ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংবাদ প্রকাশের পর ভাতার কার্ড পেলেন শতবর্ষী চান ভানু

প্রকাশিত: ০৮:২১, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

 সংবাদ প্রকাশের পর ভাতার  কার্ড পেলেন শতবর্ষী  চান ভানু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৫ অক্টোবর ॥ শতবর্ষী বিধবা চানভানুর ভাগ্যে অবশেষে জুটল বয়স্ক ভাতার কার্ড। সম্প্রতি চানভানুকে নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। দৌড়ঝাঁপ শুরু করে সমাজ সেবা অধিদফতর। বাড়িতে গিয়ে বুধবার বয়স্কভাতার কার্ড পৌঁছে দিয়েছেন। অচল, চলাফেরা করতে পারেন না এ মানুষটি। স্বামী আশন আলীকে হারিয়েছেন আরও ৩০ বছর আগে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের সুখডুগী গ্রামের বাসিন্দা এ বৃদ্ধা চান ভানুর ভাগ্যে বয়স্কভাতা না জোটার খবরটিই খবরে পরিণত হয়েছিল। ছিল অসম বণ্টনের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। চানভানুর ভাগ্যে জীবদ্দশায় বয়স্কভাতা জুটবে কি-না তা ছেলেবউ ভাবতে পারছিলেন না। কারণ সবসময় শয্যাশায়ী এ মানুষটি কখন ওইপারের ডাক পাবেন এমন শঙ্কায় কাটছে একেকটি মুহূর্ত। আর্তি ছিল, বয়স্ক ভাতার সহায়তা পেলে মানুষটি ওষুধপত্র কিনতে পারবেন। পারবেন ভালমন্দ কিছু কিনে খেতে। চরম অভাবের সংসারে শ্রমজীবী ছেলে আইয়ুব আলী কাজী আর ছেলে বউ রওশন আরা বেগম পরিচর্যা করেন। ছেলের বয়সও ৮০ হয়েছে। তারপরও মাটিকাটাসহ যে কাজ পায় তাই করছেন। সেই শেষ ভরসা সংসারের। তবে এখন বয়স্কভাতার কার্ড পেয়ে এ পরিবারে অনেকটা স্বস্তি এসেছে। কোনমতে হাত ধরে ছেলে বউ, নাতি-নাতনি বিছানা থেকে তুলে এনে উঠানে বসায় বৃদ্ধা এ মানুষটিকে। জীবনের অনেক গল্প ছিল। গল্পের ছলেই জীবনের ঘটনা বলেছেন সংসারের সকলের কাছে। এখনও উচ্চস্বরে বললে, সম্বিৎ ফিরে পান এ মানুষটি। তিন ছেলে, তিন মেয়েসহ নাতি-নাতনি ও তাদের সন্তান নিয়ে বর্তমান সংখ্যা ৮৮ জন। জানান, চার পয়সা সের দরে চাল কিনে খেয়েছেন। এখনও কোনমতে একবেলা এক মুঠো ভাত খায় মানুষটি। এক যুগ ধরে বিছানায় পড়েছেন মানুষটি। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এমন বয়সের বৃদ্ধা মানুষকে বয়স্কভাতার সেবা দিতে পেরে তারাও স্বস্তি পেয়েছেন।
×