেঞ্চুরি। শুক্রবার প্রথমদিন শেষে ৭৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩০২ রান। সেঞ্চুরি পেয়েছেন মার্নাস লাবুশেনও। এ্যাশেজে স্টিভেন স্মিথ মাথায় আঘাত পেলে তার পরিবর্তে ক্যারিয়ারের পুনর্জন্ম লাভ করা এ ব্যাটসম্যান অপরাজিত ১২৬ রান নিয়ে। অর্থাৎ দলের ৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪ রান করা ওপেনার জো বার্নসকে হারানো অস্ট্রেলিয়াকে রানের পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন ওয়ার্নার ও লাবুশেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ৮ রানেই অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল প্রথম উইকেট। পাকিস্তান হয়তো তখন দারুণ কিছুরই স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু দিনশেষে তাদের স্বপ্নটা যে দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে সেটা কে জানত। এ্যাডিলেডে ডে-নাইট টেস্টের প্রথমদিন ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লাবুশেনের সেঞ্চুরি আর রেকর্ড জুটিতে পিষ্ট হয়েছে পাকিস্তানের বোলিং। শুক্রবার প্রথমদিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ১ উইকেটে ৩০২। তাও আবার বৃষ্টির কারণে এদিন নষ্ট হয়েছে ১৭ ওভার। দুই ব্যাটসম্যানই পেয়েছেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে ওয়ার্নার ও লাবুশেনের দেড় শ’ ছাড়ান ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তান হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। লাল বলের পর ফ্লাডলাইটের আলোয় গোলাপি বলেও ওয়ার্নার ও লাবুশেনের ব্যাটের ধার কমেনি। ওয়ার্নার টানা দুই ইনিংসে দেড় শ’ পেরিয়েছেন। দিনশে যে অপরাজিত আছেন ১৬৬ রানে। লাবুশেন অপরাজিত আছেন ১২৬ রানে। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনের অবিছিন্ন জুটি ২৯৪ রানে। ডে-নাইট টেস্টে যে কোন উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটি এটিই। টস জিতে ব্যাট করতে চেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আগের টেস্টে একমাত্র ইনিংসে ৯৭ রান করা জো বার্নস এবার ব্যর্থ হয়েছেন। চতুর্থ ওভারে তাকে উইকেটকিপারের ক্যাচ বানিয়ে পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এরপর দিনের বাকি সময়টায় পাকিস্তানের বোলারদের শুধু হতাশাই উপহার দিয়েছেন ওয়ার্নার ও লাবুশেন। বৃষ্টি নামায় চা-বিরতি নেয়া হয়েছিল একটু আগেভাগেই। যে বৃষ্টিতে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু হয় প্রায় ঘণ্টা দুয়েক দেরিতে। ডিনারের আগে দুই ব্যাটসম্যানই তুলে নেন ফিফটি। বিরতি থেকে ফিরে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। ওয়ার্নার ক্যারিয়ারের ২৩তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ১৫৬ বলে। ১৯ চারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। লাবুশেন তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন ১৬৯ বলে। ওয়ার্নার পরে পেরিয়ে যান দেড় শ’। প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন দু’জনই। এবার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন কি না সেটাই এখন দেখার। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ১০৩ রান। যা ছিল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে অস্ট্রেলিয়া। ওই সিরিজে বল টেম্পারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে এক বছর নিষিদ্ধ হন ওয়ার্নার। নিষেধাজ্ঞার আগে ও পরে সবমিলিয়ে ১৮ ইনিংস খেলেছিলেন। কোনটিতেই সেঞ্চুরির দেখা পাননি। প্রায় ২ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট খেলতে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া ওয়ার্নার টানা দ্বিতীয় টেস্টেও তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। আজ কি তবে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই থামবেন তিনি? সেটিই দেখার অপেক্ষা। স্কোর ॥ অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ॥ ৩০২/১ (৭৩ ওভার; ওয়ার্নার ১৬৬*, বার্নস ৪, লাবুশেন ১২৬; শহীন আফ্রিদি ১/৪৮, আব্বাস ০/২৬)। ** প্রথমদিন শেষে
×