
গাজায় চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার জন্য কাতারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৭ জুলাই) এই প্রতিনিধি দল দোহায় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর।
শনিবার (৬ জুলাই) রাতের শেষদিকে এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর পক্ষ থেকে আলোচনার যে আমন্ত্রণ এসেছে, তা গ্রহণ করতে আলোচকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের শর্তে হামাস যে পরিবর্তন চেয়েছে, সেটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শনিবার ইসরায়েলি হামলা ও গুলিতে অন্তত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। খান ইউনিস শহরের আল-মাওয়াসি এলাকায় তাঁবুতে চালানো বোমা হামলায় এক চিকিৎসক ও তাঁর তিন সন্তানসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এর দুই মার্কিন কর্মী খান ইউনিস এলাকায় গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছেন। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করলেও হামাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
গত শুক্রবার (৫ জুলাই) হামাস জানায়, তারা ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক সাড়া’ দিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কিছু সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে একটি শর্ত হলো যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হলেও যেন নতুন করে কোনো হামলা না হয়, তা নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলার পর থেকে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চলমান এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৫৭ হাজার ৩৩৮ জন নিহত হয়েছেন।
মিমিয়া