ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

সঞ্চয়পত্র বিক্রি রেকর্ড পরিমাণে কমেছে

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ৯ অক্টোবর ২০১৯

সঞ্চয়পত্র বিক্রি রেকর্ড পরিমাণে কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে সরকারের নেয়া কঠোর পদক্ষেপের ফলে অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৯৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর আগের মাসে অর্থাৎ জুলাই মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। এক মাসের ব্যবধানে বিক্রি কমেছে ৬৬১ কোটি টাকা। প্রথম দুই মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ৩ হাজার ৬৫৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে বিক্রি হয় ৩ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। সে হিসেবে ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী ধারায় হাঁটছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। বিভিন্ন পক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে সঞ্চয়পত্রের সুদহার না কমিয়ে এ খাতে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় সরকার। ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করা হয়। এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন বাধ্যতামূলক। সঞ্চয়পত্রের সব লেনদেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দুর্নীতি কিংবা অৎুদর্শিত আয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধ করতে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেসে সংরক্ষণের লক্ষ্যে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে। এছাড়া সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কঠোর হয়েছে সরকার। চাইলেই ভবিষ্যৎ তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ নেই। এছাড়া এখন প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে কর কমিশনারের প্রত্যয়নপত্র লাগে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফার্মের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগছে উপকর কমিশনারের প্রত্যয়ন। এসব কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
×