ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:০৮, ২৫ অক্টোবর ২০১৯

উবাচ

রোদ লাগাতে কষ্ট হয় স্টাফ রিপোর্টার ॥ নেতারা ঘরে বসে আরাম করবেন আর কর্মীরা মাঠ কাপাবেন। নেতাকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য আন্দোলন করবেন। জীবন দেবেন। আর নেতার ছেলে মেয়ে বউ পুরো পরিবার দেশে কিছু ঘটলেই বিদেশে পাড়ি জমাবেন। এই রাজনীতি এখন কর্মীরা বুঝে গেছেন। নেতাকে নেতা বানানোর জন্য সাধারণ মানুষ অকাতরে জীবন দেয়ার আগে এখন ভাবছেন নেতা আরও বড় নেতা হলে আমার লাভটা কি? আবার ছোট নেতারাও যখন দেখেন বড় নেতা বাইরে ভালই আছেন। তখন আর ছোট নেতারা কেন বিপদে পড়তে চাইবেন। বিএনপি নেতাদের আরও সাহসী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, বিএনপির কর্মীরা সাহসী আর নেতারা দুর্বল। এদের কেউ কেউ এত পয়সা বানিয়েছেন যে, রাজপথে রোদ লাগাতে কষ্ট হয়। তালাক দিন স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিনি উপদেষ্টা কিন্তু তার কথা কে শোনে? বিএনপির এমন এক উপদেষ্টার নাম ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি সব সময় বিএনপির ভাল চান। এজন্য জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে বলেন। ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও চাইছেন বিএনপি জামায়াতকে ত্যাগ করুক। কারণ বিএনপি যতদিন জামায়াতের সঙ্গে থাকবে ততদিন যুদ্ধাপরাধীদের গন্ধ বিএনপির গায়েও লেগে থাকবে। কিন্তু বিএনপির শীর্ষ নেতারা এটা বুঝতে চান না। জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাই কিছুটা বাঁকা শব্দ চয়ন করে বললেন, অনেক হয়েছে। এখন জামায়াতকে একটু ‘তালাক’ দিয়ে আপনারা রাস্তায় নামেন। দেখবেন বাংলাদেশ আপনাদের সঙ্গে আছে। তার মতে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মুক্তি আসছে, বেগম খালেদা জিয়ারও মুক্তি হবে। ইউটার্ন স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিগত নির্বাচন কেমন হয়েছে। মেনন বলছেন, ভাল হয়নি। জনগণের কাছ থেকে ভোট না নিয়েই তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। এখন কেউ যদি নিজেই সাক্ষী দেয় আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নই, তাহলে তিনি কি করে সংসদ সদস্য থাকেন! তার কি উচিত নয় পদত্যাগ করা? এমনিতেই বেচারা মন্ত্রিত্ব পাননি এরপর ক্যাসিনো কা-ে নাম এলো তারপর নিজের দল ভেঙ্গে চৌচির। সবকিছু মিলিয়েই তিনি যদি বলেন, মানসিকভাবে পর্যদুস্ত তাই কি বলতে কি বলেছি ঠিক নাই। তিনি করেছেনও তাই সব দোষ যেন সংবাদ মাধ্যমের। ফের সেই খ-িত বক্তব্য উপস্থাপনের দায় চাপিয়ে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে বলছেন তার বক্তব্যের আংশিক প্রচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পদক ওবায়দুল কাদের এটিকে বলছেন ইউটার্ন। কাদের বলেন, মেনন সাহেবের বিষয়ে আমিই প্রথম কমেন্ট করেছিলাম। আমি বেশি কথা বলিনি। আমি শুধু বলেছি, এতদিন পরে কেন? এই সময়ে কেন? যে সময় ক্যাসিনোকা-ের কথা, তখন কেন তিনি এ বিষয়ে মুখ খুললেন? অবশ্য, রাশেদ খান মেনন সাহেব এখন উল্টো সুরে কথা বলছেন। তিনি ইউটার্ন নিয়ে ফেলেছেন অলরেডি। তিনি বলেছেন, তিনি এভাবে বলেননি। তার বক্তব্যটা খ-িতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। আসলেইতো ঠিক কোন ক্লাবে যদি ক্যাসিনো খেলা হয়। সেই অপরাধে যদি অনেককে গ্রেফতার করা হয় শাস্তি দেয়া হয়। তাহলে সেই ক্লাবের চেয়ারম্যানকে কেন ডেকে অন্তত জিজ্ঞেস করা হবে না সেখানে আসলেই কি হতো।
×