ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে সুশাসনের অভাব: সিপিডি

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ৯ অক্টোবর ২০১৯

ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে সুশাসনের অভাব: সিপিডি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের ব্যবসা দিন দিন পুঞ্জীভূত হয়ে যাচ্ছে। শতকরা ৭৫ জন ব্যবসায়ী মনে করেন দেশের বড় ব্যবসায়ীরাই আর্থিক খাতকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ব্যাংক ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্পোরেট গভর্নেন্সের বা সুশাসনের অভাব রয়েছে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বুধবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘গ্লোবাল কমপিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১৯ এবং বাংলাদেশ বিজনেস এনভারমেন্ট স্টাডিজ ২০১৯’ শীর্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করে সংস্থাটি। গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এ সময় ড. মোয়াজ্জেম বলেন, দুর্নীতির কারণে দেশের ব্যবসার ব্যয় বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে ব্যবসায়ীক ঝুঁকিও। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ন, বেকারত্ব বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ঝুঁকি আরও বাড়ছে। সঠিকভাবে কাজ করছে না ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল। শতকরা ৭৮ জন ব্যবসায়ী মনে করেন ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্যা ২০১৯ সালে আর্থিক খাতে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে। এছাড়া দেশের প্রকল্পভিত্তিক তথ্য আরও সহজ করা দরকার বলে মনে করছেন তিনি। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বৈশ্বিক উন্নয়নের সাথে তাল মিলাতে হলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং সে অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। তিনি জানান, অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি না হলে মনোপলি বা একচেটিয়া ধারা অব্যাহত থাকে। এর মাধ্যমে ব্যবসা পুঞ্জীভূত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই জায়গাতে গুরুত্ব দিয়ে শক্তিশালী মনিটরিংয়ের আহ্বান জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। ড. ফাহমিদা বলেন, বাংদেশের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করছে দেয়া উচিত। তা নাহলে আর্থিক খাত আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে বড় ধরনের সংস্কারের প্রয়োজন।
×