স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরীর অনুকূলে চলমান ভুমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন সংস্থার বিদ্যমান স্থাপনা সমুহ হস্তান্তর বিষয়ক’ উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা হতে দুপুর পর্যন্ত নীলফামারী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ওই বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে সচিব মহিবুল হক এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আসাদুজামান নুর এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, আহসান আদেলুর রহমান আদেল, সিভিল এ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর ইসলাম,রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কেএম তারিকুল ইসলাম, সৈয়দপুর সেনানিবাসের ২২২ ব্রীগেটের কমান্ডার ব্রীগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সম্মানিত সদস্য(অর্থ) মোঃ মিজানুর রহমান(যুগ্ম-সচিব), পরিচালক(প্রশাসন) আবুল ফয়েজ মোঃ আলাউদ্দিন খান (যুগ্ম-সচিব), পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রখৌশলী জ্যোতি প্রসাদ,নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল আলম ,ভুমি,সড়ক ও সেতু, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রনালয়ে প্রতিনিধি প্রমুখ।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণ কাজ আগামী বছর থেকে শুরু হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজারের পর নীলফামারীর সৈয়দপুরের এই বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে নির্মিত হলে উত্তরাঞ্চলে নুতন দিগন্ত উন্মোচন হবে। প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী মাহবুব আলী আরো বলেন ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কার সাথে আকাশপথে যোগাযোগ তৈরি হবে এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি রিজিওনাল হাব হিসেবে ব্যবহৃত হবে।মন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকার উন্নয়নে এটি তার প্রমাণ। যা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি একটি কর্মযজ্ঞ। এতে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না। এর আওতায় পড়া মানুষদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, সহযোগীতা এবং পুর্ণবাসন করা হবে যথাযথ ভাবে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার মানুষদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাওয়ার দ্বার উন্মোচন হবে। এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর তৈরি হওয়ার ফলে ৮৫২.৯০৭৮ একর জমির প্রয়োজন হচ্ছে। এরমধ্যে নীলফামারী অংশে ৫৩৫.১৩৭৮ একর এবং দিনাজপুর অংশে ৩১৭.৭৭০০ একর। তিনি বলেন, চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৭ধারা নোটিশ জারি, জমির বিক্রয়াংক সংগ্রহ এবং অবকাঠামো ও গাছপালার মুল্য সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ঠ অফিসে পত্র দেয়া হয়েছে। সুত্র মতে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার ঘোষণা দেন। সেই ধারাবাহিকতায় মাঠপর্যায়ে কাজ চলছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: